কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অ্যাঞ্জেলার প্রার্থনা ও দীপ্ত-শাহরিয়ারের জানাজা সম্পন্ন

নিহত অ্যাঞ্জেলার প্রার্থনা ও দীপ্ত-শাহরিয়ারের জানাজা সম্পন্ন
নিহত অ্যাঞ্জেলার প্রার্থনা ও দীপ্ত-শাহরিয়ারের জানাজা সম্পন্ন  © সংগৃহীত

টরন্টোর মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈ’র প্রার্থনা এবং দীপ্ত ও শাহরিয়ারের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় ইটোবিকোকের ১২১ সিটি ভিউ ড্রাইভে অবস্থিত লোটাস ফিউনারেল এন্ড ক্রিমেশন সেন্টারে এঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈ এর প্রার্থনা এবং ভিউয়িংয়ের (শেষ দর্শন) আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শাহরিয়ার মাহির খান এবং আরিয়ান আলম দীপ্তর নামাজে জানাজা সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কানাডার স্থানীয় সময় বাদ জোহর স্কারবোরোর ১ স্টামফোর্ড স্কয়ার নর্থে অবস্থিত মসজিদ আল-আবেদীনে সম্পন্ন হয় ।

নামাজে জানাজায় শাহরিয়ার ও দীপ্তর কলেজের বন্ধু-বান্ধব ও কলেজের ডিন, কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, এমপিপি ডলি বেগমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। জানাজার সময় পুরো মসজিদ আল আবেদীনে শোকের ছায়া নেমে আসে। টরোন্টো ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে জানাজায় জমায়েত হন।

নিহত শাহরিয়ার মাহির খান এবং আরিয়ান আলম দীপ্তর পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ কানাডিয়ান ফিউনারেল সার্ভিসের পক্ষ থেকে তানভীর পরিবারের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা এখানে নেই, আপনাদের ছেলেরা এখানে লাশ হয়ে আছে। একটা জিনিস আপনাদের হলফ করে আমরা বলতে পারি, অনেক যত্ন করে আমরা আমাদের সার্ভিস থেকে তাদের গোসল করিয়েছি, আপনারা যেভাবে করতেন সেভাবেই আমরা আমাদের নিজেদের ছেলের মতো করে আমাদের ভাইয়ের মতো করে সকল কাজ করেছি।

বাংলাদেশ কানাডিয়ান ফিউনারেল সার্ভিসের পক্ষ থেকে মাসুম আকতার বাপ্পী জানাজার পর জানান, এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না কবে মরদেহ দেশে পাঠানো হবে। তবে মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। আগামী বুধ-বৃহস্পতিবারের মধ্যে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে, কবে মরদেহ দেশে পাঠানো হবে। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে বিভিন্ন মিডিয়াতে এসেছে শাহরিয়ার এবং দীপ্তর শরীর পুড়ে গেছে। কিন্তু আসলে কারও শরীর পুড়ে যায়নি।

আরও পড়ুন: আবারও তুরস্কে ভূমিকম্প, নিহত ৩

অন্যদিকে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার দে’ এর অবস্থা একটু উন্নত হলেও শঙ্কা এখনো কাটেনি। টরোন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্যামেরার মাধ্যমে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। কুমার বিশ্বজিতের দম্পতি বর্তমানে টরোন্টোতে অবস্থান করছেন।

এদিকে দুর্ঘটনায় সম্ভাবনাময় তিনটি তাজা প্রাণের ঝড়ে যাওয়া আর একজনের প্রাণ বাঁচানোর তীব্র লড়াইয়ের ঘটনায় কেবল কানাডা নয়, সারাবিশ্বের বাংলাদেশিদের শোকবিহ্বল করেছে। পরিবারগুলো কী অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে- সেটা ভেবে অসংখ্য মানুষ আহাজারি করছে।


সর্বশেষ সংবাদ