ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহত ৫০ হাজার ছাড়াতে পারে
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা ওই অঞ্চলে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি হতে পারে। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পরিদর্শন করে এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস।
শনিবার তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের কাহরামানমারাস শহরে পৌঁছান মার্টিন গ্রিফিথস। কাহরামানমারাস প্রথম কম্পনের উৎসস্থল হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। মার্টিন বলেন, এখনই সঠিক সংখ্যা বলে দেওয়া খুব কঠিন।
মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, ‘কত মানুষের মৃত্যু হবে, তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। কারণ, ধ্বংসস্তূপগুলোতে উদ্ধারকাজ চলছে। তবে আমি নিশ্চিত মৃত্যুর সংখ্যাটা দ্বিগুণ বা এর চেয়ে বেশি হবে।’
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কে ২১ হাজার ৮৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সিরিয়ায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৫৫৩ জন। ফলে দুই দেশে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৪০১ জনে। তীব্র ঠান্ডাসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। এখনো অনেককেই ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হচ্ছে।
স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্টিন আরও বলেন, ৭ দশমিক ৮ মাত্রার গত সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৯৯৯ সালে ১৭ হাজারের বেশি মৃত্যু হওয়া ভূমিকম্পের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে যত মানুষ চাপা পড়ে আছে, তাদের উদ্ধার করা গেলে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৫০ হাজারে। এখন যা আছে তার দ্বিগুণ বা তিন গুণ হতে পারে এই সংখ্যা।
আরও পড়ুন: ‘হ্যাপি বার্থডে ভাইয়া, আল্লাহ তোকে জান্নাত দান করুক’
ভূমিকেম্পে শুধু তুরস্কেই এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ৬১৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সিরিয়াসহ মোট নিহতের সংখ্যা ২৯ হাজারের বেশি। জাতিসংঘ বলছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৮ লাখ ৭০ হাজার মানুষের জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। শুধু সিরিয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে ৫৩ লাখ মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, তীব্র শীত ও তুষারপাতের কারণে ‘পরিস্থিতি ক্রমেই নাজুক ও ভয়ঙ্কর’ হয়ে উঠতে থাকায় জীবিতদের মধ্যে যারা গৃহহীন ও আশ্রয়হীন অবস্থায় আছেন তারা দ্বিতীয় আরেকটি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারেন। ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ভূমিকম্পে।
এখনও উদ্ধার কাজ চলছে। এতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও অংশ নিয়েছেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে ভুক্তভোগীদের জীবিত উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
খবর- দ্য গার্ডিয়ানের