তুরস্কে আতঙ্কে রয়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর আতঙ্কে রয়েছেন দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশটির কাহরামানমারাস সুতচু ইমাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গোলাম সাইদের (রিংকু) এখনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
রাজধানী আঙ্কারায় বসবাসরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হাফিজ মুহাম্মদ বলেন, শিক্ষার্থী গোলাম সাইদ (রিংকু) যে ভবনটিতে বাস করতেন, সেটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছেই ছিল ভবনটি। ওই ভবনে থাকা আরেক বাংলাদেশি নূরে আলম বের হতে পেরেছিলেন।
হাফিজ আরও বলেন, তাঁরা উদ্বেগে রয়েছেন। কারণ, ভূমিকম্পের পর আফটার শক (পরাঘাত) হচ্ছে। আবার বড় ধরনের ভূমিকম্প হয় কি না, সেই আতঙ্কে রয়েছেন সবাই। বাংলাদেশে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরাও তাদের নিয়ে আতঙ্কে আছেন। সব মিলিয়ে ভয়াবহ মানসিক দুরবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
তুরষ্কের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানিয়ে তিনি বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি খুব খারাপ। অন্যান্য বছর তুষারপাত হয় ডিসেম্বর মাসে। এবার হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে। আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় ভূমিকম্পে যেসব শহর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। দেশটিতে শিক্ষার্থীসহ অন্যদের উদ্ধারকাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে।
শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫ হাজার বলে নিশ্চিত করেছে সিএনএন। এর মধ্যে তুরস্কেই নিহত হয়েছেন অন্তত সাড়ে তিন হাজার। এছাড়া, সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার।