তুরস্কে আঘাত হেনেছে নতুন আরও এক ভূমিকম্প, মৃত্যু বেড়ে ৪৩৬৫
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৩৬৫ জন হয়েছে। তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সংস্থার পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার জানানো হয়, দেশটিতে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৯২১ জন। আহত ১৫ হাজার ৮৩৪ জন। এদিকে তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে আজ মঙ্গলবার নতুন একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে।
তুরস্কের স্থানীয় সময় আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটে এই ভূমিকম্পটি হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, নতুন এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র তুরস্কের গোলবাসি শহরের কাছে। ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটি মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।
অন্যদিকে, সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪৪৪ জনের নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আহত ৩ হাজার ৪১১ জন।
গতকাল সোমবার তুরস্কের স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র। ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। ভূমিকম্পের পর অর্ধশতাধিক পরাঘাত হয়। ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ধসে পড়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি, যার মধ্যে অনেক বহুতল ভবন রয়েছে।
আরও পড়ুন: তুরস্কে ভূমিকম্পে নিখোঁজ ২ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে। উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে নিহত মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকালের ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন দেশ-সংস্থা তুরস্ক ও সিরিয়ায় সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে। তুরস্কে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
চলতি শতকে এটাই তুরস্কে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ৮৪ বছরের মধ্যে তুরস্ক এত শক্তিশালী ভূমিকম্প দেখেনি। সবশেষ ১৯৩৯ সালে উত্তর-পুর্ব তুরস্কে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া ১৯৯৯ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইজমীতে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।