পছন্দের মানুষকে বিয়ে করে তরুণীর সংবাদ সম্মেলন
নিজের পছন্দে ফজলে রাব্বী (২৬) নামে এক তরুণকে বিয়ে করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক তরুণী। ওই তরুণীর নাম ফাতেমা তাবাসসুম খান (২১); তিনি রাজশাহী নগরের রামচন্দ্রপুর বউবাজার এলাকার বাসিন্দা।
তিনি জানান, তার অমতে সৌদি আরবে নিয়ে এক প্রবাসীর সঙ্গে তাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই সংসার না করে দেড় বছর পর দেশে এসে তিনি তার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করেছেন। গতকাল রাতে তার বাবার বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে আজ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি জানান, তাঁকে কেউ অপহরণ করেনি; তারা স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন।
রাজশাহী নগরের আসাম কলোনি এলাকায় ওই সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়েছে, তাঁর স্বামীর নাম ফজলে রাব্বীর সাথে তার চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক। ফজলে রাব্বী ব্যবসা করেন এবং তার বাড়িও রাজশাহী নগরের রামচন্দ্রপুর বউবাজার এলাকায়।
ফজলে রাব্বী বলেন, তিনি এবং তাঁর কয়েকজন বন্ধু গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফাতেমাকে বাড়ি থেকে এনেছেন। তারপর রাতেই তাঁরা বিয়ে করেছেন। তিনি আরও বলেন, ফাতেমাকে বাড়িতে নির্যাতন করা হতো আটকে রেখে।
কেন তাদের এই সংবাদ সম্মেলন-জানতে চাইলে ফাতেমা তাবাসসুম বলেন, আমি স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে এসেছি। এখন শুনছি, আমার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অপহরণের মামলা করা হচ্ছে। আমি তা জানানোর জন্যই অর্থাৎ আমাকে কেউ অপহরণ করেনি-তা জানাতে।
ফজলে রাব্বী জানান, চার বছর ধরে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও ফাতেমার মা–বাবা বিয়ে দিতে চাননি। তাদের হয়রানি করা হয়েছে মিথ্যা মামলা দিয়ে। এতেও তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট করতে না পেরে ফাতেমাকে সৌদি আরবে নিয়ে জোর করে এক প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় ২০১৯ সালের দিকে। সেখানে সংসার করতে পারেননি ফাতেমা। তিনি দেশে ফিরে আসেন দেড় বছর পর ২০২১ সালে। এর পর থেকে বাড়িতে তাঁর ওপর নির্যাতন চলছিল বলেও জানান তিনি।
ফজলে রাব্বী বলেন, এখন ফাতেমার পরিবার থেকে হয়তো অপহরণের মামলা করা হতে পারে। তিনি বলেন, হয়তো জেল খাটতে হবে। এর সবই জানি। মানসিক প্রস্তুতি রাখছি সবকিছুর জন্য। আর আস্থা রাখছি ফাতেমার ওপর। মামলা হলে ফাতেমা আদালতে গিয়ে বলবে যে কেউ তাকে অপহরণ করে আনেনি। প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে সে স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে এসে বিয়ে করেছে।
আর এ বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, রাতেই টেলিফোনে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।