২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৪২

খাতায় কিছু না লিখেও চাকরির পরীক্ষায় ২৭তম

ফাঁকা জমা দেওয়া ওএমআর শিট  © আনন্দবাজার

স্কুলের নিয়োগ-পরীক্ষার বেবাক সাদা থেকে গেছে অসংখ্য ‘ওএমআর শিট’ বা উত্তরপত্র। উত্তর না লেখা সত্ত্বেও ৫৫ নম্বরের মধ্যে কেউ কেউ পেয়েছেন ৫৩। আছেন উত্তীর্ণদের তালিকার ওপরের দিকে। উত্তর লিখতে না পারলেও শিক্ষকতার চাকরির পথ প্রশস্ত তাদের।

চোখ কপালে তোলার মতো এমন উত্তরপত্র পাওয়া গেছে ভারতের এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে। ওবিসি বা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির তালিকাভুক্ত এক চাকরিপ্রার্থী জমা দিয়েছেন ফাঁকা খাতা। তাতে শুধু নাম আর রোল নম্বর লেখা। অথচ তালিকায় দেখা যায়, র‌্যাঙ্ক ২৭। অঙ্কের শিক্ষকের চাকরির জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন। তাঁর খাতা আগাগোড়া খালি। মোট ৫৫ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ৫৩।

ফাঁকা খাতা জমা দেওয়া সত্ত্বেও অনেকে চাকরি পেয়েছেন অভিযোগ নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকপদে চাকরিপ্রার্থীরা অনেকের। ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পরীক্ষা হয় ২০১৮ সালে। পরে অভিযোগ ওঠে, যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অযোগ্যকে নিয়োগ করা হয়েছে। আদালতে মামলা করার পরে সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশে বুধবার রাতে ৯৫২ জনের বিকৃত উত্তরপত্র প্রকাশ করেছে এসএসসি।

আরো পড়ুন: আইডি কার্ডে ১১ বছর বয়স কমিয়ে প্রাথমিকে চাকরি

সেখানে এমন ভূরি ভূরি উদাহরণ ছড়িয়ে আছে। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ওয়েবসাইট খুলে তাঁরা হতবাক। তাঁদের বিচারে ‘পুকুর চুরি’ নয়, এটা ‘সাগর চুরি’। চাকরিপ্রার্থীরা জানান, মেধা-তালিকায় প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর নাম, রোল নম্বর ও জন্ম-তারিখ দেওয়া ছিল। সেই রোল নম্বর ও জন্ম-তারিখ দিয়ে ওএমআর শিট খুলে এসএসসি-র দেওয়া মডেল উত্তর মিলিয়ে দেখেছেন, বেশির ভাগই ভুল।

প্রকাশ ঘোষ নামে এক চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, ‘একটি ওএমআর শিট অনুযায়ী এক ওবিসি তালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থী ৮৮ র‌্যাঙ্ক করার সূত্রে চাকরি করছেন। অথচ তাঁর ওএমআর শিটে দেখা যাচ্ছে, পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তাঁকে ৫৩ দেওয়া হয়েছে। বাংলার শিক্ষকপদের এক প্রার্থী ছ’টি প্রশ্নের উত্তর লিখে পেয়েছেন ৫৩। এতে তাঁর র‌্যাঙ্ক ১১।

ইলিয়াস বিশ্বাস নামে এক প্রার্থী জানিয়েছেন, ভুল প্রশ্নের ক্ষেত্রে নম্বর বৃদ্ধির জন্য মামলা করেছিলেন। নম্বর বেড়েছে। ইলিয়াসের অভিযোগ, বর্ধিত নম্বরসহ ওএমআর শিটও ৯৫২ জনের তালিকায় উঠে গিয়েছে। সিবিআই বা এসএসসি-র ভুলে এমন হয়েছে বলে তার অভিযোগ। আনন্দবাজার।