বিরোধী নেতাকর্মীদের হয়রানি-গ্রেপ্তারে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
বাংলাদেশে পুলিশি হয়রানি, বিরোধী রাজনীতিকদের গ্রেফতার এবং বিরোধী দলের সমাবেশ করতে বাধা দেওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র নেড প্রাইস এক প্রশ্নের জবাবে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানাই— আইনের শাসনকে সম্মান জানাতে, সহিংসতা পরিহার করতে, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন না করতে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নেড প্রাইস বলেন, মত প্রকাশে স্বাধীনতা রক্ষা করা, সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ জমায়েত নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
কোনও দল বা প্রার্থীকে ভীতি প্রদর্শন বা কেউ সহিংস আচরণের শিকার যেন না হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নেড প্রাইস বলেন, সত্যিকারের নির্বাচনে প্রার্থিরা সহিংসতা ও হয়রানিমুক্ত পরিবেশে ভোট করবেন। সহিংস ঘটনার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য আমরা সরকারকে উৎসাহিত করছি।
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছি।
পিনাকি ভট্টাচার্য ও মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ডিএসএ আইনে মামলার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র জ্ঞাত আছে জানিয়ে নেড প্রাইস বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা কখনই অপরাধ হতে পারে না। এর কারণে হয়রানি বা ভীতি প্রদর্শন করা উচিত নয়।