জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণ দিতে ঐতিহাসিক চুক্তি
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো কপ-টুয়েন্টি সেভেন সম্মেলনে রবিবার (২০ নভেম্বর) এবিষয়ে ঘোষণা আসে।
রোববার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো রোববার গভীর রাতে কপ-২৭ সম্মেলনে জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোকে সাহায্য করার জন্য একটি তহবিল গঠন করতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার বৈশ্বিক সংকল্পের রূপরেখার বিষয়ে বৃহত্তর চুক্তি অনুমোদনে বিলম্ব করেছে দেশগুলো।
এই অধিবেশনে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি তাৎক্ষণিকভাবে মেটাতে একটি 'লস অ্যান্ড ড্যামেজ' তহবিল গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এই তহবিলের বিষয়ে কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আগামী বছর পর্যন্ত মুলতবী রাখা হয়েছে। সে সময় একটি 'অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি' দেশগুলোর জন্য কিছু সুপারিশ দেবে, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য কপ২৮ সম্মেলনে আলোচিত হবে।
এই সুপারিশগুলোর মধ্যে থাকবে 'তহবিলের উৎস চিহ্নিত করা ও একে সম্প্রসারণ করা', যার মাধ্যমে জানা যাবে কোন কোন দেশ এই তহবিল তৈরি করতে মূল ভূমিকা রাখবে।
সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে বলছে, ধনী ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল গঠন নিয়ে আলোচনা প্রত্যাশিত সময়ের চেয়েও দীর্ঘ হতে শুরু করে। গত ৯ নভেম্বর শুরু হওয়া জলবায়ু সম্মেলন ১৮ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। বরং ১৯ নভেম্বর বাড়তি দিনে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয় সম্মেলনে অংশ নেয়া বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।
প্রসঙ্গত, মিশরের শারম আল শাইখের এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন ১৯৮টি দেশের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। বাংলাদেশ থেকেও সেখানে অনেকে অংশ নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রাক শিল্পায়ন যুগের তুলনায় এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখার জন্য যা করা দরকার, তা করা হবে। তবে এই বিষয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি।