ইরানের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, বিচার শুরু
ইরানে মাহাশা আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিন উপলক্ষে দেশটির একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে আটককৃত বিক্ষোভকারীদের বিচার শুরু করেছে সরকার। সরকার বিরোধী বিক্ষোভের অপরাধে তাদের মৃত্যুদনান্ডও হতে পারে। খরব দ্যা গার্ডিয়ানস।
দ্যা গার্ডিয়ানসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিন এবং ইরানে ঐতিহ্যবাহী শোকের সময়কালের সমাপ্তি। ব্যাপক দমন-পীড়নকে উপেক্ষা করেই ইরানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে।
‘একজন শিক্ষার্থী মরতে পারে, কিন্তু অপমান মেনে নিতে পারে না’ এই বলে স্লোগান দিচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশের আহভাজে শহীদ চামরান বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, বুধবার মাশা আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিন পূর্ণ হচ্ছে এবং ইরানে প্রথা অনুযায়ী এইদিন শোক পালনের সময় শেষ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গুগলকে ৯৩৬ কোটি রুপি জরিমানা করলো ভারত।
তবে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, যে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং কোনও দুর্ভাগ্যজনক সমস্যা এড়াতে, আমরা ৪০ তম দিন উপলক্ষে কোনও অনুষ্ঠান করব না।
মানবাধিকার কর্মীরা বলেছিলেন যে বিবৃতিটি চাপের মধ্যে দেওয়া হয়েছিল এবং তবুও আমিনীর সমাধিতে শ্রদ্ধা প্রত্যাশিত ছিল।
এদিকে অনলাইন বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে আহভাজের শহীদ চামরান বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও মঙ্গলবার তেহরানের বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খাজে নাসির তুসি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
এসব বিক্ষোভের জেরে এখন পর্যন্ত ২৯ জন শিশুসহ নিহত হয়েছেন অনেকে। এছাড়া আটক করা হয়েছৈ শতাধিক। তাদের বিচারকার্য শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। আর ইরানের সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী তাদের মৃত্যুদন্ডও হতে পারে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ইরানে গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুর্দি তরুণী মাশা আমিনি (২২) তার ছোট ভাইকে নিয়ে তেহরান পরিদর্শনে গেলে সঠিকভাবে হিজাব না পরার কারণে নৈতিক পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এর তিন দিন পর পুলিশি হেফাজতে তিনি মারা গেলে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।