ফের যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৩
যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্কুলে আবারও বন্দুক হামলায় কমপক্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাতজন।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস শহরের একটি সেন্ট্রাল ভিজ্যুয়াল অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস হাই স্কুলে এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসি।
বিবিসি ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার স্থানীয় সময় ৯টার পরে এক বন্দুকধারী মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস শহরের সেন্ট্রাল ভিজ্যুয়াল অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস হাই স্কুলে প্রবেশ করে। এরপরই সেখানে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীকে ১৯ বছর বয়সী সাবেক ছাত্র হিসাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ।
বিবিসি বলছে, স্কুলে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী ছিল। স্কুল ভবনের দরজা তালাবদ্ধ ছিল এবং সন্দেহভাজন ওই বন্দুকধারী সেখানে কীভাবে প্রবেশ করে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলা শুরুর পর একপর্যায়ে বন্দুকধারীর হাতে থাকা অস্ত্রটি জ্যাম বা আটকে যাওয়ার পর অনেকের প্রাণ রক্ষা পায়।
আরও পড়ুন: আংশিক সূর্যগ্রহণ আজ, দেখা যাবে বাংলাদেশেও।
বিবিসি আরও জানায়, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের সাথে অভিযুক্ত হামলাকারীর গুলি বিনিময় হয় এবং পরে নিজের আঘাতে সে মারা যায়। তবে ওই হামলাকারীর সেখানে হামলার উদ্দেশ্য ঠিক কী তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিবিসি বলছে, হামলাকারী ছাড়া নিহতদের অন্য দু’জন হচ্ছেন একজন কিশোরী এবং একজন নারী। হামলার পরপরই ওই কিশোরীকে স্কুলের ভেতরেই মৃত ঘোষণা করা হয়। এছাড়া নিহত ওই নারী হামলায় আহত হওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখানে মারা যায়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, হামলায় আহত সাতজনের মধ্যে তিনজন মেয়ে এবং চারজন ছেলে। তাদের কারও আঘাতই খুব বেশি গুরুতর নয়।
স্থানীয় পুলিশ কমিশনার মাইকেল স্যাকের জানান, অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর আক্রমণকারীর কাছে বন্দুক দেখতে পান। এছাড়া হামলার আতঙ্কে অনেক শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে পালিয়েও যেতে দেখেন তারা।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা ও এতে প্রাণহানির ঘটনা কিছুতেই থামছে না। হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার, স্কুল, রেল স্টেশনের মতো জায়গাগুলোতেও প্রায়ই হামলার ঘটনা ঘটছে। গত মে মাসে টেক্সাসে একটি স্কুলে ভয়াবহ হামলায় নিহত হয় ১৯ শিশু শিক্ষার্থীসহ ২১ জন।