যুক্তরাজ্যর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বরিস
কনজারভেটিভ নেতৃত্বের দৌড়ে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর ফলে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনেকটা পথ পরিষ্কার হলো ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকের। স্থানীয় সময় রোববার (২৩ অক্টোবর) দেওয়া এক বিবৃতিতে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
জনসন বলেছেন, ব্রিটেনের পরবর্তী নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতায় সামনে এগিয়ে যেতে তারপেছনে আইনপ্রণেতাদের যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে তবে তা সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের চেয়ে অনেক কম। এতে করে সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল। সোমবার (২৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রোববার দেওয়া এক বিবৃতিতে জনসন বলেছেন, ‘কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাচনে আমার সফল হওয়ার খুব ভালো একটা সুযোগ রয়েছে - এবং আমি সত্যিই শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে আসতে পারি।’
‘কিন্তু গত কয়েকদিনে আমি দুঃখের সাথে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, এটি করা ঠিক হবে না। পার্লামেন্ট ঐক্যবদ্ধ দল না থাকলে আপনি কার্যকরভাবে দেশ শাসন করতে পারবেন না।’
আরও পড়ুন: আপনার একটি লাইকে জিতে যাবে বাংলাদেশ
এর আগে বরিস তার সমর্থকদের বলেছিলেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে চান। তার সঙ্গে মন্ত্রিসভা সদস্য জ্যাকব রিস-মগ, জেমস ক্লিভারলি, অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান, নাদিম জাহাউই, অলোক শর্মা, সাইমন ক্লার্ক এবং ক্রিস-হিটন হ্যারিসের সমর্থন রয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে ৩৫৭ জন কনজারভেটিভ (টোরি) এমপির মধ্যে ন্যূনতম ১০০ জনের সমর্থন পেতে হবে। যিনি দলের নেতা হবেন, তিনিই দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। মাত্র মাস দেড়েক আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। তবে তার পদত্যাগের পর এখন ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পাটির পরবর্তী নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নির্ধারণের জন্য আরেকটি নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হবে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ঘোষণা করা হতে পারে করজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা ও পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নাম।