শান্তিতে নোবেলের জন্য বাংলাদেশি রায়ান সাদী কীভাবে মনোনীত?

ডা. রায়ান সাদী
ডা. রায়ান সাদী   © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশি বংশদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ডা. রায়ান সাদী ও তার কোম্পানি ‘টেভোজেন বায়ো’ ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটের ল্যান্ডিংপেজেই এ বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে।

ডা. সাদীর এক সময়কার সহপাঠী শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকেও বিষয়টি নিয়ে শনিবার একটি পোস্ট দেন।

চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩৪৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের সুপারিশ পেয়েছিল নোবেল কমিটি। এই তালিকা থেকে চূড়ান্ত বিজয়ীর নাম আগামী সোমবার ঘোষণা করা হবে।

ডা. রায়ান সাদী ও প্রতিষ্ঠানের নামও একই প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক সুপারিশ বা মনোনয়ন আকারে গেছে নোবেল কমিটির কাছে। ডা. সাদী ও টেভোজেন বায়োকে মনোনয়ন দিয়েছেন ইয়েল স্কুল অফ পাবলিক হেলথের অধ্যাপক এমেরিটাস কার্টিস প্যাটন। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিষ্ঠানের জনস্বাস্থ্য বিভাগের মহামারি বিদ্যা (অণুজীব ঘটিত রোগ) বিশেষজ্ঞ প্যাটন একই সঙ্গে ‘টেভোজেন বায়ো’র পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক পদেও আছেন।

‘টেভোজেন বায়ো’ কোম্পানির ওয়েবসাইটের ল্যান্ডিংপেজে লেখা আছে, ‘আমরা বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিই।’

এরপরেই বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে মানবতাকে জর্জরিত করে রাখা সবচেয়ে ভয়ংকর রোগগুলোর বিরুদ্ধে জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনীত’।

টেভোজেন বায়ো মূলত ক্যান্সার নির্মূলের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নিয়ে ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করে। টেভোজেন বায়োর প্রতিষ্ঠাতা ডা. রায়ান সাদী বর্তমানে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

ডা. সাদী ও তার কোম্পানি কীভাবে ‘মনোনীত’

ডা. রায়ান সাদী ও তার কোম্পানি টেভোজেন বায়োকে কীভাবে এবং কে মনোনয়ন দিয়েছেন সে বিষয়ে জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে ই-মেইল পাঠানো হলে এর জবাবে টেভোজেন বায়োর পক্ষ থেকে ক্যাটলিন জয়েস লেখেন, ‘২০২৩ নোবেল শান্তি পুরস্কারের নোবেল কমিটি আমাদের বিবেচনা করায় আমরা অত্যন্ত সম্মানিত ও কৃতজ্ঞবোধ করছি।’

তিনি জানান, ইয়েল স্কুল অফ পাবলিক হেলথের অধ্যাপক এমেরিটাস কার্টিস প্যাটন গত সপ্তাহে এই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং সেটি গৃহীত হয়েছে।

এ বিষয়ে রায়ান সাদীর একটি বিবৃতিও ই-মেইলে তুলে ধরেন ক্যাটলিন জয়েস। এই বিবৃতিতে সাদী বলেন, ‘নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য টেভোজেন বায়োর মনোনয়ের খবরে আমরা সম্মানিত ও কৃতজ্ঞবোধ করছি। এই অর্জনটি আমাদের পরিচালনা নীতিকে আরও বেগবান করবে। এই নীতিটি হলো সামাজিক সমৃদ্ধি, জনগণের স্বাস্থ্য ও মঙ্গল এবং সর্বোপরি মানব জাতির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে না পারলে টেকসই ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন অসম্ভব।’

নোবেল কমিটির তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্ব থেকে পাওয়া নাম থেকে ফেব্রুয়ারিতে সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরির কাজ শুরু হবে। এছাড়া মনোনীতদের বিষয়ে নোবেল কমিটি কখনোই তথ্য প্রকাশ করে না। এরপরেও ডা. রায়ান সাদী ও তার কোম্পানি টেভোজেন বায়োকে কীভাবে ২০২৩ সালের শান্তি পুরস্কারের জন্য ‘মনোনীত’ বলা যাবে- সেই প্রশ্ন রেখে মনোনয়নদাতা অধ্যাপক কার্টিস প্যাটনকেও ই-মেইল করা হলে সেই ই-মেইলের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।