প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে ইতালি
ইতালিতে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটে জয় দাবি করেছেন কট্টর ডানপন্থী নেতা জর্জিয়া মেলোনি। বুথ ফেরত জরিপেও একই আভাস মিলেছে। আর এর মধ্য দিয়ে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে ইতালি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মেলোনিই প্রথম কট্টর ডানপন্থী সরকার গঠন করবেন দেশটিতে। খবর বিবিসি
খবরে জানানো হয়, মেলোনি ইতালির উগ্র ডানপন্থী ব্রাদার্স অব ইতালি পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্য দুটি ডানপন্থী দল মাত্তেও সালভিনির লিগ ও সিলভিও বেরলুসকোনির ফোরজা ইতালিকে নিয়ে জোট সরকার গঠন করতে পারে দলটি। ডানপন্থীদের উত্থান নিয়ে ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। ইতালি ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। সম্প্রতি সুইডেনের নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থীদের জয়ের পর ইতালিও ডানপন্থী সরকার পাচ্ছে কি না, সেদিকে নজর রাখছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটায় পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়, চলে রাত ১১টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে দেশটির ৫ কোটি ১০ লাখ ভোটার তাঁদের রায় দিয়েছেন, যাদের ২৬ লাখ এবারই প্রথম ভোট দিয়েছেন। মেলোনি সমকামিতা নিয়ে পশ্চিমা ধারণার বিরোধী। এ ছাড়া অভিবাসন বন্ধে লিবিয়ায় নৌ অবরোধের পক্ষে অবস্থান তার। তবে তিনি ইতালির সকল মানুষের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করবেন না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পিএইচডি’র শিক্ষার্থী করছেন খাবার ডেলিভারির কাজ
মেলোনি বলেন, ইতালির মানুষ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, তারা এখন ডানপন্থী সরকার চায়।
এরই মধ্যে হার স্বীকার করে নিয়েছে মধ্য-বামপন্থিরা। তাদের হার স্বীকারের পরই মেলোনি ভাষণ দেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, খুবই দুঃখজনক ঘটনা যে, দক্ষিণপন্থিরা পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে।
মেলোনির পার্টির স্লোগান হলো, ‘গড, কান্ট্রি, ফ্যামিলি’ বা 'ঈশ্বর, দেশ, পরিবার'। ৪৫ বছর বয়সী নেত্রী নিজেদের দলকে রক্ষণশীল গোষ্টী হিসাবেই তুলে ধরতে চেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তিনি ফ্যাসিস্ট। কিন্তু মেলোনি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর তিনি নিজেকে ইউক্রেনের সমর্থক হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। যদিও তার দলের বিরুদ্ধে এখনও ফ্যাসিস্ট স্লোগান দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।