ভক্তের ফোন ভেঙে পার পাচ্ছেন না রোনালদো
মেজাজ হারিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেও লাভ হলো না। ভক্তের ফোন হাত থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে আচরণবিধি ভাঙার দায়ে অভিযুক্ত করেছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)।
এপ্রিলে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনায় এখনো পার পাননি তিনি। প্রিমিয়ার লিগে এভারটনের কাছে ১-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর বিধ্বস্ত অবস্থায় মাঠ ছাড়ছিলেন তিনি। সাজঘরে যাওয়ার পথে কাণ্ডটি করেন। এক ভক্ত তার সেলফি তোলার চেষ্টা করলে সজোরে আঘাত করে ফোনটি ফেলে দেন মাটিতে। সঙ্গে সঙ্গে ফোনটির যা ক্ষতি হওয়ার হয়েছে। ওই ঘটনার ভিডিও পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়। সেখানে বলতে শোনা যায় রোনালদো ভক্তের ফোন চূর্ণ করেছেন।
ভিডিও ফুটেজ দেখে কাল এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে এফএ। রোনালদোকে ‘অশোভন এবং সহিংস আচরণ’–এর দায়ে অভিযুক্ত করেছে সংস্থাটি। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ৯ এপ্রিল শনিবার প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচ শেষে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে এফএর ই৩৩ বিধি ভাঙার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। শেষ বাঁশি বাজার পর এই ফরোয়ার্ডের আচরণ অশোভন এবং সহিংস ছিল।’
ঘটনাটি বেশ সমালোচিত হওয়ায় রোনালদো সোশ্যাল মিডিয়াতেই ক্ষমা চেয়েছিলেন। একই কারণে তাকে আগস্টে সতর্ক করে মার্সিসাইড পুলিশ।
জেক হার্ডিং নামের অপ্রাপ্তবয়স্ক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সেই ভক্ত সেই দিনে মায়ের সঙ্গে প্রথমবারের মতো গিয়েছিল নিজের প্রিয় দল এভারটনের খেলা দেখতে। প্রথম দিনেই রোনালদোর কাছে একটা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন অপ্রাপ্তবয়স্ক ভক্ত এমন আচরণের শিকার হওয়ায় কেউ-ই বিষয়টি ভালো চোখে দেখেননি। পরে এফএ জানায়, এই ঘটনার তদন্ত করা হবে।
হার্ডিংয়ের মা সারা কেলি তখন বলেছিলেন, রোনালদোর এমন আচরণের তিনি কোনো কারণ খুঁজে পাননি। সারার ভাষায়, ‘আমিও কাঁদছিলাম। ছেলেও মানসিকভাবে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছে। বাসায় আসার আগপর্যন্ত ঘটনাটা হজম করতে তার কষ্ট হয়েছে। এতটাই মন খারাপ যে আবারও ফুটবল ম্যাচ দেখতে যাওয়ার ভাবনাটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছে। এটা ছিল তার প্রথম ফুটবল ম্যাচ দেখার দিন, আর সেদিনই এমন কিছু ঘটল। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন একটা ছেলে একজন ফুটবল খেলোয়াড়ের লাঞ্ছনার শিকার—আমি বিষয়টিকে এভাবে দেখি।’