১০ মে ২০২৫, ১২:৫০

আগামী প্রতিভার সন্ধানে শুরু ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’

জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে উদ্বোধনে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের উদ্যোগে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মেধাবী, সম্ভাবনাময়ী ও সুবিধাবঞ্চিত সাঁতারুদের বাছাই করতে থেকে শুরু হয়েছে 'সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ-২০২৫'। শনিবার (১০ মে) বিকেলে মিরপুরে জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে এই ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান ও. রশীদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ-২০২৫ এর স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক রিয়ার এডমিরাল আব্দুল্লাহ-আল মাকসুস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন।

সুইমিং ফেডারেশনের প্রতিভা অন্বেষণের কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘সাঁতার আমাদের জাতীয় জীবনের সঙ্গে জড়িত। সুইমিং ফেডারেশনের এই কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাই। এ রকম ট্যালেন্ট হান্ট হলে ভালো মানের খেলোয়াড় আমরা খুঁজে পাবো। অন্য ফেডারেশনকেও আমি বলব, সুইমিং এর মতো এ রকম কার্যক্রম তারা যেন শুরু করে।’

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলা থেকে আজ সাঁতারুদের বাছাই করা হয়। যারা বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের হাতে ইয়েস কার্ড তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। 

এই কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি জেলার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ হতে প্রতিভাবান সাঁতারু বাছাই করা হবে। সুইমিং ফেডারেশন ৮টি বিভাগ ও ৬৪টি জেলা হতে ১৫টি ভেন্যুতে সাঁতারু বাছাই করবে। বয়সসীমা হচ্ছে ৯ থেকে ১১ বছর এবং ১২ থেকে ১৫ বছর।

পুরো বাছাই প্রক্রিয়াকে তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্ব আজ থেকে শুরু হয়ে চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। এই পর্বে ৬৪টি জেলা থেকে ৬০০ জন সাঁতারু নির্বাচন করতে চায় সুইমিং ফেডারেশন। দ্বিতীয় পর্ব ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুলাই থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত। বাছাই পর্বের এই ধাপে সাঁতারুর সংখ্যা ৬০০ থেকে নামিয়ে ১০০ জনে আনা হবে। এরপর ৫ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত তৃতীয় পর্বে ৫০ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হবে। সেরা ৫০ সাঁতারুকে দুই বছর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই কার্যক্রম চলবে এ বছর ১০ নভেম্বর থেকে ২০২৭ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।