র্যাগিং বন্ধে অ্যান্টি র্যাগিং আইন প্রণয়ন জরুরি!
বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম বেশি র্যাগিং প্রচলিত। সম্প্রতি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং এর ঘটনা আশংকাজনক হারে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০২০ সালের মার্চে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করার অপরাধে কতিপয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারপূর্বক ৬৭তম সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।
গত ৮ মার্চে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অভিযুক্ত ৪ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। এর রেশ কাটতে না কাটতে গত ১২ মার্চ ২০২২ এক নবীন শিক্ষার্থীকে আবাসিক হলের রুমে ডেকে নিয়ে ভদ্রতা শেখানোর নামে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এবং উক্ত অভিযোগের বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডি তদন্ত করছে। প্রশ্ন হলো এতো বহিষ্কার ও নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও র্যাগিং বা ছাত্র নির্যাতন কমছেনা কেন? তার আগে জেনে নিই র্যাগিং এর আদ্যোপান্ত।
র্যাগিং এর ইতিহাসঃ
খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতাব্দীতে র্যাগিং নৃশংস নয় বরং মৃদু আকারে একটি ঐতিহ্য হিসাবে বিদ্যমান ছিল। গ্রীসে অলিম্পিকের পর বেশ কয়েকটি দেশের সশস্ত্র বাহিনী এই রীতির চর্চা শুরু করে। সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং, চিকিৎসা ও অন্যান্য আবাসিক প্রতিষ্ঠানে র্যাগিংয়ের প্রচলন শুরু হয়।১৮২৮ থেকে ১৮৪৫ সালের দিকে আমেরিকার ইউনিভার্সিটিতে এর প্রচলন ঘটে বিভিন্ন ছাত্র সংস্থা পাই, আলফা, বিটা, গামা, কাপ্পা ও অন্যান্য ছাত্র সংস্থার উদ্ভবের মাধ্যমে। এগুলোতে সদস্যদের সাহসের পরিচয় নিতে র্যাগিং এর জন্ম (পশ্চিমে এটাকে বলে হ্যাজিং)। অষ্টাদশ শতাব্দীতে সেনাবাহিনী এবং ইংরেজি মাধ্যমে স্কুলগুলোতে ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে তাদের সম্প্রদায়ে প্রবেশকারীদের উপর হালকা আকারে র্যাগিং অনুশীলন শুরু করে।
আরও পড়ুন: গেস্টরুম-গণরুমে নির্যাতনের ভয়, ঢাবি ছেড়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে
বিশ্বযুদ্ধ ফেরত সৈন্যরা পুনরায় কলেজে ফিরলে র্যাগিং কৌশল পাল্টে যায় এবং এই কৌশলগুলি আসলে ছিল র্যাগিংয়ের গুরুতর রূপ যা সেনা ক্যাম্পে অনুশীলন করা হত।মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের মধ্যযুগের Hell Night এর নামে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা নতুনদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে তাদের শারীরিকভাবে অসদ্ব্যবহার করতো এবং তাদের পুরোনো পোশাক পরতে বাধ্য করতো। Ragging এর পাশাপাশি চলতো শারীরিকভাবে নির্যাতন যাকে বলা হতো Racking। এতে অনেক যুবক-যুবতী লাঞ্ছিত হতো , আহত হতো এমনকি Killings এর স্বীকারও হয়েছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে ১৮৭৩ সালে Ragging এর কারণে প্রথম মৃত্যু রেকর্ড করা হয়, তখন থেকে র্যাগিং বিষয়ে তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে অনেক দেশে নিষিদ্ধ করা হয়।এটা শুধু শুধুমাত্র পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলোনা, মিশরীয়, রোমান ও গ্রীক সহ প্রায় সব দেশে বিভিন্ন নামে Ragging প্রচলিত আছে। এই ওয়েস্টার্ন কনসেপ্ট ধীরে ধীরে দক্ষিণ এশিয়া বিশেষ করে ভারত এবং শ্রীলংকায় জনপ্রিয়তা লাভ করে। র্যাগিং এর খারাপ প্রভাব সবচেয়ে ভয়ংকর বর্তমানে শ্রীলংকাতে। বাংলাদেশ ৯০ এর দশকের পর র্যাগিং নামক অপসংস্কৃতি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।
র্যাগিং কি?
বাংলায় র্যাগিং কথার অর্থ দাঁড়ায় ছিন্নবস্ত্র। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে এর অন্য নাম আছে। বাংলায় Ragging নামেই সমধিক পরিচিত। সাধারণত, র্যাগিং মানে কাউকে নিয়ে রসিকতা করা বা কাউকে শিক্ষা দেওয়া। র্যাগিং হলো এমন কোনো বিশৃঙ্খল আচরণের দ্বারা কোনো শিক্ষার্থীকে যতক্ষণ না তার মনের অবস্থাকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করে ততক্ষণ উপহাস করা বা আপত্তিকর আচরণ করা, তাতে জড়িত করা যাতে তার মধ্যে বিরক্তি, হতাশা বা ভয়ের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। র্যাগিং শুধুমাত্র শারীরিক নির্যাতনই নয়, এটি একটি মানসিক নির্যাতন যেখানে নবীনরা মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়ে, নতুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ের অনুভূতি তৈরি করে। Ragging এর অন্য নাম হতে পারে hazing, fagging, bullying এবং ফ্রান্সে bapteme , ডাচে doop , ফ্রান্সে Mopokaste নামেও পরিচিত ।
র্যাগিং এর ধরণঃ
Formal Introduction মাধ্যমে নবীনদের র্যাগিং দেওয়া হয়। একটি নির্দিষ্ট নিয়মের ভিতর দিয়ে পরিচয় দিতে হয়। এতে সামান্য বিচ্যুতি মানসিক বা শারীরিক নিপীড়নের কারণ হতে পারে। অশ্লীল গানের লিরিক, কথাবার্তা, গালিগালাজের মাধ্যমেও Ragging দেওয়া হয় যা অনেকটা Verbal Torture ।ফ্রেশারদের সিনিয়রের সামনে স্ট্রিপ করতে বলা হতে পারে যা রীতিমতো Sexual Abuse । নবীন ব্যক্তিকে একটি নির্দিষ্ট চলচ্চিত্রের দৃশ্য তৈরি করতে বা একটি নির্দিষ্ট চলচ্চিত্রের নকল করতে বলা হতে পারে যাকে বলা হয় Playing the Fool! আবার অনেক সময় ড্রাগ সেবনে বাধ্য করার মাধ্যমে ও Ragging হতে পারে।
আরও পড়ুন: আড়াই লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে গাড়ি আটকে রেখেছে জবি ছাত্রলীগ কর্মী
র্যাগিং কেন দেওয়া হয়?
নতুন স্বপ্ন ও উদ্দীপনা নিয়ে এক ঝাঁক তরুন- তরুণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় কিন্তু র্যাগিং নামের আতংক তাদের তাড়া করে বেড়ায়। র্যাগদাতাদের ভাষ্য অনুযায়ী মজাচ্ছলে, ম্যানার শিখানোর নামে, আদব-কায়দা শেখানোর নামে র্যাগ দিয়ে থাকে। সিনয়র জুনিয়র সম্পর্ক উন্নয়নের নামে মূলত জুনিয়রদের অনুগত ও বাধ্যগত করাই আসল উদ্দেশ্য। এ নিয়ে সচরাচর সিনিয়র ছাত্রদের মধ্যেই পাল্টাপাল্টি দ্বন্দ্বের খবর শোনা যায়। তার মধ্যে আরেকটা উদ্দেশ্য হলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিপূর্বক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য একদল লোক তৈরি করা। যারা র্যাগিং এ ভালো পারফর্ম করতে পারে তারাই পরবর্তীতে নেতা হতে পারে। কিন্তু এ গুরুদায়িত্ব তাদেরকে কোন হাদীসে দেওয়া হয়েছে তার হদীস এখনো পাওয়া যায়নি।
র্যাগ কারা দেয়?
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ইমিডিয়েট সিনিয়ররা র্যাগ দিয়ে থাকেন। এখানে উল্লেখ্য যে, ইমিডিয়েট সিনিয়রদের অনুমতি ছাড়া সিনিয়রদের সাথে কথা ও বলা যায়না যা আমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় দেখেছি। তবে ঐ প্রতিষ্ঠানে একটা নিয়ম হলো তারা কোন অ্যাপ্লিকেন্টকে র্যাগ দেয়না, যার ব্যতিক্রম দেখেছিলাম ২০১২ সালে অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে। এখন কি অবস্থা জানা নেই।
র্যাগিং এর ফলাফলঃ
বলা হয়ে থাকে সিনিয়র এবং জুনিয়র এর মধ্যে চেইন অব কমান্ড ঠিক রাখার জন্য র্যাগ দেয়া হয়। আদতে কি তাই? র্যাগের নামে যে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয়, অশ্লীল কাজে অভিনয় করতে বলা হয় তাতে এই Chain, Vain এ রুপান্তরিত হয়ে যায়। আজকে যারা র্যাগিং এর শিকার হয় কাল তারাই র্যাগদাতাদের জন্য সাপে বর হয়। অনেক সময় গ্রামের সহজ সরল শিক্ষার্থীরা অতিমাত্রায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ধকল সহ্য করতে পারেনা। অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে আবার অনেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। কেউ কেউ আবরার ফাহাদ, জুবায়ের দের মতো হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। অনেক সময় ভিকটিম মাথাব্যথা, হাইপারটেনশন,দুঃস্বপ্ন, দুশ্চিন্তার মতো দীর্ঘস্থায়ী প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারে । ফলাফল স্বরুপ পড়াশোনায় অমনোযোগীতা,সবসময় আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করতে হয়। র্যাগিংয়ের সবচেয়ে বিপদজনক দিক হলো, একসময় যে কাজের মধ্য দিয়ে তারা সময় পার করে এসেছে তাতে নিজেরাই জড়িত হয়ে যাওয়া। তাদের জীবন পথে পরিবর্তন আসে, পড়াশুনা থেকে ছিটকে পড়ে, বিপথে পা বাড়ায়,অসুস্থ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে, ড্রাগে আসক্ত হয়ে যায়।
শুধুমাত্র র্যাগিংয়ের শিকার ব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন নয়। র্যাগদাতাদেরও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বা স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। ফলে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় সে আশা আশাই রয়ে যায়, অনেক সময় পরিবার বা সমাজে বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
র্যাগিং কেন কমছেনা?
সাধারণত পলিটিকাল বড় ভাইয়েরা গেস্ট রুম বা পরিচিতি পর্বের মাধ্যমে র্যাগিং দিয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে সাহস করেনা। তাছাড়া হলে সীট পাওয়া, দীর্ঘ পাঁচ বছর ক্যাম্পাসে অবস্থান করা, বিরোধীদলের রাজনীতি করে এমন তকমা পাওয়া তো থাকেই। হল প্রভোস্টদের নমনীয়তা, সুনির্দিষ্ট আইন না থাকা, আইন থাকলে বাস্তবায়ন না করা তার অন্যতম কারণ।
বাংলাদেশে র্যাগিংয়ের এর শিকার হলে শাস্তি কি?
যেহেতু সুনির্দিষ্ট কোন আইন নাই, বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট অভিযোগ প্রক্টরিয়াল বডির মাধ্যমে তদন্ত করে শৃংখলা কমিটির মাধ্যমে অস্থায়ী বা স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা অভিভাবক রা দন্ডবিধি ১৮৬০, ধারা ১০৯,১৪৩,৩২৩ ৩৪১,৩৪২,৩৫২,(৩৬৪,৫০৯), ৫০০, ৫০৪, ৫০৬ সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা করতে পারে।Pornography Control Act 2012 এর অধীনেও মামলা রুজু করা যেতে পারে।
আমাদের কি করা উচিত?
ভারতে Thrivunanthapuram Government Engineering College vs State of Kerala এবং Vishwa Jagriti Mission Through President Vs Central Government through Cabinet Secretary কেসের মাধ্যমে র্যাগিং নিষিদ্ধ করা হয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং নিষিদ্ধের বিষয়ে গাইডলাইন দেওয়া হয়। সে অনুসারে তামিল নাড়ু, কেরালা, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ র্যাগিং নিষিদ্ধ করে আইন তৈরী করেছে।কানাডা জাপানে র্যাগিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
আমাদের দেশে আবরার হত্যাকাণ্ডের পর র্যাগিং বন্ধে রিট ইস্যু করা হয়, কিন্তু আজ পর্যন্ত Anti Ragging কোন আইন তৈরি করা হয়। রাষ্ট্র এহেন ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করার জন্য আইন তৈরি করতে পারে এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়—সবার উদ্যোগ জরুরি।
আরও পড়ুন: ফেলোশিপে অর্থের পরিমাণ বাড়ানো বুয়েটের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত
প্রতিবছর র্যাগ নিষিদ্ধের নোটিশ না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্তশাসিত হওয়ায় নিজেদের উদ্যোগে Anti Ragging Act প্রণয়ন কর কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের লক্ষ্যে ‘হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা ২০২১’ আইন অনুসরণ করা যেতে পারে। কোনো শিক্ষার্থী এমন অপরাধ করলে তাকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে। শুধু নামকাওয়াস্তে হল থেকে বহিষ্কারে র্যাগিং কখনো বন্ধ হবে না।মানসিকভাবে কাউন্সেলিং করাও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রক্টরিয়াল বডিকে যথেষ্ট ক্ষমতা দিতে এবং একই সাথে দল মত নির্বিশেষে ছাত্র নির্যাতনের তদন্ত করতে হবে। প্রতিবছর ভর্তি নতুন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হওয়ার সময় প্রত্যকের কাছ থেকে এবং অভিভাবকের কাছ থেকে Undertaking নেওয়া যেতে পারে। Anti Ragging Toll Free Helpline ও স্বতন্ত্র কাঠামোয় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে Anti Ragging Cell গঠন করা যেতে পারে।
তাছাড়া হল সংসদে নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র প্রতিনিধি নিয়োগ দিতে হবে । মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তি তে সীট বন্টন করতে হবে। সুস্থ রাজনীতির প্রবর্তনে প্রশাসন ব্যর্থ হলে প্রশাসনিকভাবে হলে সিট বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে হবে। হল প্রভোস্ট ও হল টিউটরদের হলে নিয়মিত সময় দিতে হবে; রাতে হলে টহলের ব্যবস্থা করতে হবে ।
শেষ কথাঃ
বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত জ্ঞানের ভান্ডার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্ঞান তেরি হয়,জ্ঞান সৃষ্টি হয় এবং জ্ঞান বিতরণ করা হয়।দেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে থাকে। সুতরাং তাদের আচার আচরণ ও তেমনটা হওয়া উচিত। র্যাগ নামক অপসংস্কৃতি, ঘৃন্য কাজের সাথে জড়িয়ে কোন ছাত্রের জীবন যাতে হুমকির মুখে না পড়ে সেটাই সকলের প্রত্যাশা। পন্ডিত নেহেরু বলেছিলেন- ‘দেশ ভালো হয় যদি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো হয়’। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো থাকুক।’
প্রভাষক, আইন ও বিচার বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।