দুর্দমনীয় বাংলাদেশের যোগ্যতম স্বপ্নসারথী শেখ হাসিনা
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন-শোষণ থেকে আপাতদৃষ্টিতে মুক্তি মিললেও ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পূর্ব বাংলার জনগণের ভাগ্যে দুঃখ-দুর্দশা ছাড়া কিছুই জোটেনি। এই দীর্ঘ ২৩ বছর পশ্চিম পাকিস্তানী বর্বর অত্যাচারী নরপিশাচরা পূর্ব বাংলার মানুষকে সামাজিক, অর্থনৈতিক, শাসনতান্ত্রিকভাবে নিপীড়ন করেছে।
বাংলার মানুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের দীর্ঘ দিনের দুঃশাসনের মোকাবেলা করেছে। ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালের দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার পরেই শুরু হয় পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাঙালি হারিয়েছে তাদের আপনজন, ত্রিশ লাখ ভাই মুক্তির জন্য শহীদ হয়েছে, দুই লাখ মা-বোন বিসর্জন দিয়েছে তাদের সম্ভ্রম আর তার বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী বাংলার দামাল ছেলেদের কাছে আত্নসমর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয় সূচিত হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী নায়কের বেশে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশে ফিরেই তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে খোলনলচে বদলে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কাজ শুরু করেন। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ৫১তম বিজয় দিবস এবং বিজয় উদযাপনের ৫০তম বার্ষিকী অর্থাৎ সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে। ১৯৭৫ সালের এপ্রিলে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ ২০১৮ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সকল শর্ত পূরণ করে।
এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে যে বাংলাদেশ পরিচিত ছিল, সেই বাংলাদেশ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ জাতিসংঘের সকল শর্ত পূরণ করে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করার কথা থাকলেও দুর্ভাগ্যবশতঃ করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলা করে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। তবে সুখবর এই যে, স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে নিম্ন আয়ের দেশের তালিকায় থাকা বাংলাদেশকে ১ জুলাই ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংক নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় উন্নীত করে।
অজস্র প্রতিকূলতার সাথে সংগ্রাম করে, প্রতিকূলতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ৫০ বছর পথ চলেছে বাংলাদেশ। এই দীর্ঘ পথচলায় দেশ যেমন উন্নত হয়েছে বাজেটের আকারও তেমন বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩০ জুন ১৯৭২ তারিখে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের অর্থাৎ, বাংলাদেশের প্রথম বাজেট ঘােষণা করেন যার পরিমাণ ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। আর ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট এই প্রথম বাজেটের চেয়ে ৭৬৭.০৪ গুণ বেশি।
২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারতকে প্রথমবারের মত ছাড়িয়ে যায়। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১ অনুযায়ী, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু জাতীয় আয় ২,২২৭ মার্কিন ডলার আর মাথাপিছু জিডিপি ২,০৯৭ মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জিডিপি'র নতুন ভিত্তি বছর ২০১৫-১৬ ধরে গণনা শুরু করলে মাথাপিছু আয় দাঁড়ায় ২,৫৫৪ মার্কিন ডলারে। ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৫%। এক সময়ে দুর্ভিক্ষে পতিত হওয়া বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ১৯৭১-৭২ সালে দেশে খাদ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ লাখ টন,যা মোট উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশ। গত ৫০ বছরে দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়েছে প্রতি বছর গড়ে প্রায় তিন শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের উৎপাদন হয় ৪৫৩.৪৪ লাখ মেট্রিক টন। ২০২০-২১ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬৬.৩৫ লাখ মেট্রিক টন।
শেখ হাসিনার দক্ষ হাতে বাংলাদেশ পরিচালনার ভার থাকায় সব ক্ষেত্রেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। ছোঁয়া লেগেছে গার্মেন্টস শিল্পেও। গার্মেন্টস শিল্প থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর অসংখ্য বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে।১৯৬০ সালে বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। রিয়াজ গার্মেন্টস প্রথম ১৯৭৭ সালে প্যারিসভিত্তিক একটি ফার্মের সাথে ১৩ মিলিয়ন ফ্রাংক মূল্যের ১০ হাজার পিস ছেলেদের শার্ট রপ্তানি করে। বর্তমানে বিশ্বে তৈরী পোশাকে রপ্তানিতে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশ তার অগ্রযাত্রার রথ শুধু স্থলেই সীমাবদ্ধ রাখেনি, জলেও তুলেছে বিজয়ের ঝড়। ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমুদ্র এলাকা এবং মহীসােপানে নিরঙ্কুশ অধিকারের দাবিতে ১৪ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে মিয়ানমারের বিপক্ষে সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে (আইটিএলওএস) মামলা করে। ১৪ মার্চ ২০১২ তারিখে আইটিএলওএস বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমা বিরােধ মামলার রায় দেয়। এ রায়ে বাংলাদেশ ১,১১,৬৩ বির্গ কিমি সমুদ্রসীমা লাভ করে, যা আরেকটি বাংলাদেশের সমান প্রায়। অক্টোবর ২০০৯ বাংলাদেশ স্থায়ী সালিশী আদালতে (পিসিএ) ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরােধ নিয়ে মামলা করে। জুলাই ২০১৪ বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা বিরােধের রায় প্রদান করে পিসিএ। ২৫.৬০২ বর্গ কিলােমিটারের মধ্যে বাংলাদেশ লাভ করে ১৯,৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার। মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ১,১৮,৮১৩ বর্গ কিলােমিটার সমুদ্রসীমা অর্জন করে, লাভ করে আরেকটি বিজয়ের স্বাদ। এছাড়া, ১২ মার্চ ২০১৭ চীনের তৈরি দুটি মিং-ক্লাসের সাবমেরিন বানৌজা নবযাত্রা’ ও ‘বানৌজা জয়যাত্রা’ অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে নতুন যুগে পদার্পণ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ৪১তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে যা বাংলাদেশের আরেকটি বড় অর্জন।
‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে সরকার। এখন আমরা পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। ৩০ নভেম্বর ২০১৭ পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম ও একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। এর মাধ্যমে ৩২তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব পরমাণু ক্লাবে যুক্ত হয়।১০ অক্টোবর ২০২১ এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম চুল্লি বা রিএ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে কয়েকটি তথ্য দিয়ে বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বোঝাতে চাই। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৪৬টি। ২০২০-২১ অর্থবছরে মােট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫,২৩৫ মেগাওয়াট। দেশে বিদ্যুতের গ্রাহকসংখ্যা ৪ কোটি ১৪ লক্ষ। বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্ত জনগােষ্ঠী শতকরা ৯৯.৭৫ ভাগ। বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ১৩,৭৯২ মেগাওয়াট।
খনিজ উপাদানেও বাংলাদেশ এখন সমৃদ্ধশালী। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২৮টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। পেট্রোবাংলার সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী, মোট গ্যাস মজুদের পরিমাণ ৩৯.৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১ অনুযায়ী, দেশের জ্বালানি তেলের মজুদ ক্ষমতা প্রায় ১৩.৬০ লক্ষ মেট্রিক টন। দেশে এখন পর্যন্ত ৫টি কয়লা ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে এবং এগুলোতে কয়লার মোট মজুদের পরিমাণ ৩,৩০০ মিলিয়ন টন। এছাড়া দেশে আবিষ্কৃত পিট কয়লা মজুদের পরিমাণ প্রায় ৫১০ মিলিয়ন টন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। এরই ধারাবাহিকতায়, ২০১০ সালে সরকার হাতে লেখা সাধারণ পাসপাের্টের পরিবর্তে মেশিন রিডেবল পাসপাের্ট (এমআরপি) প্রবর্তন করে। এরপর দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বায়নের তাল মিলাতে ২৪ এপ্রিল ২০১৬ ইলেক্ট্রনিক পাসপাের্ট (ই-পাসপাের্ট) প্রদানের ঘােষণা দেয়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশকে বদলে দিলেন
২২ জানুয়ারি ২০২০ বিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপাের্ট কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ডিজিটাল হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রও। বিশ্বের উন্নত দেশের মতাে বাংলাদেশের সব নাগরিক পাচ্ছে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র। এর মাধ্যমে ২২ ধরনের সেবা পাওয়া যাবে। ২০০৭ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর নাগরিকদের লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র দেয় নির্বাচন কমিশন। ফাইভ জি যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ এই বিজয়ের মাসেই। ২৮ নভেম্বর ২০১৯ বাংলাদেশ সরকার এবং চীনের যৌথ অর্থায়নে ও কারিগরিসহায়তায় উদ্বোধন করা হয় জাতীয় ডাটা সেন্টার বা তথ্যকোষ। এটি বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ডাটা সেন্টার | গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে অবস্থিত এ ডাটা সেন্টারটি বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ডাটা সেন্টারটির তথ্য ধারণ ক্ষমতা দুই পেটাবাইট। এ ডাটা সেন্টারে যুক্ত রয়েছে ৪৬,৫০০টি সরকারি অফিস। তবে সবচেয়ে বড় চমক আসে ১১ মে ২০১৮ (বাংলাদেশ সময় ১২ মে ২০১৮)তারিখে। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় কেপ ক্যানাভেরালে অবস্থিত কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯এ (39A) থেকে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয় বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট ক্লাবে যুক্ত হয়।
যোগাযোগের ক্ষেত্রেও অভূতপূর্ব উন্নয়ন উপহার দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। চীনের সাংহাই শহরের আদলে চট্টগ্রাম শহরকে ‘ওয়ান সিটিটু টাউন’রূপে গড়তে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৩.৪ কিমি দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে সরকার। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। ২০২২ সালে টানেলটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
ঢাকা মহানগরী এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে সরকার ৬টি মেট্রোরেল প্রকল্প হাতে নেয়। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের পথটির নাম নাম এমআরটি লাইন-৬, যা ১৮ ডিসেম্বর ২০১২ একনেকে অনুমােদন লাভ করে। ২৬ জুন ২০১৬ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৬টি স্টেশন বিশিষ্ট এই রেলপথের দৈর্ঘ্য ২০.১০ কিলোমিটার। ২৯ আগস্ট ২০২১ দেশের প্রথম মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক পরীক্ষামূলক চলাচল উদ্বোধন করা হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যাত্রী পরিবহন করে চলবে মেট্রোরেল।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন জাতির পিতা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ’৭৫ এর ১৫ আগস্টে আত্নত্যাগী সকল শহীদকে। বিজয় বারবার আসুক, শত্রুকে পরাস্ত করে, শত্রুর মুখে ছাঁই দিয়ে দেশরত্নের হাত ধরে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।
সবাইকে মহান বিজয় দিবস এর শুভেচ্ছা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখক: প্রাধ্যক্ষ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল; কোষাধ্যক্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ