নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম: উন্নত দেশগুলোর সাথে আমাদের পার্থক্য কোথায়
মানব সভ্যতার শুরু থেকেই জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণের প্রক্রিয়া চলে আসছে। জ্ঞানের ব্যাপ্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে এটি আরো পদ্ধতিগত হয়ে ওঠে। শিক্ষা মূলত তিনটি আন্তঃসম্পর্কিত উপাদান নিয়ে গঠিত– শিক্ষণ (টিচিং), শিখন(লার্নিং) এবং মূল্যায়ন(এসেসমেন্ট)। কতটুকু ভাল শিক্ষণ ও শিখন হচ্ছে তা মূল্যায়নের মাধ্যমে জানা যায়। এটি প্রধানত দুই ধরনের- ধারাবাহিক এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন। আমাদের দেশে অনেকেই বছর বা সেমিস্টার শেষে ফাইনাল পরীক্ষাকেই মূল্যায়নের এক মাত্র পথ মনে করে থাকেন যেটা মূলত সামষ্টিক মূল্যায়ন। তবে কুইজ, অ্যাসাইনমেন্ট, ক্লাসে পারদর্শিতা, প্রকল্প, উপস্থাপনা, মধ্যবর্তী পরীক্ষা(অনানুষ্ঠানিক) ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, যেটাকে আমরা ধারাবাহিক মূল্যায়ন বলে থাকি।
মূল্যায়নের আধুনিক ধারণা শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক, বিষয়বস্তু কেন্দ্রিক নয়। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা শিক্ষার্থীদের চাহিদা, যোগ্যতা, উদ্ভাবনী শিক্ষণ এবং মূল্যায়ন কৌশল ইত্যাদির চেয়ে বেশি বেশি বিষয়বস্তু শেখাতে আগ্রহী। তাই প্রায়ই দেখা যায় যে শিশুদের বই এবং আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রের ওজন তাদের নিজস্ব ওজনের চেয়ে বেশি হয়। যাদের মধ্যে সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তি একেবারে থাকে না বললেই চলে। গ্লোবাল নলেজ ইনডেক্স-২০২০ এর জরিপেও এ বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে যেখানে ১৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম।
বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি উচ্চমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ে (এইচএসপিই) প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম (কারিকুলাম) অনুমোদন দিয়েছে। তৃতীয় শ্রেণীর আগে কোনো পরীক্ষা নেই এবং দশম শ্রেণির ৫টি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এসএসসি এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরে দু’টি আলাদা পরীক্ষার ফলাফল একত্রিত করে এইচএসসি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নবম শ্রেণির পরিবর্তে একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা মূল তিনটি কোর্স– বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি এর পাশাপাশি বিজ্ঞান, মানবিক বা ব্যবসায়িক ধারা থেকে আরো কয়েকটি এবং কারিগরি থেকে দু’একটি ঐচ্ছিক কোর্স নিতে পারবে। প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন ২০২২ সাল থেকে শুরু হচ্ছে।
উন্নত বিশ্বের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধারাবাহিক মূল্যায়নের দিকে বেশি মনোনিবেশ করে যেখানে আমরা সামষ্টিক পরীক্ষার উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল, যা মুখস্থ বিদ্যা এবং তা পরীক্ষায় বমি করার মতো খারাপ অভ্যাসের উপর প্রতিষ্ঠিত। উন্নতদেশের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমে একটি যুগোপযোগী, পারফরম্যান্স-ভিত্তিক এবং গঠনমূলক মূল্যায়ন পদ্ধতির সুপারিশ করা হয়েছে। এখানে সামষ্টিকের চেয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। যেমন ১ম থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো সামষ্টিক মূল্যায়ন নেই, শতভাগ ধারাবাহিক তবে পরীক্ষা বা মূল্যায়ন নেই এটি বলা অনুচিত। আবশ্যিক কোর্সগুলোতে চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শতকরা ৬০ ভাগ, নবম ও দশম শ্রেণিতে ৫০ ভাগ এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৩০ ভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে, যদিও ঐচ্ছিক কোর্সগুলোতে এটা শতভাগ পর্যন্ত হতে পারে।
গত ২০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যে অনুরূপ পদ্ধতি অনুসরণ করে আসছে। অবশ্যই এটি একটি ভাল শুরু, কিন্তু আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, শিক্ষার্থীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং এর জন্য আমাদের শিক্ষকরা পেশাদারিত্ব এবং নৈতিকতার সাথে সাথে পুরো মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার উপর ভালোভাবে প্রশিক্ষিত। এখন যদি দেশকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সফল হতে হয়, তাহলে ইতিমধ্যেই যারা এটি বাস্তবায়ন করেছে সেই দেশগুলোর পলিসি এবং প্রাকটিসগুলো অনুসরণ করতে হবে, অন্যথায় ফলাফল শূন্য, এমনকি খারাপও হতে পারে।
নতুন শিক্ষাক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের নীতিনির্ধারকদের অবিলম্বে নিম্নলিখিত বিষয়ে মনোযোগ প্রয়োজন।
১. উন্নত বিশ্বের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্কুল অব এডুকেশন বা ফ্যাকাল্টি অব এডুকেশন বা গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব এডুকেশন রয়েছে যারাই কেবলমাত্র প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক তৈরি করতে পারে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত তিনটি স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে– শৈশবের শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা, এবং মাধ্যমিক/উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা। উন্নত দেশে এই প্রোগ্রামগুলো সরকার সরাসরি অর্থায়ন করে যেখানে অন্যান্য প্রোগ্রামে পড়ার সময় শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ৩০-৫০ হাজার ডলার টিউশন ফি দিতে হয়। বাংলাদেশে শিক্ষা সম্পর্কিত কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যদিও তাদের লক্ষ্যগুলো পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বিশেষ করে ব্লেন্ডেড, অনলাইন ও ডিজিটাল (বোল্ড) শিক্ষার যুগে।
২. শিক্ষা সম্পর্কিত ইনস্টিটিউটগুলো প্রধানত কোর্সের বিষয়বস্তু বা এমনকি সাবজেক্ট বিষয়ে দক্ষতার পরিবর্তে উদ্ভাবনী শিক্ষণ, শেখা এবং মূল্যায়ন পদ্ধতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। কী শেখানোর পরিবর্তে কিভাবে শেখানো যায় এটি সেই বিষয়ে তাদের মনোযোগ দেয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাধ্যমিক শিক্ষার উপর মাস্টার্স প্রোগ্রামে ১৬টি কোর্স রয়েছে যার মধ্যে ১০টি মূল কোর্স, ০২টি পেশাগত অনুশীলন কোর্স ৬০ দিনের জন্যে সরাসরি স্কুলে গিয়ে এবং দুটি বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জনের জন্যে দুটি করে মোট ০৪টি কোর্স নিতে হয় বিজ্ঞান, গণিত, আইটি, আর্টস ইত্যাদি এরিয়া থেকে।
এই প্রোগ্রামের মূল কোর্সের মধ্যে শিক্ষাক্রম ও পেডাগজি বিষয়ক ০৬টি কোর্স রয়েছে– ফাউন্ডেশন, পরিকল্পনা, মূল্যায়ন, প্রথম স্পেশালাইজেশন এরিয়া (যেমন গণিত), দ্বিতীয় স্পেশালাইজেশন এরিয়া (যেমন বিজ্ঞান), এবং লার্নিং প্রজেক্ট। এছাড়া রয়েছে ডিজিটাল পেডাগজি, শিশু ও কিশোর বিকাশ, কালচারাল স্টাডিজ, বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষণ, নেতা এবং উদ্যোক্তা চিন্তাবিদ হিসাবে শিক্ষক ইত্যাদি মানের কোর্স। এখন আমাদের শিক্ষকরা তাদের মাস্টার্স প্রোগ্রামে যা পড়েন তার সাথে এই প্রোগ্রামটির তুলনা করুন– অনেক ভিন্নতা খুঁজে পাবেন। এজন্যেই আমরা ক্রমাগত শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীন বিকাশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছি। সমস্যার মূলে না গিয়ে সারফেস লেভেলে চিন্তা করলে কখনোই ভাল ফল আসবে না।
৩. ধরুন পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি সম্পন্ন একজন গ্রাজুয়েটের কথা। উন্নত দেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পদার্থবিজ্ঞান পড়ানোর সুযোগ তিনি কখনোই পাবেন না যতক্ষণ না তার একটি টিচিং কোয়ালিফিকেশন থাকবে। যেমন মাস্টার অফ টিচিং (সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে দুই মাসের অভিজ্ঞতাসহ)। বাংলাদেশে একজন গ্রাজুয়েট পাশ করার পরপরই একজন শিক্ষক হবার সুযোগ পান যা উন্নত দেশে কখনোই সম্ভব নয়। আমাদের দেশে এ সম্পর্কিত কিছু প্রোগ্রাম থাকলেও সেগুলো বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং প্রাকটিসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
৪. অনেকেই জিজ্ঞাসা করতে পারেন কেনো একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক হিসাবে কাজ করবে। উন্নত দেশগুলো উচ্চমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষকদেরকে সম্মান এবং বেতনের দিক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমান বলে মনে করে। যা বাংলাদেশে নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
৫. উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষকদের পেশাদার লাইসেন্সিং এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রয়োজন হয়। যে কোনও একাডেমিক অসদাচরণ, যৌন হয়রানি, পেশাদারিত্ব এবং নীতিশাস্ত্রের ব্যতয় ঘটে এমন কার্যকলাপ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে কো্নো ব্যক্তি কখনও লাইসেন্স পাবে না ফলে যে কোনো স্তরে শিক্ষক হিসাবে কাজ করার তার আর সুযোগ থাকে না।
৬. প্রচলিত মূল্যায়ন ব্যবস্থায় শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মতোই ব্যর্থ হয় তাদের সৃজনশীলতা এবং বিকাশকে বাধাগ্রস্থ করে। শিক্ষার্থীদের যেমন ব্যক্তিগতকৃত বিষয়বস্তু এবং মূল্যায়নের প্রয়োজন হয়, তেমনি শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা-বিকাশের প্রয়োজন। একজন শিক্ষার্থী কীভাবে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করবেন যদি শিক্ষকের নিজেরই সে দক্ষতা না থাকে? শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ অনেক দক্ষতা অর্জন করা জরুরী যেমন কলাবোরেশন সহপাঠীদের মাধ্যমে শেখা, সমালোচনামূলক চিন্তা-ভাবনা এবং উপযুক্ত পেডাগজি। (অনির চৌধুরী: ২০২১)
৭. ২০২১ সালের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে এটুআই এর পলিসি উপদেষ্টা অনির চৌধুরী বলেছেন যে, শিক্ষার্থীরা কিছু শিখেছে কিনা তা না জেনে শেখানো অর্থহীন একটি ব্যায়াম বৈকি। আমাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে ঠিক আছে কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা যে পদ্ধতিতে এটি করছি তার পরিবর্তন দরকার। প্রচলিত মূল্যায়ন সব সিস্টেমের জন্যে একই সমাধানের নামান্তর। এর পরিবর্তে আমাদের এমন বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হবে যেমন- শিক্ষার্থীর শেখার ইচ্ছা, ব্যবহারিকভাবে জ্ঞান ব্যবহার করার ইচ্ছা, তার সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ ও সহযোগিতা করার ইচ্ছা, চিন্তা-ভাবনায় তার দক্ষতা এবং সমস্যা-সমাধানের ক্ষেত্রে এই জ্ঞানের প্রয়োগ ইত্যাদি। সামষ্টিক পরীক্ষা মাধ্যমে এই দিকগুলো পরিমাপ করা কঠিন। কিন্তু একুশ শতকের দক্ষতার এই প্যারামিটারগুলি মূল্যায়নের জন্য উদ্ভাবনী গঠনমূলক বা ধারাবাহিক মূল্যায়নগুলো কার্যকরী বিকল্প হতে পারে।
নতুন শিক্ষাক্রম পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের আগে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুতি প্রয়োজন, সেটা স্থানীয়ভাবে ও জাতীয়ভাবে হতে পারে। সনাতন শিক্ষা ব্যবস্থা এখন আর অতটা কার্যকর নয়, ঠিক তেমনি সনাতন মূল্যায়ন কৌশলও। একুশ শতকের দক্ষতার জন্য একুশ শতকের শিক্ষাব্যবস্থার প্রয়োজন। এই ধারণার উপর ভিত্তি করে, আমি বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’তে ব্যাচেলর ইন আইসিটি এডুকেশন চালু করেছিলাম ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার অফ টিচিং ইন ডিজিটাল এডুকেশন প্রস্তাব করেছি ২০২১ সালে।
এই ধরণের প্রোগ্রামের গ্রাজুয়েটরা টেকনোলজি ও পেডাগজি’তে সমানভাবে দক্ষ হবে এবং প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাক্রম সংস্কারের ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। তাই প্রোগ্রামগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন নির্ভর প্রস্তাবিত এইচএসপিই শিক্ষাক্রম আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যে একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে একটি সাহসী উদ্যোগ কিন্তু সতর্কতার সাথে পরিকল্পনা, ডিজাইন ও বাস্তবায়ন না করতে পারলে এটি একটি দুঃসহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে পারে।
লেখক: ড. মো. আকতারুজ্জামান
বোল্ড লার্নিং এবং এইচএসপিই কারিকুলাম এক্সপার্ট
পরিচালক, ব্লেন্ডেড লার্নিং সেন্টার, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
প্রতিষ্ঠাকালীন বিভাগীয় প্রধান, আইসিটি ও শিক্ষা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি।