শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশকে বদলে দিলেন

লেখক
লেখক  © টিডিসি ফটো

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৫ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ সন্তান হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭ সালের আজকের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

সংগ্রামে দুর্বার ও নেতৃত্বে ক্ষুরধার শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রী সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা পারিবারিক প্রভাবের সুবিধাভোগী কোন রাজনীতিক নন, তিনি মাঠে ময়দানে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কিংবা ভয়াল শোষক সরকারের সাথে লড়াই করে বেড়ে ওঠা এক পোক্ত নেত্রী।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোটবোন শেখ রেহানা সে সময় পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান। ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডে থেকে তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা থেকে গণতন্ত্রকে গায়েব করে দিয়ে যে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল তাকে সমুলে উৎপাটিত করতে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। যার ফলে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হন এবং শাসকগোষ্ঠির রোষানলে পড়ে দফায় দফায় কারান্তরীণ হন।

কিন্তু এতেই ঘাতকদের নিষ্ঠুর আত্না পরিতৃপ্ত হয় নি। বঙ্গবন্ধুর মতো তাঁকেও চিরতরে শেষ করে দেয়ার জন্য তাঁর উপর কমপক্ষে ২২বার সশস্ত্র হামলা করা হয়।

১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য বারবার হামলা করা হয়। ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন চলাকালে তাঁকে লক্ষ করে গুলিবর্ষণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে তাঁর কামরা লক্ষ করে অবিরাম গুলিবর্ষণ করা হয়। ২০০০ সালে কোটালীপাড়ায় হেলিপ্যাডে এবং শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে ৭৬ কেজি ও ৮৪ কেজি ওজনের দু’টি বোমা পুতে রাখা হয়। শেখ হাসিনা পৌঁছার পূর্বেই বোমাগুলো সনাক্ত হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। বিএনপি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাঁকে লক্ষ্য করে একবিংশ শতাব্দীর জঘন্যতম রাজনৈতিক হামলা করা হয়। ঐদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এক জনসভায় বক্তব্য শেষ করার পরপরই তাঁকে লক্ষ করে এক ডজনেরও বেশি আর্জেস গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। লোমহর্ষক সেই হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও সাবেক রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানসহ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ২২ জন নেতাকর্মী নিহত হন এবং পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হন। শেখ হাসিনা নিজেও কানে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ভাত-ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা। বারংবার হামলার পরেও অবিচল দাঁড়িয়ে থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ বিশ্বের বুকে পরম গৌরবের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছেন। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে শেখ হাসিনা প্রথম বারের মতো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। প্রথম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর  উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং-সম্পূর্ণতা অর্জন। এছাড়া, তিনি কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন, দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দুস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প।

২০০৯-২০১৩ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৩,২৬০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, গড়ে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন, ৫ কোটি মানুষকে মধ্যবিত্তে উন্নীতকরণ, ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে সামুদ্রিক জলসীমা বিরোধের নিষ্পত্তি, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কৃষকদের জন্য কৃষিকার্ড এবং ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা, বিনা জামানতে বর্গাচাষীদের ঋণ প্রদান, চিকিৎসাসেবার জন্য সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৩৮.৪ থেকে ২০১৩-১৪ বছরে ২৪.৩ শতাংশে হ্রাস, জাতিসংঘ কর্তৃক শেখ হাসিনার শান্তির মডেল গ্রহণ ইত্যাদি।

২০১৪-২০১৮ মেয়াদে উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণ, ভারতের পার্লামেন্ট কর্তৃক স্থল সীমানা চুক্তির অনুমোদন এবং দুই দেশ কর্তৃক অনুসমর্থন, (এর ফলে দুই দেশের মধ্যে ৬৮ বছরের সীমানা বিরোধের অবসান হয়েছে), মাথাপিছু আয় ১,৬০২ মার্কিন ডলারে উন্নীতকরণ, দারিদ্র্যের হার ২২.৪ শতাংশে হ্রাস, ৩২ বিলিয়ন ডলারের উপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন শুরু, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপন ইত্যাদি।

চতুর্থ মেয়াদে এ পর্যন্ত অর্জিত উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে অন্তভুক্তিকরণ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্তির দিকে নিয়ে যাওয়া এবং ঢাকায় মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বেশ কয়েকটি জেলা শহরের সংযোগ সড়ক চার-লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, মাতারবাড়ি বহুমুখী প্রকল্পসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মিত হচ্ছে। সবগুলি বিভাগে আইসিটি পার্ক নির্মাণের কাজ চলছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২২২৭ মার্কিন ডলার এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।

স্বাধীনতা লাভের পর আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার আমাদের উপহাস করেই বলেছিলেন, 'তলাবিহীন ঝুড়ি'। সেই 'তলাবিহীন ঝুড়ি'র দেশ আজ নিজেদের মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় নিজেদের নাম লেখাতে চলেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। জননেত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ২০০৯ সালে সরকার গঠনকালে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ঘোষণা করেছিলেন ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ'। স্বপ্ন আর স্বপ্ন নেই, বাস্তবে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের সবচাইতে দ্রুত বর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতির অংশ আজ বাংলাদেশ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার অধিকার দেন। দীর্ঘদিন অবিচারের গ্লানি বেড়িয়েছে বাংলাদেশ। দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে এগিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত হয়,কলঙ্কমুক্ত হয় বাংলাদেশ। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে অন্যতম সফল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে বাংলাদেশ। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে অগ্রণী ভূমিকার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনামূলক সন্ত্রাসবাদ রিপোর্টে (কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম) বিশেষ প্রশংসায় ভূষিত হয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে সুদীর্ঘ ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো তাকে 'হুপে-বোয়ানি' শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের রানডলপ ম্যাকন উইমেন্স কলেজ ২০০০ সালের ৯ এপ্রিল মর্যাদাসূচক 'পার্ল এস. বাক ৯৯' পুরস্কারে ভূষিত করে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনাকে সম্মানজনক 'সেরেস' মেডেল প্রদান করে। সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ শেখ হাসিনাকে ১৯৯৮ সালে 'মাদার তেরেসা' পদক প্রদান করে। একই বছর আন্তর্জাতিক রোটারি ফাউন্ডেশন তাকে 'পল হ্যারিস' ফেলোশিপ প্রদান করে। পশ্চিমবঙ্গ সর্বভারতীয় কংগ্রেস ১৯৯৭ সালে তাকে প্রদান করে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু স্মৃতিপদক। আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাব ১৯৯৬-৯৭ সালে তাকে 'মেডেল অব ডিসটিংশন' ও ১৯৯৬-৯৭ সালে 'হেড অব স্টেট' পদক প্রদান করে।

শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের কিছুদিন পরেই শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অসামান্য ভূমিকা পালনে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে লাভ করেন ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার। এ ছাড়া তিনি ব্রিটেনের গ্লোবাল ডাইভারসিটি পুরস্কার এবং দু'বার সাউথ সাউথ পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৪ সালে ইউনেস্কো তাকে 'শান্তির বৃক্ষ' এবং ২০১৫ সালে উইমেন ইন পার্লামেন্টস গ্লোবাল ফোরাম নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তাকে রিজিওনাল লিডারশিপ পুরস্কার এবং গ্লোবাল সাউথ-সাউথ ডেভেলপমেন্ট এক্সপো-২০১৪ ভিশনারি পুরস্কারে ভূষিত করে। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে অবদানের জন্য আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫ সালে তাকে সম্মাননা সনদ প্রদান করে। জাতিসংঘ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচি দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশ এবং টেকসই উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে শেখ হাসিনাকে তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার 'চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ-২০১৫' প্রদান করে। এ ছাড়া টেকসই ডিজিটাল কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) শেখ হাসিনাকে 'আইসিটিস ইন সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২০১৫' প্রদান করে।

২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ আখ্যায়িত করেছে আর্থ ইনস্টিটিউট, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর জন্মদিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যুক্ত হতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করবেন। তাঁর অনুপস্থিতিতেই দিনটিতে উৎসবমুখর পরিবেশে নানা কর্মসূচি পালন করবে তার নেতৃত্বাধীন দল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। আমরা এই আত্নত্যাগী মমতাময়ী জননীর জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। দেশের জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য তিনি বেঁচে থাকুন হাজার বছর।

লেখক: প্রাধ্যক্ষ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল; কোষাধ্যক্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ


সর্বশেষ সংবাদ