‘সিলেকশনের মাধ্যমে ভর্তিচ্ছুদের বিকশিত হওয়ার পথ বন্ধ করা হয়েছে’
- অধ্যাপক ড. মো. সহিদুজ্জামান
- প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:০৫ PM , আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:০৫ PM
সমন্বিত বা গুচ্ছপদ্ধতিতে স্নাতক ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা একটি বহুল প্রতীক্ষিত বিষয়। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের কৃষি শিক্ষাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এটি শুরু করেছে। এবছর সাধারন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদন গ্রহণও শেষ হয়েছে। সমজাতীয় এসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এতে প্রতিবছর দেশব্যাপি শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে যে যাতায়াত ও অন্যান্য হয়রানির স্বীকার হয়, তা থেকে হয়ত বেঁচে যাচ্ছে। কিন্তু এই সমন্বিত পরীক্ষায় সিলেকশন পদ্ধতি থাকায় তাদের শিক্ষাজীবন কতটুকু বাঁচবে বা বাঁচছে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এবছর অটোপাশের কারণে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এই সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।
এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৯ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছেন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার, জিপিএ-৫ থেকে ৪-এর মধ্যে পেয়েছেন ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪০ জন এবং জিপিএ-৩.৫ থেকে ৪-এর মধ্যে পেয়েছেন ৩ লাখ ৪ হাজার ১৪৪ জন। তথ্য অনুসারে, ৯ লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করবে। এবছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ৮০ শতাংশই বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ থেকে ৪-এর মধ্যে কতজন বিজ্ঞান বিভাগের তার কোন তথ্য পাওয়া না গেলেও যদি ৫০ শতাংশ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হয় সেক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যায় মোট জিপিএ ৮ নিয়ে প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষার্থী এবছর বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগীতা করবেন। আবার গত বছরের কিছু শিক্ষার্থীও এবার ভর্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন। অথচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শিক্ষার জন্য এবছর ৬০ হাজার আসনের মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার আসন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য। এর মধ্যে ২৬ হাজার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৩ হাজার ২১২ মেডিকেলে এবং ডেন্টালে ৫৪৫টি।
এদিকে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে মোট ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪০৬ শিক্ষার্থী প্রাথমিক আবেদন করেছেন। এতে বিজ্ঞান বিভাগে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪১ জন আবেদন করলেও প্রাথমিক বাছাইয়ের পর ১ লাখ ৩১ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন যা বিজ্ঞান বিভাগে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীর প্রায় ৬৭%। প্রাথমিক বাছাইয়ে যোগ্যতা থাকার পরও প্রায় ৩৭% শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ারই সুযোগ পাচ্ছেন না। অবশ্য মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে সকলেই পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন এবছর।
চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটে এই তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ৩ হাজার ২০১টি আসনের জন্য যোগ্য আবেদনকারীর মধ্য থেকে শীর্ষ ৩০ হাজার জনকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে। সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন সংখ্যার ১০ গুন অর্থ্যাৎ প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ গুচ্ছ পদ্ধতিতে না আসা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞান শাখায় আসন সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার।
সবমিলিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয়গুলোতে গত বছরের তুলনায় তীব্র প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে গুচ্ছপদ্ধতিতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত পদ্ধতির প্রাথমিক বাছাই বা সিলেকশনের পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের মধ্যে। বিগত বছরে দেখা গেছে যাদের এসএসসি ও এইচএসসি মিলে ন্যূনতম ৯.১৫ (চতুর্থ বিষয় বাদে) রয়েছে শুধু তারাই কৃষির গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছে। এবছর কৃষির সমন্বিত পরীক্ষায় উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও বায়োলজি বিষয়ের মোট নম্বর এবং প্রকৌশলের সমন্বিত পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে সিলেকশন করা হয়। এতেকরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মোট জিপিএ ভাল হলেও এসব বিষয়ে যারা কোন কারণে খুব ভাল নম্বর পায়নি তারা সিলেকশন প্রক্রিয়ায় বাদ পড়ে যায়। যারা পরীক্ষা দিতেই পারবে না তাদের থেকে টাকা নেয়া হল কেন এবং এভাবে যদি সিলেকশন হয় তাহলে ৮ পয়েন্ট হলেই আবেদন করার সুযোগ দিয়েছিল কেন তা নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। অনেক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের আর্থিক অনটন কিংবা পারিবারিক বা স্বাস্থ্যগত সাময়িক কোনো সমস্যার কারণে এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষায় উক্ত বিষয়গুলোর কোন একটি বা দুটিতে ভাল নম্বর না পেলেও তারা সিলেকশন পাওয়া শিক্ষার্থীর তুলনায় অধিক মেধাবী ও যোগ্য হতে পারে যা কিনা ভর্তি পরীক্ষায় উল্লেখিত বিষয়গুলোতে বেশী নম্বর রেখেও মূল্যায়ন করা যেত। তাই এ বাছাই প্রক্রিয়ায় অনেকেই যোগ্য হলেও তাদের বিকশিত হওয়ার পথ আগেই বন্ধ করে দেয়া হল।
বিগত বছরগুলোতে কৃষিবিজ্ঞানে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদনের যোগ্যতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট জিপিএ-৯ চাওয়া হলেও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জিপিএ অপেক্ষাকৃত কম থাকত। দেখা গেছে, ২০১৮-১৯ স্নাতক শিক্ষাবর্ষে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মোট জিপিএ-৬, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৬.৫, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৭ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭.৫। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছপদ্ধতিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মোট জিপিএর চতুর্থ বিষয় ছাড়া ৭ এবং এ বছর চাওয়া হয়েছে ৮। এতে যেসব শিক্ষার্থীর জিপিএ-৭ বা ৮ এর কম নিয়ে যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ হতো এবং কৃষিবিদ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন, তাঁরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি) ছাড়া বাকি পাঁচটিতে বিগত বছরগুলোতে আবেদনকৃত যোগ্য সব শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকত। কিন্তু গত বছর এবং এ বছর নতুন গুচ্ছপদ্ধতির আওতায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সে সুযোগ রাখা হয়নি। যেখানে সাতটি কৃষিভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই লক্ষাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেতেন, সেখানে মাত্র প্রায় ৩৫ হাজার জনকে (মোট আসনের ১০ গুণ) সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের জিপিএর ভিত্তিতে আবেদনের সুযোগ দিয়ে এবং বিশেষ বিষয়ের নম্বরের উপর ভিত্তি করে প্রার্থী বাছাই (সিলেকশন) দ্বৈত নীতির নামান্তর। দেখা যায়, যারা এক পরীক্ষায় সিলেকশন পান তারাই সব পরীক্ষায় সুযোগ পান। অন্যরা অধিকাংশ জায়গায় পরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। দ্বিতীয়বারের মতো এই গুচ্ছপদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকলেও ১০ গুণ বাছাই প্রক্রিয়ায় তাঁরা সুযোগ পাবেন না, পেলেও তাদের সংখ্যা নগন্য। সুতরাং সেখানে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকা আর না থাকা একই কথা।
কৃষি ও প্রকৌশলভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো (কয়েকটি বাদে ) যদি গুচ্ছপদ্ধতিতে আসার আগে আবেদনকৃত যোগ্য সব শিক্ষার্থীর জন্য ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করতে পারে, তাহলে এই সাত বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিতভাবে কেন পারবে না-এ প্রশ্ন থেকেই যায়। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজগুলো যদি ভর্তি-ইচ্ছুক সব প্রার্থীর জন্য ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করতে পারে, তাহলে তারা কেন পারবে না।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পরে হয়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এসএসসি ও এইচএসসির নম্বরের ভিত্তিতে সিলেকশন করলেও তাদের সিলেকশন অনেক বেশি। এ কারণে কৃষি ভর্তি পরীক্ষা শেষে হওয়ায় অনেকেই পরীক্ষা দেয় না। গতবছর মাত্র ২৪ হাজার ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে। এবার করোনার জন্য ও বিভিন্ন কারণে সেই সংখ্যা আরো কমতে পারে। উপরন্তু যে সমস্যাটি দেখা দেবে তা হলো, সামনের সারির এসব শিক্ষার্থী ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিকভাবে ভর্তি হলেও তাদের অধিকাংশের অন্যত্র ভালো কোথাও চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, ফলে আসনসংখ্যা খালি থেকে যাবে। যেখানে দেশে উচ্চশিক্ষায় আসনসংখ্যা সীমিত, সেখানে গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির এমন সিদ্ধান্তের কারণে অনেকেই উচ্চশিক্ষায় ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে, যা নিঃসন্দেহে অনাকাঙ্ক্ষিত। যেখানে দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ কম, সেখানে প্রতি আসনের বিপরীতে মাত্র ১০ জন লড়াই করবে, যেটা আসলেই স্বপ্নের মতো। অথচ গুচ্ছপদ্ধতিতে না আসা প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালগুলোতে প্রতি আসনের জন্য শতাধিক প্রার্থী লড়াই করে।
কিছু ভর্তিচ্ছু আক্ষেপ করে বলেন, “অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিবে না দেখে ছবিও আপলোড করেনি। তাদের জায়গাতেও অন্যকেউ পরীক্ষা দিতে পারবেনা। সরকারী মেডিকেল বা প্রাইভেট মেডিকেলেও যারা ভর্তি হয়ে ক্লাস করছে তারাও কৃষিতে আবেদন করেছিলো। তাদের সীট তো ফাঁকাই থাকবে”। বাছাইকৃতদের মধ্যে শতভাগ যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন সেটিও নয়। অনেকসময় ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ২৫% পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকে। সবকিছু মিলে অনেক শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ একবাবেই সীমিত হয়ে যায়। ফলে প্রতি সিটের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা প্রমানের সুযোগ দারূনভাবে কমে যায় । যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তাদের আবার অনেকেই ভাল অন্য কোথাও চলে যায়। ফলে যে আসনগুলো ফাঁকা থাকে সেগুলো আর পূরণ করার সুযোগ থাকে না।
তাই সিলেকশন যদি এবছর একবারেই বাতিল করা না যায় সেক্ষেত্রে সিলেকশন বৃদ্ধি করার যায় কিনা সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সদয় দৃষ্টি দিবেন এই প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের।
পরীক্ষার প্রবেশপত্র বা এডমিট ডাউনলোড কতজন করলেন তা দেখেও বুঝা যাবে যে পরীক্ষায় কতজন অংশগ্রহণ করবেন। ডাউনলোডের সংখ্যা সিলেকশনের সংখ্যার তুলনায় কম হলে সেক্ষেত্রে সিলেকশনের সংখ্যা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সুযোগ দিলে কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেত।
জানা গেছে, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছপরীক্ষায় সবচেয়ে বেশী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ঢাকা বোর্ড থেকে, এরপর রাজশাহী, দিনাজপুর এবং সবচেয়ে কম যশোর বোর্ড থেকে। অর্থ্যাৎ উত্তরবঙ্গ (রাজশাহী ও দিনাজপুর বোর্ড) থেকে সবচেয়ে বেশী শিক্ষার্থী কৃষির ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করে থাকেন। উত্তরবঙ্গে কোন কেন্দ্র না রাখায় বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ঢাকায় অথবা ময়মনসিংহে গিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। এবারের গুচ্ছ পরীক্ষায় করোনার কথা মাথায় রেখে এসব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি কমাতে উত্তরবঙ্গে একটি বা দুটি কেন্দ্র করা যেত। এক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বা রংপুরে অবস্থিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র করা যায় কিনা তা ভেবে দেখার অনুরোধ করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
লেখা: সংগৃহীত
লেখক: লেখক ও গবেষক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়