০৫ জুন ২০২১, ১৫:২০

বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন পরীক্ষার সম্ভাব্য রূপরেখা

ড. গৌতম সাহা ও মিলি সাহা  © টিডিসি ফটো

যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস এবং পরীক্ষা সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য প্রথমে দরকার একটি ওয়েবভিত্তিক লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অনলাইন লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ক্যানভাস বা ব্ল্যাকবোর্ডের ব্যবহার করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। পৃথিবীর প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে পুরোদমে।

করোনাকালীন শিক্ষায় গুগল মিট, গুগল ক্লাস ও জুম্সহ আরো অনেক এলএমএস বাংলাদেশেও ব্যবহৃত হচ্ছে সাফল্যের সাথে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা একটি  সার্বজনীন প্লাটফর্ম তৈরি করতে পারি অথবা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সামর্থ্য ভেদে স্ব মূল্যে বা বিনামূল্যে ব্যবহার উপযোগী একটি প্লাটফর্ম বেছে নিতে পারি। তবে কিভাবে এই ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্বিকভাবে কি করে কাজ করবে, যেমনঃ কোর্স সম্পর্কিত বিবৃতি, কুইজে অংশগ্রহণ এবং তৈরি করা, ভিডিও শেয়ার করা ও দেখা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী যোগাযোগ বা বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, এসাইনমেন্ট তৈরী ও জমা দেয়া, ফোরামে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা ও হওয়া, শিক্ষার্থীদের  অর্জিত জ্ঞানের মূল্যায়ন ও গ্রেডিং, টিচিং ম্যাটেরিয়ালস ও রিসোর্সেস শেয়ার ও ব্যবহার করা, প্লেজারিজ্ম চেক করা ইত্যাদি বিষয়ে প্রত্যেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর ট্রেনিং বা অনুশীলন নিশ্চিত করতে হবে; প্ৰয়োজনে নির্দেশনা সম্বলিত ভিডিও রেকর্ড সরবরাহ করতে হবে।

কেবলমাত্র তারপরই আমরা পরীক্ষার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। ইতোমধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা এসব প্রক্রিয়ায় অভ্যস্থ হয়ে গেলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্র-শিক্ষক এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায়নি, যেটি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই মুহূর্তে অনলাইন পরীক্ষা শুরুর ক্ষেত্রে একটি সাময়িক প্রতিবন্ধকতা। যদিও আমাদের বিশ্বাস, একটি বা দু'টি ক্লাসে তাদেরকে সবগুলি বিষয়ই শেখানো সম্ভব।  

কিভাবে আমরা ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষা এসব লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে নিতে পারি? ইতোমধ্যেই ৩০ নম্বরের ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য অনেক শিক্ষকই গুগল ফর্ম, গুগল ক্লাস, বা গুগল ডকস ব্যবহার করে কুইজ, এসাইনমেন্ট, ও প্রেজেন্টেশন নিয়েছেন। যদিও সবচে’ চ্যালেঞ্জিং অংশটি হলো ৭০ নম্বরের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়া, যেটি গুগল ডকস ছাড়া আপাতঃদৃষ্টিতে সম্ভব নয়। তবে সেখানেও প্লেজারিজ্ম চেকারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারলে সম্পূর্ণ পরিকল্পনাই অর্থহীন হয়ে যাবে। বলতে গেলে সমগ্র মূল্যায়ন পদ্ধতিতেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং তা নিশ্চিত করা না গেলে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে। আশার কথা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলির জন্য টার্নিটিন সফটওয়ারটি ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

জুলাই নাগাদ করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সমূহ সকল সীমাবদ্ধতার মধ্যেও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ও শিক্ষাব্যবস্থায় স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে একেবারে নির্ভুল না হলেও কিছুটা ছাড় দিয়ে অনলাইন পরীক্ষা শুরু করা জরুরি বলে আমাদের মত। বৈশ্বিক এই বিপর্যয়ের মধ্যে সামগ্রিক শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন যেমন আমরা মেনে নিয়েছি বিগত বছরে, শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান মূল্যায়ন বা গ্রেডিংয়ের দিকটিতেও কিছুটা জটিল পরিস্থিতি ও ছাত্র  কল্যাণের কথা ভেবে মধ্যপন্থী কোনো সমাধান আবশ্যক। 

শিক্ষার্থীদের সামর্থ্য ও প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার কথা ভেবে ধারাবাহিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে উপস্থিতি ও ক্লাস পারফরমেন্সে শিক্ষার্থীদের পুরো ১০ নম্বর দিয়ে বাকি ২০ নম্বরের জন্য আমরা  প্রেজেন্টেশন–১০, হোম ওয়ার্কস/অ্যাসাইনমেন্টস–১০, কুইজ–১০, প্রজেক্ট–১০ এর যেকোনো দু'টি  পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারি। মিডটার্মে একটি ১০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা গুগল ডকে নিলে অন্যটি গুগল ফর্মে ওপেন-এন্ডেড ছোট প্রশ্ন, শর্ট-নোট, মেটেরিয়াল এন্যালাইসিস, এবং ব্যাখ্যা মিলিয়ে নেয়া যায় যেটি মাল্টিপল বা ইউনিভার্সাল এসেসমেন্ট নিশ্চিত করবে সকল ছাত্রদের জন্য।

নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে অনলাইন ক্লাসে সবার প্রেজেন্টেশন নেয়া অনিশ্চিত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ৫-৭ মিনিটের একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন তৈরী করে গুগল ক্লাসরুমের নির্ধারিত স্থানে আপলোড করতে পারে। শিক্ষকরা শূন্যস্থান পূরণ ও বহু নির্বাচনী প্রশ্নে কুইজের প্রশ্ন তৈরী করতে পারেন বা বিভিন্ন ছবি বা ইউটিউব লিংক দিয়ে ওপেন-ম্যাটেরিয়াল টেস্ট দিতে পারেন। সম্ভব হলে, একাধিক কুইজের প্রশ্ন প্রস্তুত রাখা যেতে পারে; যদি কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারে তাহলে পরবর্তীতে কোনো সময়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। শিক্ষার্থীরা সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় পাবে এবং কোর্সের বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে পরীক্ষার সময় বিভিন্ন হবে।

শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ছোট প্রকল্পের কাজ লিখিত আকারে জমা দিতে পারে বা গুগল সাইট, উইবলি বা উইক্সে ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে সেখানে তাদের প্রজেক্টের কাজকে উপস্থাপন করতে পারে। এসব প্রকল্প বা   এসাইনমেন্টের কাজ গ্রুপে করলে প্রযুক্তির সুবিধা-বঞ্চিত বা সীমিত  সুযোগ আছে এমন শিক্ষার্থীরা মূল্যায়নে বঞ্চিত হবে না। তারা কোনো না কোনোভাবে অংশগ্রহণ বা অবদান রাখতে পারবে। গ্রুপে কাজ করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরকে এই প্রজেক্টে তাদের নিজ নিজ কাজের অংশটি উল্লেখ করতে হবে।

মিডটার্ম বা ইনকোর্স পরীক্ষার জন্য শিক্ষকরা গুগল লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে প্রশ্ন আপলোড করে সময়সূচী ঠিক  করে রাখলে পরীক্ষার দিন নির্দিষ্ট সময়ে প্রশ্ন শিক্ষার্থীরা পেয়ে যাবেন। এতে করে শিক্ষকের নেটওয়ার্ক সমস্যায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে না। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এবং উত্তরপত্র আপলোড দেবার জন্য ১৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় পাবে তারা। শিক্ষার্থীরা চাইলে লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত ডক ফাইল অপশনে পরীক্ষা দিতে পারে অথবা হাতে উত্তর লিখে উত্তরপত্রগুলি পিডিএফ ফাইল বা ছবি হিসাবে আপলোড করতে পারবে। তবে প্লেজারিজম চেকার ব্যবহার করতে হবে এমন উত্তরের ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইল বা গুগল ডকেই জমা দিতে হবে।   

আমরা তিনটি ভিন্ন উপায়ে ফাইনাল পরীক্ষা নেয়ার কথা ভেবেছি এবং এর মধ্যে আমরা কোনও একটি বেছে নিতে পারি।

পদ্ধতি ১: আমরা ১ ঘন্টা ত্রিশ মিনিটের পরীক্ষা নিতে পারি যা লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর সাথে যুক্ত জুম বা গুগল মিট ব্যবহার করে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হতে পারে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের ভিডিও মোডটি স্যুইচ অন করে রাখতে হবে এবং পরীক্ষা শেষে তারা তাদের উত্তরপত্র পিডিএফ ফাইল আকারে আপলোড করার জন্য অতিরিক্ত ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় পাবে। শিক্ষকরা চাইলে ছোট ছোট গ্ৰুপে শিক্ষার্থীদেরকে ভাগ করে পরীক্ষার জন্য ব্রেকআউট রুম ব্যবহার করতে পারেন এবং সেই কক্ষে প্রক্টরিংও করতে পারেন। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর আগে শিক্ষকদেরকে তাদের বসার ব্যবস্থাটি প্রদর্শন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার সময় তাদের জায়গা থেকে উঠে যেতে পারবে না এবং পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তারা কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করার অনুমতি পাবে না।

পদ্ধতি ২: আমরা “ওপেন বুক” পরীক্ষা নিতে পারি যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রশ্নগুলির সমাধান করে পিডিএফ বা ওয়ার্ড ফাইল করে নির্দিষ্ট স্থানে আপলোড করবে। এই পরীক্ষা দেবার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে নির্দিষ্ট সময়সীমার বেঁধে দেয়া হবে এবং তারা যে কোন ধরণের অনলাইন উপকরণ ব্যবহার করার অনুমতি পাবে।

পদ্ধতি ৩: এই পদ্ধতিতে শিক্ষক বিষয় ভিত্তিক কিছু টপিক শিক্ষার্থীদেরকে পড়ার জন্য দিয়ে দেবেন। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই বিষয়গুলি নিয়ে অধ্যয়ন করবে এবং পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক/শিক্ষকরা নির্দিষ্ট দিনে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য মৌখিক পরীক্ষার ব্যবস্থা নেবেন। এই মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। 

ব্যাবহারিক পরীক্ষার জন্য শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদেরকে ব্যাবহারিক ক্লাসের ভিডিও লেকচার এবং ক্লাস সম্পর্কিত উপকরণ সরবরাহ করবেন যাতে করবে তারা সেগুলি বুঝতে পারে এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারে। কম্পিউটার/ব্যাবহারিক পরীক্ষার জন্য আমরা ১০০ নম্বরকে দুটি ভাগে বিভক্ত করব। প্রথম ভাগটি হবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন যার নম্বর হবে  হতে পারে ৫০-৭০; এই মূল্যায়নে আমরা শ্রেণীকক্ষে উপস্থিতি ও অংশগ্রহনের জন্য ১০ নম্বর সবার জন্য রেখে প্রেজেন্টেশন-২০, হোম ওয়ার্কস/অ্যাসাইনমেন্টস-১৫, ল্যাব রিপোর্ট-২৫ রাখা যেতে পারে। শিক্ষার্থীদেরকে ১টি অ্যাসাইনমেন্ট ও ২টি ভিডিও প্রেজেন্টেশন প্রস্তুত করতে হবে যার সর্বনিম্ন সময়কাল হবে ১০ মিনিট। তাদেরকে একটি ব্যাবহারিক পরীক্ষার প্রতিবেদন লিখতে হবে এবং সেই ল্যাব রিপোর্টের আকার ২৫ থেকে ৩০ পৃষ্ঠা হবে। ফাইনাল পরীক্ষা হবে ৩০ নম্বরের এবং সেটা উপরে বর্ণিত যে কোনো নিয়মেই নেয়া যাবে।

পরিশেষে পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থী কিছু বিধি-নিষেধ মেনে চললে সুষ্ঠুভাবে অনলাইন পরীক্ষা নেয়া সম্ভব। পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পরিচয় পত্রটি দেখাতে হবে। শিক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর আগে তার বসার জায়গাটি শিক্ষককে দেখিয়ে পুরো মুখটি পরীক্ষা চলাকালীন সময় দৃশ্যমান রাখতে হবে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অন্য কোনও ব্যক্তি ঘরে প্রবেশের অনুমতি পাবে না। ঘরের আলো অবশ্যই যথেষ্ট উজ্জ্বল হতে হবে। আসে-পাশের ওয়াল বা টেবিলে লেখা থাকবে না। পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা কেবলমাত্র সাদা কাগজ, কলম, পেন্সিল এবং একটি সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করার অনুমতি পাবে। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা যে ফোন বা কম্পিউটারটি ব্যবহার করবে তাতে একাধিক ডিসপ্লে থাকতে পারবে না।

পরীক্ষা শুরু করার আগে শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই ফোন বা কম্পিউটারে থাকা অন্যান্য প্রোগ্রাম বন্ধ করতে হবে। শিক্ষার্থীরা এক্সেল, ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট, যোগাযোগ প্রোগ্রাম যেমন স্কাইপ, ম্যাসেঞ্জার, গুগলটক ইত্যাদির মতো মাধ্যমগুলি ব্যবহার করবে না। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার উইন্ডো ছাড়া অন্য কোনও ওয়েবসাইট খুলবেন না। যেহেতু শিক্ষক পরীক্ষার্থীর ঘরের সবটুকু দেখতে পাবে না, সে চাইলে এসব মানতে পারে, আবার নাও পারে! তবে এই দুর্যোগকালে যেভাবে সারা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাজীবন এগিয়ে নিতে পেরেছেন, আমরাও সেই চেষ্টা করতে চাই। এক্ষত্রে সততার সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপরই থাকবে; এটি বলতে গেলে তাদের জন্য একটি 'লিটমাস টেস্ট' - নিজেদের ভালোর জন্য তারা কি করবে সেই সিদ্ধান্ত নেয়া ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেয়ার এটিই সঠিক বয়স। নিজেকে প্রমানেরও এটিই সঠিক সময়!!   

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, গণিত ও ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।