০৪ জুন ২০২১, ০০:২৮

'গণপরিবহনে নারীরা অনিরাপদ, তাই টিউশনির জমানো টাকায় মার্শাল আর্ট শিখি'

মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ  © ফাইল ছবি

কিছুদিন আগে সাভারে চলন্ত বাসে এক নারী ধর্ষণের ঘটনায় আবারো প্রশ্নবিদ্ধ গণপরিবহনে নারী নিরাপত্তা নিয়ে। এর আগে বরিশালে ৭ বছরের শিশুকে জানালা দিয়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনা, ২০১৭ সালে একটি চলন্ত বাসে একজন তরুণীকে গণধর্ষণের পর তাকে ঘাড় মটকে হত্যা এইসব নির্মতা নারীর পথচলায় একটি দীর্ঘশ্বাস। কিন্তু আজও এই থেকে মেলেনি কোনো প্রতিকার। নেই সুনির্দিষ্ট কোনো আইনি তৎপরতা।

এ বিষয়ে হাসপাতালের নার্স হিসেবে কর্মরত সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, 'ঢাকা শহরে রাত দশটার পরে গণপরিবহনে মেয়েদের পক্ষে চড়াটা একরকম অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সিএনজি বা রিকশা করে যাতায়াত করি, যদিও এতে আমার খরচ কয়েকগুণ বেশি হয়। কিন্তু নিরাপত্তার দিকটা ভেবে এইটুকু ছাড় আমাকে দিতেই হয়। আমরা সবাই জিম্মি আসলে।'

সরকারি কলেজে স্নাতকের শিক্ষার্থী তিথী সাংমা বলেন, 'কিছুদিন পরপর ধর্ষণ বা কোনো দুর্ঘটনার খবর আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক। একটু উন্নত দেশের দিকে তাকালে দেখবেন, তারা সড়ক এবং গণপরিবহনের নিরাপত্তায় কতরকম প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। সিসিটিভি, গতিনির্ধারক নির্দেশনা, পুলিশের সার্বক্ষণিক মনিটরিং ইত্যাদি আধুনিক ব্যবস্থা আমাদের দেশেও কার্যকর করা এখন সময়ের দাবি।'

এ লেভেল শিক্ষার্থী আইদা মোস্তফা জানান, গণপরিবহনে তাকে নিয়মিতই চলাফেরা করতে হয়। অনেক সময় বাস থেকে নামতে বা উঠতে বাসের স্টাফরা অশোভন আচরণ করেন, অধিকাংশ সময়েই যেসবের প্রতিবাদ করার সুযোগ থাকে না। তাই এ ধরণের ঘটনা থেকে বাঁচতে টিউশনির জমানো টাকা দিয়ে মার্শাল আর্ট শিখি এবং চলমান সময়ে প্রত্যেক মেয়েরই আত্মরক্ষার এই কৌশল শেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি।