শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে কিছু কথা
যতটুকু আভাস পাওয়া যাচ্ছে তাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুব শীঘ্র খোলা হবে বলে মনে হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিপূর্ণভাবে খুলে দেওয়াও যৌক্তিক নয়।
আবার এটাও কতটুকু যৌক্তিক যে সরকারি সকল প্রতিষ্ঠান, রেলগাড়ি, বাস, ফেরি, লঞ্চ সবকিছুই বলতে গেলে প্রায় স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে। রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, বিয়ে-শাদী কোথাও লোকজনের তেমন কমতি দেখা যাচ্ছে না।
শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একেবারে বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকগণ দুশ্চিন্তায় প্রায় বিনিদ্রায় দিনাতিপাত করছেন।
সরকারি অন্যান্য অফিসের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিস খোলা রাখা যেতে পারে।
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত থেকে স্বল্প সময় অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন।
স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগুলোতে শুধু একটি শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে একদিন উপস্থিত করে কয়েকটি শাখায় বিভক্ত করে আলাদা আলাদা কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি পরিপূর্ণ মেনে অন্তত সিলেবাসগুলো সংক্ষিপ্তভাবে বুঝিয়ে দেওয়া টিউটোরিয়াল গ্রহণ করা পরীক্ষার জন্য প্রতিটি পত্র/ বইয়ের ১০টি করে প্রশ্ন দেয়া যেতে পারে।
এতে শিক্ষার্থীরা পড়ার জন্য একটু উপায় খুঁজে পাবে। সারাদিন মোবাইলে গেম দেখে তাদের সময় নষ্ট করার স্কোপও কমে যাবে।
অনেকেই শিক্ষকদের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করছেন। মনে হয় এটা যথাযথ হচ্ছে না। কারণ ছাত্ররা হল শিক্ষকদের প্রাণ। তারা ক্লাসে যেতে চাচ্ছেন না এমনটি বোধহয় কোন শিক্ষক মনে করেন না। যদি কেউ মনে করেই থাকেন তাহলে তিনি যেন এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যান।
শিক্ষকগণ দেশের সবচাইতে সচেতন ব্যক্তি। জাতির বিবেক। পথপ্রদর্শক এবং মানুষ গড়ার কারিগরও। এরা অভিভাবক এবং ছাত্রদের চেয়ে কম কষ্টে দিনাতিপাত করছেন এটা অন্তত আমি বিশ্বাস করিনা।
তারা একদিকে যেমন নিজ সন্তানদের অভিভাবক তেমনি ছাত্রদেরও অভিভাবক। সন্তানের কষ্ট দেখে একজন পিতা সুখে থাকবেন এরকম পিতা বিশ্বে একজনকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
লেখক: অধ্যাপক, আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।