ভিসি নিয়োগ চললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, সনদ দেয়া হচ্ছে পরীক্ষা ছাড়াই
দেশের ইউনিভার্সিটি এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এক বছরের বেশি সময় বন্ধ। শিক্ষা কার্যক্রম ফ্রোজেন হয়ে আছে। দেশে শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আছে সাত-আট হাজার। তাদের দশ ভাগ শিক্ষকও কি এই অবস্থা নিয়ে জাতীয় দৈনিকগুলোতে লিখেছে? কিভাবে এই অবস্থা থেকে বের হওয়া যায় সেটা নিয়ে পরিকল্পনা করে সরকারকে জমা দিয়েছে?
ভিসি নিয়োগ চলছে। প্রোভিসি নিয়োগ চলছে। প্রক্টর নিয়োগ চলছে। প্রশাসনিক নিয়োগ চলছে। শুধু বন্ধ হয়ে আছে তরুণদের শিক্ষা। যথারীতি পরীক্ষা ছাড়াই আমরা সার্টিফিকেট দিয়েছি।
পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন আজ
মহামারিতে সারা দুনিয়াতেই ছেলে-মেয়েরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কিন্তু আমাদের শিক্ষা তো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে আছে। মাথাব্যথাও নাই। দেশের ভিসিরা একত্রিত হতে পারতো। দশটা মিটিং করতে পরতো। পাঁচটা প্ল্যান সরকারকে জমা দিতে পারতো। দেশে যে এক্সাম সেন্টার গড়ে তোলা কতো জরুরি, এটা এখনো উপলব্ধি করতে দেখছি না।
দেশের শিক্ষা নিয়ে কি রিক্সাওয়ালা কথা বলবে? শ্রমিকরা কথা বলবে? গার্মেন্টস কর্মীরা, ব্যাংকার, পুলিশরা কথা বলবে? দেশের শিক্ষা নিয়ে কথা বলবে শিক্ষকরা। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের সম্মলিতি প্রচেষ্টা তো দূরের কথা, টেন পার্সেন্ট শিক্ষকের কোন সম্মিলিত ভয়েস নেই। হোয়াট এ পিটি!
পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ছে, ঘোষণা আসতে পারে কাল
এই যে লক্ষ লক্ষ ছেলে-মেয়ে ঘরে বসে মগজে জং ধরাচ্ছে— সেটার জন্য সমাজকে অনেক ক্ষতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে। The nation has to pay for this! (ফেসবুক থেকে সংগৃহী)
লেখক: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান গবেষক