২০ মে ২০২১, ০৮:১৬

সাংবাদিক সমাজকে সরকারের মুখোমুখি করার অপচেষ্টা চলছে

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল  © ফাইল ফটো

এটি অনস্বীকার্য, যে কাজ দুর্নীতি দমন কমিশনের করতে হিমশিম খেতে হয়, সে কাজটি স্বাধীন সাংবাদিকতা করে দিচ্ছে বাংলাদেশে। সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী, সকলেই পত্রিকার সংবাদের ওপরে, টেলিভিশনের প্রচারের ওপরে অনেকাংশেই নির্ভর করেন। এই স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রটি উন্মুক্ত হয়েছে আজকের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের হাত ধরেই। এতগুলো বেসরকারি খাতের পত্রিকা, স্যাটেলাইট টিভি, অনলাইন পত্রিকা এই সরকারের আমলেই সবচেয়ে বেশি অনুমোদন পেয়েছে।

সবচেয়ে বেশি সাংবাদিকবান্ধব, গণমাধ্যমবান্ধব সরকার, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। তাই একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক সমাজকে সরকারের মুখোমুখি করার অপচেষ্টা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। পাশাপাশি, কোনো সাংবাদিকের যে কোনও পদ্ধতি বা কার্যপ্রণালী নিয়ে প্রশ্ন করলেই, বা কোনো কোনো পত্রিকার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেই অতি সংবেদনশীল হয়ে ঢালাওভাবে সেটি নিয়ে প্রশ্নও করা যাবে না, সেটিকে সবৈর্ব সমর্থন দিতে হবে, এই মনোবৃত্তিও সঠিক এবং নৈতিক নয়।

স্বচ্ছতা সবার জন্যই দরকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম না থাকলে অনেক বিষয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া দেখানোও সম্ভব হতো না। কারণ গণমাধ্যম সাধারণের প্রতিক্রিয়া সব সময় প্রকাশ করে না।

সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা, গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠতার সাথে ব্যাখ্যা থাকবে, সমালোচনা আলোচনা থাকবে, পাশাপাশি প্রকাশিত বিষয় নিয়ে, তার সত্যতা নিয়ে, প্রশ্ন তোলার অধিকারও সাধারণ নাগরিকের থাকবে। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানটির নিরপেক্ষতা, সাংবাদিকের নিরপেক্ষতা, সেগুলো নিয়েও আলোচনা সমালোচনা করার অধিকার আমাদের থাকতে হবে।

এটি স্পষ্টতই উদ্বেগজনক বিষয়: জাতিসংঘ

কোনো দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিকে রক্ষা করার রাজনৈতিক বা কৌশলগত কারণ এই সরকারের নেই। প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কিন্তু অনেক ব্যবস্থা নেয়া হয় এবং সেটি সরকার পরিচালনায় বিশেষভাবে সহায়ক। এটি নির্বাহী দায়িত্বে থাকা যেকোনো ব্যক্তি স্বীকার করতে বাধ্য। কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সার্বক্ষণিক সবকিছু জানতে পারা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এখানে গণমাধ্যম ত্রাতার ভূমিকায় আসে। তাই এই সম্পর্কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু এটাও মনে রাখা প্রয়োজন, এই সরকারকে বিব্রত করতে জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে একটি ইস্যুতে বিতর্ক তোলার চেষ্টা হচ্ছে। এক ধরনের অরাজকতা এবং অবিশ্বাসের ক্ষেত্র তৈরির কাজ একটি গোষ্ঠী করছে। আমরা বিশ্বাস করি সত্য অবশ্যই জানা যাবে। তার আগেই পক্ষভুক্ত না হয়ে, কিছুটা ধৈর্য ধরাই শ্রেয়।

লেখক: শিক্ষা উপমন্ত্রী