খালেদা জিয়ার করোনা পজেটিভ: যে বার্তা দিচ্ছে আমাদের

সাকিব এ চৌধুরী
সাকিব এ চৌধুরী  © টিডিসি ফটো

বছর খানেক ধরে বাসাতেই অবস্থান করা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বলা হচ্ছে, তিনি করোনায় আক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। খবর বেড়িয়েছে, তার বাসার আরো ৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে তার আরোগ্য কামনা করে দোয়া করা হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার এই খবর অনেকে ভীষণভাবে ব্যথিত হয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিতও অনেক বিএনপি কর্মী। এমনটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। গত একটি বছর ধরে করোনা সারা বিশ্বে যে ভয়াল থাবা বসিয়েছে তাতে চিন্তিত না হয়ে উপায় কিসে? আমাদের দেশেও প্রতিদিন রেকর্ড পরিমাণের করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তবুও আমাদের মধ্যে তেমন কোনো সতর্কতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আসলেও এটা নিয়েও থাকছে শঙ্কা। করোনায় কাবু হওয়া চীন নিজেদের সামলে নিয়েছে দ্রুতই। চীনের করোনা নিয়ন্ত্রণের সাফল্যের পিছনে কারণটি হচ্ছে কঠোর ও কার্যকর লকডাউন। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে কার্যকর লকডাউন নিয়ে রয়েছে ভিন্ন মত। আছে নানান যুক্তি। আছে চরম কিছু বাস্তবতাও।

কিন্তু তারপরেও আসল কথা হচ্ছে বাঁচতে হবে এবং বাঁচাতে হবে। তার জন্য কি করতে হবে সেটিই এখন নীতিনির্ধারকদের ঠিক করতে হবে দ্রুত। তা নাহলে পরিস্থিতি আরও খারাবের দিকে যাবে।

এই করোনাকে থামাকে হলে যেমন লকডাউনের বিকল্প নেই, তেমনি লকডাউনকে কার্যকর করতে মানবিকতার কোনো কমতি রাখা যাবে না ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে। অন্তত দুই সপ্তাহ সরকার ও সমাজ যদি মানুষের দায়িত্ব নিতে না পারে তাহলে আরো কঠিন সময়ও হয়তোবা আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে।

আর যারা এখনও করোনার বিষয়ে বেশ উদাসীন তারা বেগম খালেদা জিয়ার করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে হলেও নিজের পরিবার ও প্রিয়জনদের কথা ভেবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। বেগম জিয়া তো আর বাসা থেকে বের হননি, বাসায় হয়তোবা কেউ বাইরে থেকে যাতায়াত করার মধ্যে দিয়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।

ঠিক তেমনিভাবে আমার আপনার বাসায় প্রিয় ব্যক্তিরা অবস্থান করেন। আর আমি আপনি যদি বাইরে থেকে করোনার সংক্রমণ নিয়ে ঘরে ফিরি তাহলে প্রিয়জনদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।

তাই নিজের জন্যও না হলেও প্রিয়জন, পরিবার, সমাজ ও দেশের কথা ভেবে হলেও করোনা থেকে রক্ষা পেতে যা যা করার তাই যেন আমরা নিজে করি এবং অন্যকে তা মেনে চলতে উৎসাহিত করি ।

লেখক: চীন প্রবাসী


সর্বশেষ সংবাদ