বিসিএস’ই সব নয়, নিজের স্বপ্নের বিস্তৃতি ঘটানোর চেষ্টা করুন

  © সংগৃহীত

বিসিএস পরীক্ষাই জীবনের সব নয় এর বাইরেও বিশাল অধিক্ষেত্র রয়েছে। দরকার শুধু একটু চারিপাশ অবলোকন করে সঠিক পরিকল্পনা করা ও তার বাস্তবায়ন ঘটানো।

বিসিএস নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি কখনোই কাম্য নয়! আমাদের সকল পেশারই লোক প্রয়োজন। তাছাড়া আসনসংখ্যা এতটাই সীমিত যে, লাখো লাখো পরীক্ষার্থীর জন্য এটি একমাত্র অপশন হওয়াটা, আমার কাছে চরম বেদনার মনে হয়।

নাহ এ প্রসঙ্গে বলতে চাচ্ছি না আজ, বরং যেটি নিয়ে বলতে চাচ্ছি প্রতিবারই দেখা যায়, বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরপর কেউ কেউ বলা শুরু করেন, খুবই সহজতর প্রশ্ন হয়েছে। পরীক্ষায় বসলে এবারের মত প্রিলি হয়েই যেতো!

ভাই ও বোনেরা, পরীক্ষার হলে বসে পরীক্ষা দেয়া আর বাসায় আরাম কেদারায় বসে প্রশ্ন দেখার মাঝে পার্থক্য আছে এটা মাথায় রাখেন প্রথমে! পরীক্ষা কেন্দ্রে একজন পরীক্ষার্থীর মানসিক অবস্থা, নির্দিষ্ট সময়ে উত্তর প্রদান সম্পন্ন করা, নেগেটিভ মার্কিং পাওয়ার লোভ থেকে নিজেকে সংবরণ করাসহ নানা বিষয় বিবেচনায় রাখতে হয়। বাসায় বসে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর পেরে যাওয়ার মধ্য দিয়ে যদি আপনার মাথায় কাজ করতে থাকে আপনার এবার হয়েই যেতো তাহলে আপনি অলীক স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছেন। স্বপ্ন ভেঙে চোখ মেলে পরীক্ষা কেন্দ্রের নানামুখী চাপগুলো মাথায় নিয়ে তারপর বিবেচনায় আসুন!

জানেন তো, বিসিএস পরীক্ষায় জাতীয় ফল কাঁঠাল না আম এরকম প্রশ্নের উত্তরও হাজারে হাজারে পরীক্ষার্থী উত্তর ভুল দাগিয়ে আসে, উত্তর জানা থাকা সত্ত্বেও (অতি জ্ঞানীগণ আবার ভেবে বসেন না যে, বিসিএসয়ে শুধু ফলমূল, পাখি, ফুলের প্রশ্নই আসে, সন্দেহ থাকলে বিগত বছরের প্রশ্ন যাচাই করে জ্ঞান ফলিয়েন)!

পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবেন তাঁরা সামনের সময়ের জন্য প্রস্তুত হোন, এটি একটি প্রাথমিক অর্জন মাত্র। সামনে আরও পথ যেতে হবে। অন্যদিকে যাদের ভাল হয়নি তাঁদের হতাশ হওয়ার প্রয়োজন নেই বরং নিজের স্বপ্নের বিস্তৃতি ঘটানোর চেষ্টা করুন। প্ল্যান এ, বি, সি রাখুন। (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক : এডিসি মিডিয়া অ্যান্ড পিআর।


সর্বশেষ সংবাদ