দুর্নীতিবাজ, ধর্ষকদের জামিন মেলে, লেখকদের মেলে না—হায় সেলুকাস: রাব্বানী
দুর্নীতিবাজ, ধর্ষক, ডাকাত, খুনী সবার জামিন হয়, অনেকক্ষেত্রে আশ্চর্যজনকভাবে ভয়াবহ অপরাধীর আগাম জামিন হয়, আর লেখা কিংবা আঁকার জন্য মানহানি বা কোন অনুভূতি আঘাতের মামলায় বারবার আর্জি জানিয়েও জামিন মেলেনা! হায় সেলুকাস!
বিচার বিভাগ কি আদৌ স্বাধীন? মনমতো না হলেই নানাবিধ উপায়ে উপর্যুপরি প্রেশার! বিচারক ও তাঁর অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন, বদলী, প্রমোশন, বোনাস, পেনশন সবকিছুই যদি আইন মন্ত্রণালয় অর্থাৎ ‘এক্সিকিউটিভ’ অর্গানের হাতে থাকে, তাহলে ‘জুডিশিয়ারী’ কীভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করবে?
আর হ্যাঁ, কোন আইনে যখন দমন-পীড়নে বা কোন গোষ্ঠীর হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহার হওয়ার নূন্যতম সুযোগ থাকে, তখনই সেটা কালো আইনের তকমা পেয়ে যায়! ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিশেষ কিছু ধারা সংশোধন ও পরিমার্জন অত্যন্ত জরুরি।
রাষ্ট্রযন্ত্রের কোন সংস্থা বা অর্গান স্বীয় কর্মকান্ডের জন্য দায়মুক্ত হতে পারে না! জেল-হাজতে যেকোনো মৃত্যুর ঘটনা অবশ্যই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে রিপোর্ট প্রকাশ করা উচিত।
লেখক: সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগ
(ফেসবুক থেকে নেওয়া)