০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:৩১

এইচএসসিতে অটো পাস: ফেল করার দুঃখে কেউ আত্মহত্যা করেনি

  © প্রতীকী ছবি

মুক্তিযুদ্ধের পর দেশে ফিরেই শুনলাম অটো প্রমোশন পেয়েছি সবাই। ক্লাশ এইট আর পড়া হয় নি। যারা আরো এক এক ধাপ ওপরে তারাও পরীক্ষা ছাড়াই পাশ করেছিলেন। তাতে কি স্বাধীন দেশের পিলার খসে পড়েছিল? না মন্ত্রী আমলা সচিব থেকে মেধাও শিক্ষায় ধ্বস নেমেছিল? এখনকার তুলনায় যারা আপনারা সে সময়কালকে স্বর্নযুগ মনে করেন তাদের বলি তাহলে আজ কেন সুর বদলে বাজে কথা বলছেন?

এবারের মহামারী করোনা তো একদেশের যুদ্ধ না। দুনিয়ার ছোট বড় সব দেশ লড়াই করছে। এই সিডনিতেও ইয়ার টুয়েলভের ওরা পরীক্ষা দিয়েছিল বটে কিন্তু পড়াশোনা করতে পারে নি। অনলাইনে যা কিছু তাই ছিলো ভরসা। ওদের মানদণ্ড ও নির্ধারণ হয়েছে সে ভাবে।

দেশে স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা কোন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিলো না। বাচ্চাদের জীবন বাঁচাতে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চমৎকার ভাবে কথা বলেন। তিনি বারবার এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাঁদের কথা বলেছেন। সাথে ছিলেন চাটগাঁইয়া নওজোয়ান নওফেল (শিক্ষা উপমন্ত্রী)। তাঁরা তাঁদের কাজ করেছেন।

আগের দুটো পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এইচ এস সির এই রেজাল্ট সময়ের চাহিদা। সবচেয়ে বড় কথা ওদের কোমল মনে খারাপ কোন প্রভাব পড়তে দেয়া হয়নি বা একটি বছর মাইনাস হতে দেয়া হয়নি।

বাচ্চাগুলোর হাসিমুখ ও আনন্দকে ম্লান করবেন না হে নিন্দুক। সবচেয়ে বড় কথা এ বছর কেউ কাঁদেনি। কেউ ফেল করার দুঃখে আত্মহত্যা করেনি। চিয়ার্স হে নবীন। আমরা আছি তোমাদের সাথে।

লেখক: কলাম লেখক