উচ্চশিক্ষায় গবেষণার বিকল্প নেই
শিক্ষা একটি জাতীর মেরুদণ্ড। ।শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। যে জাতি যত উন্নত তার শিক্ষার মান ও হার তত বেশি। সেই শিক্ষা হতে হবে মানুষের কল্যাণের জন্য। গতানুগতিক শিক্ষায় কোন দেশের উন্নয়ন হয় না, শিক্ষায় কারিগরি প্রশিক্ষণ ও সৃজনশীলতা দরকার।
আমরা যারা ছাত্র শিক্ষক আছি সবার উচিৎ নতুন নতুন উদ্ভাবন করে দেশকে এগিয়ে নেওয়া। বিশাল জনবহুল দেশ আমাদের বাংলাদেশ এবং খুবই ছোট একটি দেশ। জাপানের মতো দেশ শিক্ষা ও গবেষণা দিয়ে আজকে তারা উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমরা উচ্চশিক্ষায় যারা নিয়োজিত আছি, তাদের উচিত বিভিন্ন ধরনের নতুর নতুন গবেষণা করে শিক্ষায় আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাননির্ধারণ হয় গবেষণায়। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান উন্নত করতে আমাদের সবারই উচিত নতুন নতুন উদ্ভাবন করা। দক্ষ জনশক্তি গড়ার প্রধান নিবেদিত প্রাণ হলো আমাদের শিক্ষকরা । আর শিক্ষকদেরই এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
অন্যদিকে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গবেষণার বিষয়টি বিবেচনায় আনা উচিত। যদিও বর্তমান সরকার a2i নামে আলাদা সেল গঠন করে তথ্য প্রযুক্তির অনেক উদ্ভাবনের ধারণা নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের উচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যশনাল সেন্টার পর এডুকেশ রিসার্চ সেন্টারের মত আমাদের দেশে অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, যাতে আমরা গবেষণার মাধ্যমে অর্থ সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করতে পারি।
বর্তমানে উন্নত বিশ্বের শিল্পপতিরা ইন্ডাস্ট্রির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। মানসম্পন্ন গবেষণার মনোনিবেশ করার জন্য ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরদের অর্থ বরাদ্দ করে উন্নত গবেষণার জন্য। তাই আমাদেরকেও সেই পথেই এগুতে হবে, অন্যথা উন্নয়ন অর্থবহ ও টেকসই হবে না।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।