টোল নিয়ে অপপ্রচারকারীরা মুক্তিযুদ্ধে পরাজিতদের বংশধর
পদ্মা সেতুর কোনো টোল এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। যারা উচ্চ হারের একটি টোল তালিকা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, তারা পরাজিতের দল। তাদের জন্য একরাশ ঘৃণা নিক্ষেপ করুন। এই অপপ্রচারকারীরা তাদের বংশধর, যারা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল। পাকি ভাবধারার ভ্রুনে তাদের জন্ম হয়েছে।
এই অপপ্রচারকারীরা তাদের বংশধর, যারা বিশ্বব্যাংকের সাথে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে পদ্মা সেতুর লোন বন্ধ করে দিয়েছিল। বিশ্বব্যাংকের পক্ষ হয়ে নিজ দেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে রাজনীতির মাঠ গরম করেছিল।
এই অপপ্রচারকারীরা তাদের বংশধর, যারা দেশীয় কাঁচামাল কলাগাছ বাঁশ কাঠ দিয়ে বিভিন্ন সেতু বানিয়ে নানা রকম ট্রল করেছিল। কারণ শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন দেশীয় টাকায় পদ্মা সেতু করবেন।
এই অপপ্রচারকারীরা তাদের বংশধর, যারা বলেছিলো পদ্মা সেতুর জন্য শিশুরদের মাথা লাগবে। তাই ছেলেধরা বিভিন্ন মহল্লা থেকে শিশু ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আসলে এরাই ছিল হিংস্র ছেলেধরার মূল হোতা। এই অপপ্রচারকারীরা তাদের বংশধর, যারা বলছে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু তৈরী করতে পারবেন না। আর করলেও তারা তা ভেঙে দিবেন।
পদ্মা সেতু এই দেশবাসীর কাছে আবেগের জায়গা। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সামর্থ্য প্রমানের চ্যালেঞ্জে জয়ী হবার গৌরবময় গল্প। আর দেশের এই উন্নতিতে একদলের কলিজা পুড়ে যাচ্ছে। আপনার আশেপাশেই এই কলিজা পোড়ার গন্ধ পাবেন। যারা চুন থেকে পান খসলে দেশ গেলো, দেশ গেলো বলে চিৎকার করে। আর পদ্মা সেতুর সাফল্যের দিন একটু আনন্দ করতেও কষ্টের হাসি হাসে।
লেখক: প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব
(ফেসবুক থেকে নেওয়া)