মিয়ানমারে নির্বাচনে সুচি’র জয় রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যত?
এক.
প্রতিবেশী দুটো দেশের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। ভারত ও মিয়ানমার। ভারত -বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে ব্যাপক বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা-সমালোচনা হলেও মিয়ানমার নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ততটা সরব নয়।অথচ রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার বাংলাদেশের সাথে সিরিয়াসলি জড়িত। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নিকটবর্তী আরাকানে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে এগারো লাখ রোহিঙ্গা ঘর বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়। তাদের সবার ঠিকানা এখন বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে। তাদের কোনো দেশ নেই,রাষ্ট্রহীন শরনার্থী। তারা জানে না কবে ঘরে ফিরবে। জাতিসংঘ বলছে রোহিঙ্গারা হচ্ছে দুনিয়ার সবচেয়ে নির্যাতিত জাতি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়েছে, ভরণপোষণ করে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের ভবিষ্যত কী? কবে তারা নিজ দেশে ফিরে যাবে? আসলেই এগারো লাখ রোহিঙ্গার আর নিজ দেশে ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে কি না-তা নির্ভর করছে মিয়ানমার রাষ্ট্র, সরকার ও সে দেশের সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী অংশ সেনাবাহিনীর উপর। ১৯৬২ সাল থেকে ২০১৫ এই সুদীর্ঘ সময়ে দেশটি সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়েছে। প্রায় পঞ্চাশ বছরের সামরিক শাসনে সেই অর্থে কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেনি মিয়ানমার। যে সামরিক শাসনকে পেছন থেকে সমর্থন দিচ্ছে চীন। বিনিময়ে মিয়ানমারে চীন তার বাজার বিস্তৃতি ঘটিয়েছে ব্যাপক হারে। তবে সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। মিয়ানমারের বাজারে এখন চীন -মার্কিন-ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ সবার অবাধ যাতায়াত। ভারত সাবমেরিন দিচ্ছে। চীন বিগ বাজেটের পুঁজি বিনিয়োগ করছে, আমেরিকাও দৃষ্টি দিচ্ছে। কিন্তু মিয়ানমারের সরকার তার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতি ইনসাফ কায়েম করতে পারছেনা। সীমান্তবর্তী হওয়ায় বাংলাদেশকেও রোহিঙ্গা সংকটের করুন বাস্তবতা মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
দুই.
৮ নভেম্বর ২০২০, মিয়ানমারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। নির্বাচনে প্রধান দুটি প্রতিদ্বন্দ্বীতা কারী দল-ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি(এনএলডি) ও ইউনিয়ন সলিডারিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি(ইউএসডিপি)। এনএলডি নেত্রী মিয়ানমারের অবিসংবাদিত নেতা জেনারেল অং সান এর মেয়ে অং সান সুচি প্রায় দেড় দশকের গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে ২০১৫ সালে মিয়ানমারের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হন। শান্তিতে নোবেল জয়ী এই নেত্রীর প্রতি এক সময় দেশের ছোট ছোট রাজনৈতিক দল গুলোর অগাধ বিশ্বাস ছিল। কিন্তু ক্ষমতায় এসে এগারো লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তিনি দেশ থেকে বিতারিত করলেন, কিছু ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সাথে রাষ্ট্রের সশস্ত্র লড়াই তো চলছেই। উগ্র জাতীয়তাবাদের নোংরা খেলায় মেতে উঠলেন সুচি। শুধুমাত্র বুদ্ধদের মিয়ানমার গড়ে তোলার মিশনে নামলেন সুচি, সেনাবাহিনী ও ইউএসডিপি যৌথভাবে। রোহিঙ্গারা নিজ দেশে পরবাসী হলো। বিনিময়ে ভোটের রাজনীতিতে জিতে গেলেন সুচি। ৮ নবেম্বরের নির্বাচনে সুচির এনএনডি পঞ্চাশ বছরের সামরিক শাসনের পর টানা দ্বিতীয় বারের মতো মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলো। ১৯৯০ সালেও একটি নির্বাচনে সুচির দল জয়ী হয়েছিল। সামরিক বাহিনী সেবার ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। ২০১৫ সালে সেনা সমর্থিত ইউএসডিপিকে ব্যাপক ব্যবদানে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে সুচির দল-এনএলডি। সেবার মিয়ানমার পার্লামেন্টের দু'কক্ষের মোট ৬৬৪ আসনের মধ্যে এনএলডি পেয়েছিল ৩৯০ আসন আর সেনাসমর্থিত ইউএসডিপি পেয়েছিল মোট ৪১ আসন।কিন্তু অং সান সুচি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। কারণ সুচির স্বামী একজন ব্রিটিশ নাগরিক।
আর মিয়ানমারে কোনো নাগরিক কোনো বিদেশি বিয়ে করলে সে দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না।ফলে সুচি স্টেট কাউন্সিলর (প্রেসিডেন্ট পদমর্যাদা) হিসাবে শপথ নেন। এই পদ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
তিন.
৮ নভেম্বরের ২০২০ সালের সাম্প্রতিক নির্বাচনেও এনএলডি টানা দ্বিতীয় বারের মতো মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে। এবার ২০১৫ সালের চেয়ে বেশি আসনে জিতল এনএলডি। এবার এনএলডি পায় ৬৬৪ আসনের মধ্যে ৩৯৬টি, যেখানে সরকার গঠন করতে লাগে ৩২২টি আসন। সেনাসমর্থিত প্রধান বিরোধী দল ইউএসডিপি পায় মাত্র ৩৩টি আসন। যদিও অনেক গুলো আসনের নির্বাচন নিরাপত্তার অজুহাতে বন্ধ রয়েছে। বিরান্নব্বইটি দল এ নির্বাচনে অংশ নিলেও রোহিঙ্গাদের ভোট দিতে দেয়া হয়নি। তিন কোটি সত্তর লাখ ভোটারের মধ্যে প্রায় দেড় মিলিয়ন সংখ্যা লঘু ভোটার ভোট দিতে পারেননি। এটা অনেক বড় হতাশার ব্যাপার। পশ্চিমা রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থা গুলো এ-ই নির্বাচনের স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ছাত্রদের উপর সরকার নির্যাতন করায় অল বার্মিজ স্টুডেন্টস ফেডারেশন মিয়ানমারে নির্বাচনের দিন দেশব্যাপী নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে। এনএলডি ও ইউএসডিপি থেকে কোনো রোহিঙ্গা মুসলিমকে নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। অক্সফোর্ড পড়ুয়া সুচি নিজ দেশের জনগণের ভোটের অধিকার হরণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে নজির স্থাপন করে যাচ্ছেন তার মত শান্তিতে নোবেল জয়ী একজন নেত্রীর কাছ থেকে যা অপ্রত্যাশিত। গণতন্ত্র শুধু সংখ্যা গরিষ্ঠের শাসন নয়, সংখ্যা লগিষ্ঠের অধিকারও বটে। মিয়ানমার যার নিশ্চয়তা দিতে পারছেনা। ২০১৫ সালের মিয়ানমারের নির্বাচনকে বলা হয়েছিল -জাজমেন্ট অব মিলিটারি রুল। আর ২০২০ সালের নির্বাচনকে দেখা হচ্ছে পাঁচ বছরের সুচির শাসনামলের একটা রেফারেন্ডাম হিসাবে। ভোটারদের সামনে বিষয়টা এমন ছিল যে রোহিঙ্গাদের গণহত্যাকে কিংবা সুচি যা করছে তা সমর্থ করলে এনএলডিকে ভোট দিন। সংখ্যা গরিষ্ঠ বামার জনগোষ্ঠী উগ্র জাতীয়তাবাদে দীক্ষিত হয়ে তাই করেছে। এনএলডি ও ইউএসডিপি এই দুটি দল মূলত বুড্ডিস্ট পলিটিকাল পার্টিতে পরিনত হচ্ছে। দুটি দলই সংখ্যা লঘুদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। সেনাবাহিনী ত দেশ থেকে রোহিঙ্গা নির্মুলের মিশন নিয়েই রাস্তায় নেমেছে। কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে যে অং সান সুকি দীর্ঘ দেড় দশক গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করলেন, গৃহবন্দী থাকলেন, যে নেত্রী গণতন্ত্র মুক্তির শান্তি পূর্ণ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পেলেন সেই নেত্রী এখন মিয়ানমারে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতীক হয়ে দাঁড়ালেন। রোহিঙ্গা গণহত্যার পক্ষে সাফাই গাইছেন।
চার.
পার্লামেন্ট ছাড়াও এবার একই সাথে মিয়ানমারের স্টেট ও রিজওনাল কাউন্সিলের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানেও এনএলডি ৮৭৯ আসনের ৫০১টি এবং ইউএসডিপি পেয়েছে মাত্র ৩৮টি। তার মানে হলো বিশাল ব্যবধানে অং সান সুচির দল এনএলডি সেনাসমর্থিত ইউএসডিপিকে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো মিয়ানমারের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে। এমন এক সময়ে সুচির দল একটি জাতীয় নির্বাচনে জিতল যখন রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার করা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিয়ানমারকে অভিযুক্ত করে বিচার হচ্ছে। রাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষে গণহত্যাকে অস্বীকার করে সুচি সাক্ষ্য দিচ্ছেন। অথচ সারা দুনিয়া দেখেছে রোহিঙ্গা গণহত্যার বাস্তব চিত্র। তাহলে এমন একজন নিষ্ঠুরতম নেতাকে কেন তার দেশের জনগণ ভোট দিল?এর উত্তর হচ্ছে উগ্র জাতীয়তাবাদের নোংরা খেলা। যে খেলা নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্যন্ত অনেকেই খেলে যাচ্ছেন। উগ্র জাতীয়তাবাদকে উষ্কে দিয়ে ভোটের রাজনীতিতে জেতা যায়, চেয়ার দখল করা যায় কিন্তু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শাসক হওয়া যায়না। মিয়ানমারে প্রধান দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল এনএলডি ও ইউএসডিপি উভয়ই সংখ্যা গরিষ্ঠ বামার জনগোষ্ঠী নির্ভর। ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে তাদের কারোই কোনো ভোট ব্যাংক নেই। উভয় দলই রোহিঙ্গা গণহত্যার পক্ষে। ফলে এই দুই দলের কোনোটিই রোহিঙ্গা কিংবা অন্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকারের পক্ষে কথা বলে না।২০১৫ সালে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এনএলডিকে ভোট দিলেও অং সান সুচি তাদের সম্পূর্ণ হতাশ করেছে।এছাড়াও সবচেয়ে বড় যে সমস্যা মিয়ানমারে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করে মূলত সেনাবাহিনী। কারণ সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে মিয়ানমার পার্লামেন্টের ২৫% সিট সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত থাকবে। স্বরাষ্ট্র, সীমান্ত এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় পরিচালিত হবে সরকারি সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপে। সুতরাং মিয়ানমারের নির্বাচন দেখে এটি মনে করার কোনো সুযোগ নেই যে মিয়ানমারে গণতন্ত্র কায়েম হয়ে গেছে,সামরিক শাসনের অবসান হয়েছে। মূলত মিয়ানমারে সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলো ধ্বংস করে নিজেরাই দখল করেছে। ফলে এখন যখনই নির্বাচন হোকনা কেন, রাষ্ট্র জনগণের হাতে নেই। রাষ্ট্র চলে গেছে ক্যান্টনমেন্টের অধীনে। সামরিক বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করার সক্ষমতা যেমন সুচির নেই তেমনি রাজনৈতিক লোক হয়েও মানুষের প্রতি ন্যায় বিচার করতে না পারার মানসিকতা তাকে নিপীড়নকারী শাসক হিসাবেই ইতিহাস বিবেচনা করবে।
পাঁচ.
মিয়ানমারের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের মাথাব্যথাটা কোথায়? ভাবতেই পারেন। ভাবতে পারেন আমি কেন বাংলাদেশের হাজারটা গণতান্ত্রিক সমস্যা রেখে মিয়ানমারের গণতন্ত্রের নাড়িনক্ষত্র নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে বসলাম? হ্যা, আমাদের উদ্বেগের জায়গা আছে। আশংকার জায়গা হচ্ছে মিয়ানমারের এগারো লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে শরনার্থী হিসেবে বাংলাদেশের মাটিতে আশ্রয় দিয়েছে। তাদেরকে তাদের দেশে ফেরত যেতে হবে। তারা কবে যাবে? মিয়ানমার সরকার তাদেরকে কবে নিবে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। তবে এটা পরিষ্কার মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চায়না,সহজে নিবেওনা। যার শাসনে রোহিঙ্গারা আরাকান থেকে বিতারিত হয়েছে সেই দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে তার জুলুমকেই পাকাপোক্ত করবে। শক্তিশালী করবে।যে তাড়িয়ে দিয়েছে সে ফিরিয়ে নিবেনা,এটাতো বলাই যায়। মিয়ানমারের নির্বাচনে বিপুল ভোটে সুচির রাজনৈতিক দল এনএলডির জয় মিয়ানমারে উগ্র জাতীয়তাবাদের জয়। এই জয় রোহিঙ্গা সহ নির্যাতিত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোনো শুভ সংবাদ নয়। রোহিঙ্গাদের স্থায়ী ভাবে আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশের জন্য চরম বোকামি হবে।তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলেও ফেরত পাঠানো অমানবিক। এই অবস্থায় বাংলাদেশ যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে চীন ও ভারত দুদেশের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে-সুতরাং রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশ এখন চীন ও ভারত উভয়কেই কাছে লাগাতে পারে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, ক্ষমতাশীন দল এনএলডি ও প্রধান বিরোধী দল ইউএসডিপি -এদের কেউই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চায়না, চাইবেনা। আর মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার স্ট্রাকচারটা এমন ভাবে সাজানো যে রাষ্ট্র ক্ষমতা এই তিন শক্তির বাইরে যাওয়া অসম্ভব। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবেনা মিয়ানমার। তবে ফেরত পাঠানো নির্ভর করবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই ইস্যুটিকে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারবে।বলাই যায় রোহিঙ্গা সমস্যা সম্ভবত আগামী কয়েক দশকেও সমাধান হয় কি না-সেটা অনিশ্চিত।
মিয়ানমারের নির্বাচনে অং সান সুচি’র দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি -এনএলডি’র টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসায় বাংলাদেশের জন্য হতাশার জায়গা হচ্ছে -রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই।
লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক