বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে নিয়মমাফিক প্রস্তুতি অপরিহার্য

লেখক মুহম্মদ সজীব প্রধান
লেখক মুহম্মদ সজীব প্রধান   © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশের ৩৯ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ হাজার আসনের বিপরীতে প্রতি বছর লড়াই করে প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী। ফলশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা রক্তপাতহীন এক রণাঙ্গনে রূপ নেয় যেখানে মেধাই একমাত্র হাতিয়ার।

এ সময় শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি হতাশাগ্রস্ত ও উদ্বিগ্ন থাকে তবে নিয়মমাফিক প্রস্তুতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি পরামর্শ তুলে ধরা হলো।

১. প্রস্তুতি নেওয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকতে হবে অর্থাৎ সবসময় বিশ্বাস করতে হবে পরীক্ষা যতই কঠিন হোক এবং পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন আমি ভালো করব।

২. প্রস্তুতির শুরুতেই সুচিন্তিত পরিকল্পনা এবং সময় ব্যবস্থাপনা করা জরুরি অর্থাৎ কোন বিষয় কিভাবে কতখন পড়ব সেটা ভেবে নিতে হবে যাতে প্রস্তুতির মাঝামাঝি অনিশ্চিত গন্তব্য মনে না হয়।

৩. অনেক বেশি বই না কিনে মানসম্মত অল্প কিছু বই কিনে সেগুলো খুটেখুটে পড়তে হবে। মনে রাখতে হবে বই যত বেশি কিনবে পড়া তত কম হবে। 

৪. কোচিং বা প্রাইভেটের চেয়ে সেল্ফ স্টাডিকে গুরুত্ব দিতে হবে। যত বেশি সম্ভব টেবিলে সময় দিতে হবে এবং মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা ইউটিউব থেকে দূরে থাকতে হবে কেননা এসব মাধ্যমে ৫ মিনিটের জন্য ঢুকলে অনেক ক্ষেত্রে ৫ ঘণ্টায়ও বের হওয়া যায় না অর্থাৎ প্রচুর সময় নষ্ট হয় যা পর্যাস্ত প্রস্তুতি নিতে বাঁধা সৃষ্টি করে। তবে বিভিন্ন প্রয়োজনে অর্থাৎ পড়াশোনা সংক্রান্ত আপডেট তথ্য জানার জন্য অল্প সময়ের জন্য আসা যেতে পারে কিন্তু কোনো ভাবেই বেশি সময় থাকা যাবেনা।

৬. অন্যদের সাথে কখনোই নিজেকে তুলনা করবে না বরং নিজের সাথে নিজেকে তুলনা করবে। এক্ষেত্রে গতকাল যা শিখেছ আজকে তার থেকে বেশি শিখেছ কিনা সেটা তুলনা করাই বাঞ্ছনীয়।

৭. পরীক্ষার কমপক্ষে ১৫ দিন আগে পড়া গুছিয়ে নিতে হবে এবং রিভিশন দিতে হবে। অনেক বেশি পড়ে কোন লাভ নেই যদি পরীক্ষার পূর্বে রিভিশন করা সম্ভব না হয়।

৮. কোন ভার্সিটিতে কতজন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে এবং সেখানে আসন সংখ্যা কত তা জেনে ভয় না পাওয়াই একজন ভালো পরীক্ষার্থীর বৈশিষ্ট্য। আবেদনকারী ও আসন সংখ্যা নয় বরং প্রস্তুতির ওপর চান্স নির্ভর করবে তাই যত বেশি নিজেকে প্রস্তুত করা যায় ততোই ভালো।

৯. ধর্মীয় রীতি-নীতি মেনে চলতে হবে। এতে মন ও মেধা সতেজ থাকবে। মনে রাখতে হবে পরিশ্রম ও প্রার্থনার সুষম সমন্বয় হলেই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।

১০. একটি/ দুইটি ভার্সিটিতে পরীক্ষা দেওয়ার পর প্রত্যাশিত ফলাফল না হলে হাল ছেড়ে দেওয়া যাবেনা বরং শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে পরিশ্রমকারী কখনো ব্যর্থ হয়না। ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য অফুরন্ত শুভ কামনা। আশা করছি বুদ্ধিদীপ্ত ও নিয়মমাফিক প্রস্তুতির মাধ্যমে স্বপ্নের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের অবস্থান করে নিবে।

 


লেখক: শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ।

 


সর্বশেষ সংবাদ