ধর্ষণের সেঞ্চুরি! একটি গুজবের আত্মকাহিনী
প্রায়ই একটি অভিযোগ শুনতে হয়। আওয়ামী বিদ্বেষীরা খুব আওয়াজ দিয়ে বলে আর তা শুনে আমাদের পক্ষের লোকজন তা এড়িযে যায় অথবা কাচু মাচু শুরু করে। কেউ আসল সত্যটা বলেননা, নয়তো বিষয়টি জানেননা। অভিযোগ হচ্ছে,ছাত্রলীগের কোন এক নেতা নাকি ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালন করেছে। বলা হয়, এটা ১৯৯৮/৯৯ সালের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা।
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার নাম জসিমউদ্দিন মানিক। তিনি ইতালিতে থাকা অবস্থায় অনেকদিন আগে মারা গেছেন। ঐসময়ের বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন আমি অনেকের সাথে কথা বলেছি। এর মধ্যে ছাত্রনেতা, সাংবাদিক ও শিক্ষকও রয়েছেন। যারা ঐ সময়ে ক্যাম্পাসে ছিলেন। মানিক ছিল ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী। দেখতে সুদর্শন এবং পারিবারিকভাবেই পয়সাওয়ালা। ১৯৯৩-৯৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর সালাম বরকত হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবির বাবু-আসাদ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক ছিলেন এই জসিমউদ্দিন মানিক।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার কিছুদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাসে আধিপত্য বজায় রাখতে ছাত্রলীগে যোগ দেন। পয়সাওয়ালা হবার কারণে ছাত্রলীগের একটি অংশ তাকে প্রশ্রয় দেয়। তবে ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগের দুঃসময়ের অধিকাংশরাই ছিল মানিকের বিরুদ্ধে। দলের জন্য সর্বনাশা এই খেলাটা এই দুঃসময়ের কর্মীরাই ক্ষোভে করেছেন,কিছু বাম ছাত্রসংগঠনের সাথে আঁতাত করে। সেই বিষয়ে পরে আসছি।
১৯৯৭-২০০০ সালে ছাত্রলীগের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে শেখ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এবং শামসুদ তৌহিদ কাকর। আনন্দ মার্ডার মামলায় কাকরকে ছাত্রলীগ এবং ইউনিভার্সিটি থেকে বহিষ্কার হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিলোনা ছাত্রলীগের। এসময় জসীমউদ্দিন মানিক ছাত্রলীগের একটা গ্রুপের সাথে লিয়াজো করে নিজেকে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি হিসাবে পরিচয় দেয়া শুরু করে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে তাকে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারির কোনো অফিশিয়াল কাগজ দেয়া হয়নি বলে জানান তৎকালীন নেতৃবন্দ। তবে কিছু শীর্ষ নেতার মৌখিক আশীর্বাদ ছিল মানিকের উপর। আর চতুর মানিক পদ পাকাপোক্ত করতে সালাম বরকত হলে একটা জমকালো পার্টি দেন। মানিক গ্রূপ বলতে চেয়েছে, তারা দলের পদ পেয়ে আনন্দ উৎসব করছে আর ছাত্রলীগের দুঃসময়ের কর্মীদের বক্তব্য ছিল মানিককে কোনো পদ দেয়া হয়নি। এই উৎসবের সাথে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নাই।
জাহাঙ্গীরনগরের আনু মুহাম্মদ, রেহনুমা আহমেদ, মানস চৌধুরী’রা সবসময়ই আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ওৎপেতে থাকেন।তারা পরদিন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে প্রচার করতে থাকে মানিক ধর্ষণের সেঞ্চুরি উৎসব পালন করেছে। তাদের তত্ত্বাবধানে ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে মতিউর রহমান চৌধুরীর “মানবজমিন” পত্রিকায় প্রথম এই সংবাদ বানানো হয়। আর সংবাদটি করা হয় ঢাকা অফিস থেকে। আর মানিককে কাবু করতে এই গুজবের সাথে তাল দেয় ছাত্রলীগের ত্যাগী গ্রূপটি।
আর যখন নিজ দলের লোকজন এটা বলে বেড়ায় তখন সেটা বিশ্বাসযোগ্য হয় সবার কাছে। দলের এই দুঃসময়ের গ্রূপটি মানিককে ধর্ষণকারী বানাতে গিয়ে পুরা সংগঠনের ইমেজকে ভুলন্ঠিত করেছে। কারণ তাদের কথাকে পুঁজি করেই আনু মোহাম্মদ ও রেহনুমা আহমেদ গংরা সভা সমাবেশ করে ছাত্রলীগ ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে। এর সবই ছিল পরিকল্পিত। উল্লেখ্য, ওই সময়ে জাহাঙ্গীরনগরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। টাটকা উদাহরণ হিসাবে সেটাই চালিয়ে দেয়া হয় মানিক তথা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। মানবজমিনের তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জানান,ওই ধর্ষণের ঘটনার সাথে মানিক তথা ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ঘটনা কারা ঘটিয়েছিল তা ঐসময়ের সবাই জানতো।
মানিক ভালো মানুষ ছিল নাকি খারাপ মানুষ ছিল নাকি তার বান্ধবী মহল বড় ছিল তা নিয়ে অনেক আলোচনা আছে জাহাঙ্গীরনগরের ঐসময়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তবে খবর নিয়ে যা জানতে পেরেছি তা হলো মানিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ কিংবা নারী নির্যাতনের কোনো মামলা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো অভিযোগও ছিল না। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী সম্প্রতি নুরু গংদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা করেছেন। এমন কোনো অভিযোগও মানিকের বিরুদ্ধে ছিল না। তাহলে ধর্ষণের অভিযোগটি আসলো কোথেকে ?
অভিযোগ আসার দরকার ছিলো না আনু মোহাম্মদ গংদের কাছে। তারা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অপপ্রচার শুরু করলো। এর পিছনে ইন্দন দিলো ছাত্রলীগের একাংশ। দুইপক্ষের একটি গ্রূপের চাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন কর্তৃপক্ষ সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি নিরপেক্ষ কমিটি করলেন। অভিযোগ দাখিলের জন্য সবার কাছে আহ্বান জানালেন ওই কমিটি। শতাধিক অভিযোগ জমা হয়েছিল।
কিন্তু সব অভিযোগের ভাষা ছিল অনেকটা এইরকম “আমি শুনেছি অমুকের সাথে এটা করেছে, আমার এক বান্ধবীর সাথে এটা করেছে, আমার এক আত্মীয়কে ধর্ষণ করেছে, আমার পরিচিত এক মেয়ের সাথে জোরজবরদস্তি করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কিংবা অভিযোগকারী বা ভিকটিমের নাম ঠিকানা ছিল না। ন্যাক্কারজনক বিষয় হচ্ছে এই অভিযোগগুলো লিখে জমা দিয়েছিলো এই বিপক্ষ আন্দোলনকারীরাই। এখানে অন্যতম ভুমিকা পালন করেছিলেন একজন শিক্ষক। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কিছু না পেয়ে তদন্ত কমিটি সবকিছুই খারিজ করে দেয়।
খারিজ করে দিলে কি হবে ততদিনে মানিক দেশ ছেড়ে ইতালি চলে যায়। কিন্তু ন্যাক্কারজনক অভিযোগগুলো এখনও ছাত্রলীগ বহন করছে যার সবটাই ছিল প্রতিহিংসা বসত।
ধর্ষণের সেঞ্চুরি, একটি গুজবের আত্মকাহিনী (পার্ট: ২)
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণের সেঞ্চুরির কল্পকাহিনী নিয়ে একটি লেখা ফেসবুকে লিখেছিলাম। সেখানে স্পষ্ট করেই বলেছি ছাত্রলীগকে কলংকিত করতে ১৯৯৮/৯৯ সালে যে নাটক মঞ্চস্থ করেছিল তখনকার বামপন্থী শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠনগুলো, তা ছিল পরিকল্পিত একটি ঘটনা। আমি আবারো বলছি ওই ঘটনা ছিল পরিকল্পিত।
আর এই গুজবের নায়ক ছিলো তারাই, যাদের পূর্ব পুরুষরা বলেছিলো “ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে দুই কুকুরের লড়াই।” যাদের বিরুদ্ধে এই গুজবের স্রষ্টা হিসাবে আমি অভিযোগ করেছি তারা গতকাল একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, আমি নাকি মিথ্যা বলেছি। কিন্তু কোথায় কোনটা মিথ্যা বলেছি তা উল্লেখ করেননি অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, রেহনুমা আহমেদ ও মানস চৌধুরী। যাক সে কথা। ওনারা বলবেনই, কারণ অনেকদিন পরে হলেও তাদের সাজানো নাটক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।
তারা এটাও বলেছেন যে, হয়তো আবার ২০ বছর পর লিখবো যে বেগমগঞ্জ ও এমসি কলেজে কিছু ঘটে নাই। ওনাদের মেধার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে, কারণ ওনারা শিক্ষক কিন্তু ওনাদের মানসিকতার প্রতি ওই শ্রদ্ধাটুকু রাখতে পারিনা। তা ও বেশি কিছু বললাম না। শুধু এই টুকু বলি - বেগমগঞ্জ, এমসি কলেজে ধর্ষণ এর শিকার এবং ধর্ষণকারীদের সুনির্দিষ্ট নাম পরিচয় এবং অভিযোগ আছে।
জাহাঙ্গীরনগরে মানিকের বিরুদ্ধে কার অভিযোগ ছিল ? একটা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের কথা বলেনতো? আপনারা বেগমগঞ্জ ও এমসি কলেজের উদাহরণ দিয়েছেন কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী যে নাম পরিচয় দিয়ে ধর্ষণের মামলা করেছে সেটার উদাহরণ দিতে লজ্জা পেলেন কেন ? ওই ধর্ষক নুরু গং’রা আপনাদের পালিত মানসপুত্র বলে ? আর এই জন্যই মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি।
আপনারা ওই সময়কার পত্রিকার নিউজ দেখার কথা বলেছেন। হ্যা নিউজ সবই দেখেছি, সবই পড়েছি। সব নিউজই ছিল আপনাদের বক্তৃতাবাজি আর মিছিল মিটিংয়ের নিউজ। কোন ধর্ষিতার অভিযোগের নিউজ ছিল না। কিছু বেনামি অভিযোগ জমা হয়েছিল যা আপনাদের গং’রা লিখে জমা দিয়েছিল। কোন নাম ঠিকানা ছিল না ।
আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা করেছি। তখন অনেক কিছুই দেখেছি। ওই ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও এনেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও অচল করে দেয়ার জন্য ডাকসু ভবনে তারা মিটিংও করেছে। রাতের বেলা তাদের গোপন মিটিং করতেও দেখেছি। দেশের কোন পত্রিকার কোন সাংবাদিককে এই আন্দোলন জমানোর জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এর সবই নিজ চোখে দেখা। আমরা অধিকাংশ সাংবাদিকরা আগেই জেনে গিয়েছিলাম বলে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন সফল হতে পারেনি, ২/১ টা বাদে মিডিয়ার সমর্থনও পায়নি। কিন্তু জাহাঙ্গীরনগরের মিডিয়ার ব্যাক্তিরা শুধু তা সমর্থন করেনি, অনেক ক্ষেত্রে তারা তা তৈরী করেছিল ।
জাহাঙ্গীরনগরের সাংবাদিক সমিতির তৎকালীন সভাপতি (এখন বিসিএস ক্যাডার) এবং তার তৎকালীন প্রেমিকা (ঐ আন্দোলনের নেত্রী, এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক) সাংবাদিক সমিতির অফিসে বসে মনের মাধুরী মিশিয়ে ধর্ষণের আন্দোলনের রিপোর্ট লিখতেন। এবং সেই রিপোর্টগুলোই বিভিন্ন পত্রিকায় পাঠানো হতো। তখনকার একজন বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার জানিয়েছেন, তাদেরকে ওই রিপোর্ট পত্রিকায় পাঠাতে বাধ্য করা হতো। নতুবা সাংবাদিক সমিতির সদস্যপদ দেয়া হবে না বলে ওই সভাপতি হুমকি দিতেন।
ঐ সময়ে বোটানিক্যল গার্ডেনের একটি ধর্ষণের ঘটনাকে টেনে ছাত্রলীগের উপর এনে ছাত্রলীগকে কলংকিত করা হয়েছিল। আর ছাত্রলীগের স্বঘোষিত সাধারণ সম্পাদক হয়ে ছাত্রদল থেকে অনুপ্রবেশকারী মানিক ঐ সময়ে একটি জমকালো পার্টি দিয়েছিলো। সে পার্টিকে টাইমিং করে ধর্ষণের সেঞ্চুরি উৎসব বানিয়েছিলেন আপনারা, ছাত্রলীগকে কলংকিত করতে।
ছাত্র ইউনিয়নে আমার অনেক বড় ভাই বন্ধু ও ছোট ভাইও আছে। মধুর ক্যান্টিন টিএসসিতে একসাথে আড্ডাও দিতাম। ছাত্রলীগ করলেও তারা যখন একটা চাঁদার রশিদ ধরিয়ে দিতো তাও দিতাম। তা শুধুই সম্পর্ক ও ভালোবাসার কারণে। আমার আগের লেখাটি নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর শাখা ছাত্র ইউনিয়নও একটি বিবৃতি দিয়েছে। অনেক বড় বিবৃতি। এক জায়গায় তারা বলেছে আমি নাকি ওই সময়ের সেই পবিত্র আন্দোলনকে বিতর্কিত করেছি। তাই নাকি ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
কিন্তু আপনারা যে ভাষা আন্দোলন,৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনকে বার বার কলংকিত করার চেষ্টা করেন তখন আপনাদের বিবেকে বাধে না ? ওই আন্দোলনের নেপথ্যের কাহিনী জনসম্মুখে বলে দেয়ার জন্য আমার যদি ক্ষমা চাইতে হয় তাহলে এই অপরাধে আপনাদের মতো আরো যারা ষড়যন্ত্ৰিকারী আছে তাদের কি করা উচিত?
যখন আপনাদের সংগঠনের নেত্রী জলি তালুকদার দলের নেতা দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে বিচার চেয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনশন করেছিল তখন আপনাদের বিবেক কোথায় ছিল ?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারজানা কবির বীথি যখন নুরু গংদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে অসহায়ের মতো ঘুরেছে তখন আপনাদের বিবেক কোথায় বন্ধক রেখেছিলেন ?
আপনাদের সংগঠনের নেতা যখন জামাত নেতার মুখে বক্তৃতার সময় মাইক্রোফোনে ধরে রাখে তখনতো মনে হয় আপনারা জামাতের এজেন্ট হয়ে ছাত্র ইউনিয়নের মত প্রগতিশীল সংগঠনে ঢুকেছেন।
যাইহোক ঐ সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের একজন পরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়র ডীনও হয়েছিল। যারা সবসময় শিক্ষাকে পন্য করা চলবে না বলে শ্লোগান দিতো। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার খরচ কত তা সবাই জানি। এই লেখায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন টেনে এনেছি তা পরের আরেকটি লেখায় হয়তো লিখবো।