বাংলাদেশের ভিসিরা পৃথিবীর মধ্যে পাওয়ারফুল ভিসি!

লেখক ও ঢাবি লগো
লেখক ও ঢাবি লগো

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে পাওয়ারফুল ভিসি। এ যেন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রেরই প্রতিফলন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এহেন গুরুত্বপূর্ণ কাজ নেই যেইটা তার অঙ্গুলি নির্দেশ ব্যতীত করা সম্ভব। তাছাড়া যেই পদে এত ক্ষমতা থাকবে সেই পদ পাওয়ার জন্য মানুষ মরিয়া হয়ে উঠবেই।

সরকারও চায় সকল ক্ষমতা একজনের কাছেই থাকুক তাতে একজনকে বসে আনতে পারলেই কেল্লা ফতেহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বৈরাচার হওয়ার জন্য এত ক্ষমতাই যথেষ্ট। তাই বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি কেবলই একটি প্রশাসনিক পদ না বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণভ্রমরা এখানেই লুক্কায়িত।

সামাজিক বিজ্ঞানের কেউ ভিসি হলে সে যদি ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক নিয়োগ বা প্রমোশনে বসেন তাহলে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? একইভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিজ্ঞান অনুষদের কেউ ভিসি হলে সে যদি সামাজিক বিজ্ঞান বা ফাইন আর্টস অনুষদের শিক্ষক নিয়োগ বা প্রমোশনে বসেন তাহলে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

শিক্ষক নিয়োগ ও প্রমোশন একটি একাডেমিক কাজ অথচ এটিকেও আমরা একটি প্রশাসনিক কাজের অংশ বানিয়ে ফেলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের যত বিভাগ আছে সবগুলোর নিয়োগ ও প্রমোশন বোর্ডের সভাপতি ভিসি বা প্রো-ভিসি। কি অদ্ভুত না?

অর্থাৎ শিক্ষক নিয়োগ ও প্রমোশন থেকে শুরু করে এমন কোন কাজ নেই যা ভিসি ছাড়া করা সম্ভব। পৃথিবীর অনেক বড় ভিসিদের নাম ছাত্রছাত্রীরা জানেও না। এমনকি শিক্ষকদের মধ্যেও অনেকে নাও জানতে পারে।

লেখক: অধ্যাপক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।


সর্বশেষ সংবাদ