বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ বিতর্ক

আবদুল মান্নান ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো
আবদুল মান্নান ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো  © সংগৃহীত

বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে মহামান্য রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলরের ক্ষমতা ও ভূমিকা নিরঙ্কুশ ও গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করার পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন। যদি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কথা বলি, সেখানে দুই উপায়ে এসব নিয়োগ হয় বা হওয়া উচিত। চারটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যথা ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম এবং জাহাঙ্গীরনগর- যেখানে নির্বাচিত সিনেট আছে, সেখানে ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী সিনেট কর্তৃক তিনজনের একটি প্যানেল নির্বাচন করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি তথা চ্যান্সেলরের কাছে তার পছন্দ অনুযায়ী একজনকে বাছাই করার জন্য প্রেরণ করা হয়।

বলাবাহুল্য সেই নথি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হয়ে যায়। নথি তৈরি করার দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। শিক্ষা সচিব চ্যান্সেলরের সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সেই তিনজনের প্যানেল থেকে একজনকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি উপাচার্য নিয়োগ দেবেন। একবার নিয়োগ হয়ে গেলে সেই প্যানেল বাতিল।

একজন উপাচার্যকে যে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হবে বা আদৌ শিক্ষকতা পেশা থেকে আসবেন, তারও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারেন বা তিনি কোনো একজন সম্মানিত ব্যক্তিও হতে পারেন। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরে তাঁকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর অধ্যাপক আবুল ফজলকে বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনি কলেজশিক্ষক হিসেবে অবসর নিয়েছিলেন। অধ্যাপক আবুল ফজল অত্যন্ত সফল উপাচার্য ছিলেন।

তবে আমাদের দেশে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন। অনেক আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগের রেওয়াজ ছিল। তারা খুবই নামকরা পণ্ডিত ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন স্যার আশুতোষ মুখার্জী ও রাধা বিনোদ পাল। তারা আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন এবং উচ্চ আদালতের বিচারপতি ছিলেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে ক'টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন, তার মধ্যে দুটি কাজ সরাসরি শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত। একটি হচ্ছে ড. কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন তৈরি করে তার রিপোর্ট এক বছরের মাথায় গ্রহণ করা। দ্বিতীয়টা হচ্ছে দেশের চারটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১৯৭৩ সালের আইন প্রণয়ন। প্রথমে আইনগুলো অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করা হয়, পরে তা সংসদে আইন হিসেবে গৃহীত হয়। একই সঙ্গে তিনি আরেকটি যুগান্তকারী আইন তৈরি করেছিলেন। সেটি ছিল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আইন ১৯৭৩।

আইনগুলো যথাযথভাবে কার্যকর হলে দেশের কোনো কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব সমস্যা আমরা দেখছি, তা এড়ানো যেত। কিছু বাস্তবতা হচ্ছে- সব সামরিক সরকার আমলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তেমন বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এবং কথায় কথায় আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বারোজন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে কোনো কারণ ছাড়াই অপসারণ করেছিলেন; যদিও তিনি কোনো সেনা শাসক ছিলেন না। এর মধ্যে সিনেট নির্বাচিত উপাচার্যও ছিলেন।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগ যেমন মহামান্য রাষ্ট্রপতির হাতে, তার ছুটিছাটাও তার হাতে। একজন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য বা কোষাধ্যক্ষ যদি কোনো কারণে তার দায়িত্ব পালনে অপারগ হন, যেমন তিনি অসুস্থ হতে পারেন কিংবা বিদেশে যেতে পারেন বা তিনি পদত্যাগ করতে পারেন; অথবা তার মেয়াদ শেষ হয়ে যেতে পারে- তখন সেই জায়গায় যতদিন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কেউ একজন নিয়োগ না পাচ্ছেন, অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য একজনকে নিয়োগের একান্ত এখতিয়ার মহামান্য রাষ্ট্রপতির, এর বাইরে যাওয়ার আইনগত কোনো সুযোগ নেই।

সম্প্রতি বাংলাদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন উপাচার্যের পদ খালি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, যা অনভিপ্রেত। এ ধরনের ঘটনা যে এবারই প্রথম তা নয়, এর আগেও একাধিক ক্ষেত্রে তেমনটি হয়েছে। সম্প্রতি এই আলোচনা-সমালোচনাগুলো একটি ভিন্ন মাত্রা পাচ্ছে অন্তত একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার মেয়াদ শেষ করার পর পরবর্তী উপাচার্য কে হবেন সেটি ঠিক না হওয়ায় খুবই নজিরবিহীনভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের একটি আদেশে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রেজিস্ট্র্রার, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা, তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্র্বতীকালীন উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

কিন্তু এর আগে অন্য কোনো সময়ে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনটি ঘটেছে বলে নজির নেই। তার কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একজন শিক্ষক উপাচার্য হওয়ার জন্য পাওয়া যাবে না, তা তো হতে পারে না। ব্যতিক্রম হিসেবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউকে যদি যোগ্য মনে করা না হয়, তাহলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনে একজন শিক্ষককে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়াটাই যথাযথ। সেটি অন্তর্র্বতী সময়ের জন্য হলেও হতে পারে। আলোচ্য ক্ষেত্রে সেটি করা হয়নি। এর আগেও এই বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কিছুদিন উপাচার্যবিহীন ছিল।

এ ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে খুবই হতাশাব্যঞ্জক একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখানে শুধু যে আইন ভঙ্গ করা হয়েছে তা নয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতির এখতিয়ারভুক্ত একটি বিষয়ের ওপরে সরাসরি হস্তক্ষেপ হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। মন্ত্রণালয়ের সময়মতো উপাচার্য নিয়োগের নথি তৈরি ছাড়া অন্য কোনো কিছু করার ছিল না।

আগের এ রকম ঘটনা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। এক সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের কনফারেন্সে যোগ দিতে দেশের বাইরে যাওয়ার সময় উপাচার্যের দায়িত্ব কে পালন করবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। তখন চ্যান্সেলর তার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সিনিয়র ডিন সদ্য প্রয়াত অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের ওপর। তখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো উপ-উপাচার্যের পদ ছিল না। থাকলেও দায়িত্ব পালনের বিষয়টি চ্যান্সেলরের কাছ থেকে আসতে হবে।

শিক্ষাক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু তার সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে অনেক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি দেখতে চেয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সঠিকভাবে চলছে। শিক্ষকদের একাডেমিক ফ্রিডম থাকছে এবং শিক্ষকরা সমাজে তাদের পাণ্ডিত্য দিয়ে, তাদের জ্ঞান ও শিক্ষার মান দিয়ে তারা সমাজে সমাদৃত হচ্ছেন। তবে পর্যায়ক্রমে দেখা গেছে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারার অনেক কিছুই সঠিকভাবে মূল্যায়ন বা অনুধাবন করা হয়নি। না হওয়ার কারণে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক অনিয়ম হয়েছে। দুর্নীতির দায়ে উপাচার্য জেলও খেটেছেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’ধরনের অনিয়ম হতে পারে। একটি হচ্ছে একাডেমিক অনিয়ম, যেটি মূলত নিয়োগের সময় যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ না দিয়ে যাদের যোগ্যতা কম, তাদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনেক ধরনের শৈথিল্য অবলম্বন করা হয়। তাদের যোগ্যতার মাপকাঠি যা পূর্বনির্ধারিত, অনেক সময় কোনো একজন প্রার্থীর জন্য তা শিথিল করা হয়। আবার সম্প্রতি দেখা গেছে, দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের গবেষণাপত্রে অনেক সময় অন্যের লেখা নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া হয়, যেটা চৌর্যবৃত্তি। সেই শিক্ষক তার সেই ‘গবেষণাপত্র’ তার পদোন্নয়নের জন্য ব্যবহার করতে কুণ্ঠিত হন না। এমনসব ঘটনা গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হচ্ছে।

এমন ঘটনা কোনো অবস্থাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান উজ্জ্বল করে না বা সমুন্নত রাখে না। আমরা প্রায় সময়েই এই বলে আহাজারি করি- সারাবিশ্বে বা এশিয়ার ৫০০ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন স্থান হয় না। এই না হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে এসব অনিয়ম অন্যতম।

একজন উপাচার্য হবেন সেই ব্যক্তি, যিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দেবেন। এমন শিক্ষক এই বাংলাদেশে এখনও আছেন, অতীতেও ছিলেন, আগামীতেও পাওয়া যাবে। তবে নানা কারণে আমরা কোনো কোনো সময় সঠিক উপাচার্য বাছাই করতে পারি না।

কয়েক বছর আগের কথা। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদ খালি হলো, সেখানে উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়াটি আগে থেকেই শুরু করা উচিত ছিল, যা করা হয়নি। অন্তর্র্বতীকালীন যিনি উপাচার্যের দায়িত্বে এলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, কোনো শিক্ষক নন। তিনি অন্য আর একটি পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীকালে মিডিয়ার কল্যাণে দেখা গেল, তিনি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে একেবারে ঘোষণা দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য শুরু করেছেন। বলে বেড়াতেন- তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।

পুরো বিষয়টা অস্বীকার করে বঙ্গভবন থেকে জানাতে হলো- এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা। মেয়াদ শেষ হওয়ার কিছু আগে থেকেই উল্লিখিত তিনটি পদে কে নিয়োগ পাবেন (যেখানে সিনেট নেই) তা ঠিক করে ফেলা উচিত। তাহলে এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে শূন্যতা সৃষ্টি হবে না। তা করার দায়িত্ব শিক্ষা প্রশাসনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের।

যেহেতু এক সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলাম এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি, সেহেতু অনেক সংবাদমাধ্যম এসব বিষয়ে আমার মন্তব্য জানতে চায়। অনেক সময় মন্তব্য দেওয়াটা আমার জন্য বিব্রতকর। অনেক সময় দায়িত্বপ্রাপ্তদের অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকা অথবা উদাসীনতার কারণে অনেক কিছু অনিয়ম হয়ে যায়, যা সরকারের জন্যও বিব্রতকর। আর এসব অনিয়মকে পুঁজি করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে শান্ত ক্যাম্পাসকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত হতে পারে কোনো কোনো মহল।

আশা করব, সংশ্নিষ্ট মহল আগামীতে এসব বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক থাকবেন এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ কখন খালি হচ্ছে, সেটি পূরণ করার জন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা করে রাখবেন। তাহলে দেখা যাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় খুবই ভালোভাবে, কোনো ছেদ ছাড়াই তার প্রশাসনিক এবং একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে এবং কোনো মহল কোনো ধরনের অনিয়ম নিয়ে কথা বলতে পারছে না। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জনগণের অর্থে পরিচালিত হয়। সেই জনগণের প্রতি সংশ্নিষ্ট সকলে দায়বদ্ধ থাকবেন, তা প্রত্যাশিত।

লেখক: বিশ্নেষক ও গবেষক

সূত্র: সমকাল


সর্বশেষ সংবাদ