ধর্ষণকারীর অধিকার দিতে হবে, এরকম আন্দোলন করছে কিছু শিক্ষার্থী
ধর্ষণকারীর অধিকার দিতে হবে...। ধর্ষকের সহযোগীর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে...। এই দাবিতে আন্দোলন দেশ ও জাতির জন্য শোভন না, খুব লজ্জাজনক। আর অনেকটা এইরকম আন্দোলনই করছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের কিছু শিক্ষার্থী। কিছুদিন আগেও ধর্ষণ বিরোধী একটি আন্দোলন হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজধানীর জোয়ার সাহারা এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়েরই একটি ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছিল। তখন এই আন্দোলনকারীরাও ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনে শরিক হয়েছিল।
কিন্তু আজ তারাই আবার ধর্ষণের পক্ষে আন্দোলন করছে। অভিযোগকারিণী আবার তাদের সংগঠনেরই নারী কর্মী। সে সুর্নিদিষ্টভাবে দিন তারিখ উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক ভিপিসহ তার ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সত্য মিথ্যা প্রমান সাপেক্ষ বিষয়। প্রমানের আগেই আসিফ নজরুল সাহেবরা বলে দিলেন অভিযুক্তরা এই কাজ করতেই পারেন না।
তিনি নাকি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক। আসিফ নজরুল সাহেব কি করে নিশ্চিন্ত বলেন অভিযুক্তদের ধর্ষণকারী হবার সক্ষমতা নেই? এইরকম শিক্ষক যেখানে আছে, সেখানে ধর্ষণের পক্ষে কিছু শিক্ষার্থী থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
ধর্ষণকারী সংগঠনটির নারী কর্মীটি তার মামলায় সুর্নিদিষ্ট অভিযোগে বলছেন, কোথায় কবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। অসুস্থ হবার পর কবে, কে কে, কখন, কোন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছে। কবে, কোথায় তাকে ডেকে নিয়ে কে মুখ না খোলার হুমকি দিয়েছে। কোন কোন অনলাইন কর্মীকে দিয়ে মেয়েটির চরিত্র হনন করার হুমকি দেয়া হয়েছে।
ওই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অধিকাংশ অভিযোগেরই সত্য মিথ্যা নিশ্চিত করা সম্ভব। কারণ ঢাকা মেডিকেলেও সিসি ক্যামেরা আছে। পুরান ঢাকার যে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিশ্চয়ই ওই বাসার আসে পাশেও কোথাও সিসি ক্যামেরা আছে।
আমি এখানে ধর্ষিতা কিংবা ধর্ষণকারী কারো নামই উল্লেখ করিনি। কারণ কোনোটাই প্রমাণিত নয়। কিন্তু সত্য-মিথ্যা প্রমাণের আগেই অভিযুক্ত ধর্ষণকারীদের পক্ষে আন্দোলন করা প্রমাণ করে... ‘ডাল মে কুচ কালা হে।’
লেখক: উপপ্রেস সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
(ফেসবুক থেকে নেওয়া)