জনতুষ্টিবাদী রাজনীতি করা নুর কওমী ইস্যুকে লুফে নেবেন, এটাই স্বাভাবিক
- শেখ ফজলুল করীম মারুফ
- প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৩৬ AM , আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৩৬ AM
জনতুষ্টিবাদী রাজনীতি আর বিপ্লবী রাজনীতির মাঝে পার্থক্যটা বুঝতে পারা জরুরি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জনতুষ্টিবাদী রাজনীতি দেখতে দেখতে বিপ্লবী রাজনৈতিক কর্মীরাও মাঝে মাঝে দুইটাকে গুলিয়ে ফেলে।
হাটহাজারী মাদ্রাসায় যা হচ্ছে তাতে ছাত্রদের অধিকারের প্রশ্ন আছে সত্য। কিন্তু তারচেয়েও বড় হলো এর পেছনের পদ্ধতিগত সমস্যা।
পদ্ধতিগত সমস্যার কারণে সৃষ্ট সমস্যাকে সমাধান করা হচ্ছে ব্যক্তির অপসারণ করে। আজকে যাদের অপসারন চাওয়া হচ্ছে তাদের অপসারিত হওয়া উচিৎ। কিন্তু একই সাথে যে পদ্ধতির কারণে এই কালপ্রিটগুলো তৈরি হয়েছে সেই পদ্ধতিরও অপসারণ চাওয়া উচিৎ।
তবে এই মুহুর্তে পদ্ধতি পরিবর্তনের কথা বলে চলমান আন্দোলনের দাবিকে পেছনে ঠেলে দেয়ার কোন কারণ নাই। যে দাবিতে আন্দোলন চলছে সেই দাবিই ফোকাসে থাকুক।
কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে কোন রাজনীতি করাকে তো সমর্থন করা যায় না। ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ভাই একজন বিপ্লবী তরুণ নেতা। ছাত্র অধিকার নিয়ে তার কাজ সবারই প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু তিনি কোন বিপ্লবী ও আদর্শিক রাজনীতি করেন না। তিনি জনতুষ্টিবাদী রাজনীতি করেন।
তিনি এমন একটা বিষয়কে লুফে নিতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একজন কওমী শিক্ষার্থী হিসেবে, একজন আদর্শবাদী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনি সেটাকে সমর্থন করবেন?
হাটহাজারী ইস্যু যতই জটিল হোক তারপরেও এটা আমাদের ঘরোয়া ইস্যু। এই ইস্যুতে আমরা আমরা যা করি সেটা আমাদের বিষয়। কিন্তু এটাকে মাঠের রাজনীতি অংশ তো হতে দেয়া যায় না। কোন সংগঠন এটা নিয়ে রাজনীতি করুক কোনভাবেই এটা হতে দেয়া উচিৎ না।
এই বিষয়ের সমাধান কওমীর নিজস্ব পন্থাতেই হতে হবে, মুরব্বীদের মাধ্যমেই হতে হবে। কোন মাঠের রাজনীতি নিয়ে না।
আশা করবো এই বিষয়কে কেন্দ্র করে কেউ কোন রাজনীতি করুক এটাও কওমীপন্থীরা নিরুৎসাহিত করবে।
যারা জনতুষ্টিবাদী রাজনীতি আর বিপ্লবী রাজনীতির পার্থক্য বোঝেন না, যারা কওমী অঙ্গনকে ধারণ করেন না, যারা এই সমস্যার সমাধানে নিজেদের ওপরে আস্থা রাখেন না তাদের কথায় কান দেয়ার কিছু নাই। [ফেসবুক থেকে]
লেখক: সাবেক সভাপতি, ইশা ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ