১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৫৪

খিচুড়ি রান্না শিখতে বিদেশ, কতটা লজ্জাহীন হলে এ প্রস্তাব মাথায় আসে

  © টিডিসি ফটো

ঠিক কতটা লজ্জাহীন হলে খিচুড়ি রান্না শিখতে এক হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে বিদেশ পাঠানোর প্রস্তাব মাথায় আসে আমার জানা নেই। এই যে পুকুর কাটা থেকে শুরু করে আজব সব কাজে আমাদের সরকারি কর্তারা বিদেশ সফরে যান এর মাজেজা কী!

আমার মনে আছে, কক্সবাজার সৈকতের উন্নয়ন দেখতেও বিদেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা ছিল। আচ্ছা স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে সরকারি কর্তাদের বিদেশ সফরে ঠিক কতো হাজার কোটি টাকা ব্যায় হয়েছে? সরকারি কর্মকর্তারা এই বাবদ কতো টাকা পেয়েছে? এর ফলাফল কী?

আফসোস লাগে, এই দেশে ২০০ টাকার জিনিষের দাম দুই লাখ টাকা ধরে আজব সব প্রকল্প হয়, জুম মিটিংয়েও আপ্যায়নে কোটি টাকা লাগে আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে বললে অতিরিক্ত সচিব ওএসডি হন!

না, আমি বলছি না প্রয়োজনে বিদেশে যাবেন না। প্রয়োজন হলে অবশ্যই যাবেন। কিন্তু এই যে আমাদের সরকারি কর্মকর্তারা এতো বিদেশে সফরে যান তারা কী ওই দেশগুলো থেকে আদৌ কিছু শিখে আসেন? শিখলে বাংলাদেশের রাস্তাঘাট-গণপরিবহন-স্বাস্থ্য সেবা-ওয়াসা-তিতাসসহ সব সেবা সংস্থার এই দশা কেন?

আচ্ছা বলেন তো বিদেশের কোন ভালো জিনিষটা শিখে আমরা নিজের দেশে কাজে লাগাতে পেরেছি? জনগনের টাকার এমন অপব্যবহার আর কতোবছর চলবে? থাক এসব কথা আর না বলি। এর চেয়ে বরং বিজনেস স্ট্যাণ্ডাডের শিরোনামটা দেখি। খিচুড়ি রান্না শিখতে চান? চলেন বিদেশে যাই। [ফেসবুক থেকে]

লেখক: উন্নয়নকর্মী