সুপ্রিয় চসিক প্রশাসক
জনাব খোরশেদ আলম সুজন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এর প্রশাসক হিসেবে মাত্র ক'দিনের জন্য ওনাকে নগরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। শুরুর দিন থেকেই ওনার আপোষহীন মনোভাব সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। দিন যত যাচ্ছে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। আজ এখানে, নয়তো কাল ওখানে। আমি ওনার গুণগান গাইতেছিনা। ওনি যে স্টেপটা নিলেন এটা পরবর্তীতে যারা আসবেন তারাও নিক। তাহলে নগরীর চেহারাও পাল্টে যাবে নি:সন্দেহে। চসিক প্রশাসকের এই উদ্যমটা অনুকরণীয়। অথচ ওনার সময় খুবই কম। এই সময়ে তিনি আর কীইবা করতে পারবেন। কিন্তু যে পথটা তিনি দেখাচ্ছেন সেটা বিরল।
করোনার কারণে সিটি নির্বাচন পিছিয়েছে। এ কারণে জনাব খোরশেদ আলম সুজনকে হয়তো এই পদে দেখা গেছে। নয়তো ওনার কর্মস্পৃহা এবং মানুষের জন্য কাজ করার মানসিকতা দেখতে পেতোনা কেউ। ওনিও মেয়র পদে নিজ দলের মধ্যে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। কর্মী হিসেবে দলীয় যে কোন সিদ্ধান্ত তো মেনে নিতেই হয়। এটাই নিয়ম।
নগরের অনেক সমস্যা। জলাবদ্ধতা থেকে শুরু করে যানজটসহ নানা সমস্যার কারণে নগরবাসী খুবই বিরক্ত। প্রত্যেকেই আশ্বাস দেন সমস্যা সমাধানের। কিন্তু কোন আশ্বাসেই কাজ হয়না। এসব সমস্যা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। নতুন সিটি প্রশাসক এসব সমস্যা থেকে অন্তত কিছুটা হলেও সমাধানের জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। নিজে উপস্থিত থেকে কাজ তদারকি করছেন। আসলে সবখানেই তো সমস্যার বোঝা। ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক এসব সমস্যা আমরাই তৈরী করেছি। এ কারণে সমাধানের মানসিকতাও সৃষ্টি হচ্ছেনা। কার ভেতর কী লুকিয়ে আছে বলা মুশকিল। সঠিক কাজের জন্য সঠিক মানুষ বাছাই করা আসলেই কঠিন বিষয়।
এই অল্প দিনে চসিক প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন সাহেব যাই করতে পারেন না কেন সেটাই ওনার সফলতা বলে মনে করি। আর কিছু না হোক অন্তত ওনি যে মনমানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সেটাই বা কম কীসে।
সুপ্রিয় চসিক প্রশাসক তার অল্প টাইমে মানুষের আস্থা অর্জন করতে সচেষ্ট আছেন। যতটুকু সম্ভব মানুষের কাছাকাছি পৌঁছুতে চেষ্টা করছেন। ওনার দিনরাত্রির বিরতিহীন ছুটে চলা অন্যের জন্য অনুসরনীয় হোক। শুভ কামনা আপনার জন্য। ভালো থাকবেন।
লেখক : শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক
khalednizamt@gmail.com