দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধে ভালো নেই দোকানীরা
ক্যাম্পাস চলাকালীন সময়ে জমজমাট ছিলো হাফিজ মামার দোকান। তার দোকানে সকাল থেকে রাত অবধি জমজমাট আড্ডা, গানের আসর বসাতো শিক্ষার্থীরা। অথচ এখন ফাকা পরে আছে সবকিছুই। হাফিজ মামা তার এই একাকিত্বের সময়ে খুলে ফেলেছেন নিজের ফেসবুক একাউন্ট, সেখানেই জানাচ্ছেন তার হতাশার কথা।
এমনটাই হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের পাশের এক চা বিক্রেতার ক্ষেত্রে।
হাফিজ নামে মধ্যবয়স্ক সেই চা বিক্রেতা সবার কাছে হাফিজ মামা নামেই বেশি পরিচিত।
ইতিমধ্যে খোলা ফেসবুক একাউন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থীকেই যুক্ত করেছেন তার বন্ধুত্বের তালিকায়।
সেখানেই শিক্ষার্থীবিহীন তার একাকি সময়ের হতাশা ও ক্যাম্পাস খোলার আশা নিয়ে পোস্ট করছেন তিনি। অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের থেকেই পেয়েছেন ইতিবাচক সাড়া। অনেকেই আবার তার পোস্টে আবার দেখা হবে এমন আশ্বাস দিয়ে কমেন্ট লিখেছেন।
আজ এই করোনাকালীন সময়ে পৃথিবী যখন অনেকটাই স্থবির, তখন ক্যাম্পাসের এক চা-দোকানীর এমন ফেসবুক স্টাটাস পুরনো স্মৃতিতে নাড়া দিয়েছে অনেক শিক্ষার্থীর।
সবাইকে আশার আলো দেখাচ্ছে আবার ক্যাম্পাসে ফিরে যাবার।
লেখক: শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।