শ্রেণি কার্যক্রম কি ‘ফেসবুক লাইভ’-এ দেয়ার ব্যাপার?
ইদানিং কোভিড-১৯ এর কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রম ফেসবুক লাইভে দিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ইউটিউব চ্যানেলে লাইভ প্রচার করেন। অনেকে আবার জনে জনে অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রমের লিংক শেয়ার করেন। কিন্তু শিক্ষা বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে আমাদের শেখানো হয়েছে, শ্রেণি শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া কোন ক্লাসে প্রবেশ করা যাবে না।
ক্লাস চলাকালীন সময়ে এমন কিছু করা যাবে না যাতে শ্রেণি কার্যক্রমের স্বাভাবিক কর্মকান্ডে ব্যাঘাত ঘটে। আর উন্নত দেশগুলোতে বিষয়টিকে আরেক ধাপ এগিয়ে চিন্তা করা হয়েছে- ‘শিক্ষার্থী/শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বহিরাগত কেউ ক্লাসে ঢুকতে পারবে না। ছবি তুলতে পারবে না।’ ভিডিও তো আরো পরের প্রশ্ন।
আর এর বিপরীতে আমরা ক্লাসের সব আলোচনা ভিডিওসহ লাইভ করছি ফেসবুকে বা ইউটিউবে। তাহলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর প্রাইভেসির ব্যাপারটা কী এখানে গৌন? একজন শিক্ষকের ক্লাসে যদি কোন আউট সাইডার প্রবেশ করে তাহলে তার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হয় কিনা?
অনেকেই আবার শিক্ষকের ক্লাস পর্যবেক্ষণের নামে শ্রেণি কার্যক্রমের মাঝে তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন যা তার পাঠ সংশ্লিষ্ট নয়। এই বিষয়গুলো শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা গবেষকরা কীভাবে দেখছেন?
বি: দ্র: যারা উন্নত বিশ্বের শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে জড়িত (পড়াশুনা/গবেষণা/শিক্ষকতা) তারা একটু দয়া করে জানাবেন, ‘আপনার বিশ্ববিদ্যালয় বা স্কুলের অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রম কি ফেসবুক লাইভে দিয়ে থাকেন?’ সেখানে অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রমের প্রাইভেসীর ব্যাপারটি কীভাবে দেখা হয়?
লেখক: প্রশিক্ষক, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমী (নেপ)