১২ জুলাই ২০২০, ২৩:২১

আপনারা হতাশ হবেন না, আমরা ইনশাআল্লাহ টাইমস্কেল পাবো

  © টিডিসি ফটো

প্রিয় সহকর্মী শিক্ষকবৃন্দ, আমি বেশ কিছু দিন ধরে লক্ষ্য করছি যে, যে সকল প্রাথমিক শিক্ষক ভাই ও বোনেরা টাইমস্কেল প্রাপ্য হয়েছেন অথচ টাইমস্কেল না পেয়ে মানষিক হতাশায় ভুগছেন ও আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা আপনাদের কষ্ট বুঝি ও তা অনুভব করি।

যেহেতু আমরা শিক্ষক সংগঠনগুলোর কেন্দ্রেীয় নেতৃত্বে আছি। তাই টাইমস্কেল না পাওয়ার দায়ভার এরিয়ে যাবার কোন সুযোগই আমাদের নেই। শিক্ষকদের সকল প্রকার দাবি দাওয়া ও সমস্যার সমাধান করাই আমাদের কাজ বলে মনে করি। শিক্ষক সমাজের কাছে আমাদেরও একটা দায়বদ্ধতা আছে যা অস্বীকার করার উপায় নেই।

পক্ষান্তরে সাধারণত শিক্ষকদেরও কিছু একটা দায়িত্ব কর্তব্য আছে বলে আমি মনে করি। আপনাদের সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া আমাদের পক্ষে পথচলা কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয়। আপনারা সব সময়ই আমাদের পাশে ছিলেন এখনো থাকবেন সে আশা আমাদের আছে।

আমাদের মধ্যে কিছু শিক্ষক আছে যারা টাইমস্কেল নিয়ে কোন প্রকার কাজ করছেন না অথচ প্রতিনিয়ত টাইমস্কেল নিয়ে যারা কাজ করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। যা কোন অবস্থাতেই কাঙ্খিত নয়। আপনারা এসব বিভ্রান্তিতে কান দেবেন না। আপনারা এদের থেকে সতর্ক থাকুন। এসব নেতিবাচক মন্তব্যে কাজের গতি কমিয়ে দেয়।

আপনারা আমাদের প্রতি নেতিবাচক মন্তব্য না করে আমাদেরকে সাহস যোগাবেন। এতে আমাদের কাজের গতি বহুগুন বেড়ে যাবে এবং আমাদের অভিষ্ঠ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে পৌঁছাতে সহজ হবে।

টাইমস্কেল আদায়ের দুটি পথ আছে

একটা হলো টাইমস্কেল প্রাপ্তির জন্য সঠিক যুক্তি তুলে ধরে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট আবেদন ও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে টাইমস্কেল সমস্যার সমাধান করা। ২য় পথ হলো সরকার আমাদের সার্ভিস রুল অনুসারে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে বা না দিলে তা আদায়ে আইনের আশ্রয় নেওয়া।

আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, আমরা টাইমস্কেল সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দুটো পথেই সমান তালে কাজ করে যাচ্ছি। একদিকে কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা ও লেখা লেখি সমান তালে করে যাচ্ছি। অন্য দিকে কোর্টে টাইমস্কেল সংক্রান্ত মামলার আপিল শুনানির নিস্পত্তির জন্যও জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

আপনারা হতাশ হবেন না টাইমস্কেল আমরা পাবো ইনশাআল্লাহ। এটা কারোর দান বা অনুগ্রহ নয়। এটা আমাদের ন্যায্য অধিকার ও পাওনা। টাইমস্কেল না পওয়া পর্যন্ত আমরা পিচপা হবোনা। এটা না দেওয়ার কোনই সুযোগ নেই। আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনা আদায়ে বদ্ধপরিকর। আপনারা হতাশায় না ভুগে একটু ধৈর্য ধারণ করুন। আমাদের সার্বিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করুন। আমরা আপনাদের সাথেই আছি ও থাকবো ইনশাআল্লাহ।

লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি