১৪ মে ২০২০, ১৯:৩৭

সংকটকে শক্তিতে রূপ দিতে চান ক্যাম্পাস প্রতিনিধিরা

  © টিডিসি ফটো

সাংবাদিকতা একটি সম্মানজনক পেশা। বর্তমান সময়ে এ পেশার গুরুত্ব বেড়েছে অনেক। সাংবাদিকতার বিভিন্ন ধরণ রয়েছে। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা তার মধ্যে অন্যতম। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়েন কিন্তু ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার নাম শুনেনি এইরকম শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে না। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা যদিও এইটি খন্ডকালীন পেশা, তবুও একদল তরুন-তরুণী এই পেশাকে ভালোবেসে জড়িয়ে পড়েন।

তবে বাস্ততবিকভাবে ভাবে এই পেশাকে পূর্ণকালীন পেশা বলা যেতে পারে। কারণ ক্যাম্পাসের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো সময়মাফিক ঘটে না। ২৪ ঘন্টায় ক্যাম্পাসের খবরের প্রতি নজরদারি করতে হয়। ক্যাম্পাস খোলা হোক বা বন্ধ হোক সব সময় নজরদারি করতে হয় ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরলেও অনেক সময় ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের থেকে যেতে হয়। শুধুমাত্র সাংবাদিকতার দায়িত্ববোধের কারণে। আবার কেউবা বাড়িতে বা বাসায় বসেই চালিয়ে যাচ্ছেন সাংবাদিকতা। এইসব ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের মানারাত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি— আসমাউল মুত্তাকিন

আবদুল্লাহ আল মুবাসির হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ট্রিবিউন প্রতিনিধি। তিনি বলেন, করোনায় বিপর্যস্ত পুরো দেশ। এমতাবস্থায় বাসায় বসে বসেই দিনাতিপাত করতে হচ্ছে সবাইকে। তবে ক্যাম্পাস সাংবাদিক হিসাবে আমাদের বসে থাকার জোঁ নেই। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি জানা, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর রাখাসহ বাসায় বসে থেকেও নানা দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, যদিও ক্যাম্পাস খোলা থাকলে এর চেয়েও বেশী ব্যস্ত রাখতে হতো নিজেকে। তবে রমযানে বন্ধু-বান্ধব এবং বিভিন্ন ক্লাবের আয়োজনে একসাথে বসে ইফতার করার আনন্দগুলোকে মিস করছি। যদিও এ বছর পরিবারের সাথে পুরো রমযান কাটাতে পারবো, এটা জেনে অবশ্য বেশ ভাল লাগছে। পরিশেষে এটাই প্রার্থনা, এই পরিস্থিতি থেকে আমরা যেন দ্রুত ফিরে আসতে পারি।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একুশে টেলিভিশন প্রতিনিধি মুছা মল্লিক জানান, করোনায় এই অবসরের মরুভূমিতে সারাদিন বাসায় অবস্থান করছি। প্রিয় ক্যাম্পাস আর প্রেসক্লাবের প্রিয়মুখগুলোকে খুব মিস করছি। তবে করোনার এই অবসরেও থেমে নেই সাংবাদিকতা। প্রতিনিয়ত সকলের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং এবং বিভিন্ন ফিচার নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি সকলের থেকে, সংকটকে শক্তিতে রুপ দিয়ে এগিয়ে চলছি দিগন্তপ্রসারী যাত্রায়৷

মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা কাগজ প্রতিনিধি মীর মারুফ তাহসিন বলেন, সাংবা‌দিকতার ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা সপ্তাহের সাতদিনই দায়িত্ব পালন করতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয় ক্যাম্পাস সাংবা‌দিকতা। বৈশ্বিক মহামারী করোনায় বাংলাদেশের ক্যাম্পাসগু‌লো বন্ধ হয়ে গে‌লেও থেমে নেই ক্যাম্পাস সাংবা‌দিকতা। ক্যাম্পাসের নানা দিক এবং এ সময়ও শিক্ষার্থীদের অধিকার, সু‌যোগ সুবিধা নিয়ে কলম থেমে নেই।

দৈনিক অধিকার পত্রিকার তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি মামুন সোহাগ বলেন, ক্যাম্পাস খোলা থাকলে একভাবে সময় কাটে আর বন্ধে আরেকভাবে। এ বন্ধে নতুন অভিজ্ঞতায় সময় কাটে আর ক’দিন বাকি ক্যাম্পাস খুলতে। এবার এক অনিশ্চতা ভার করছে কাঁধে। করোনা কবে কাটবে, কবে আবার আগের মত ছুটে বেড়াবো।