করোনা মোকাবিলা কি ২০২২ সাল পর্যন্ত অপরিহার্য হবে?
ভাইরাস হচ্ছে আবরণ বিশিষ্ট জেনেটিক ম্যাটেরিয়ালের মাইক্রোস্কপিক প্যাকেজ। জেনেটিক ম্যাটেরিয়ালটি ডিএনএ বা আরএনএ (DNA or RNA) যে কোন একটি হতে পারে। এডভ্যান্সেস ইন ভাইরাস রিসার্চ জার্নালের গবেষণা অনুযায়ী, করোনাভাইরাস হচ্ছে আবরণ বিশিষ্ট RNA (Ribonucleic acid) ভাইরাস পরিবার যা মূলত মানুষের শ্বসনতন্ত্রে (নাক, গলা, ফুসফুস ইত্যাদি) সংক্রমণ করে। করোনাভাইরাসেরন ভিতরের অংশে RNA থাকে এবং বাহিরের আবরণে লিপিড ও স্পাইক প্রোটিন থাকে। করোনাভাইরাসের বাহিরের আবরণে স্পাইক প্রোটিনগুলো একত্রিত হয়ে মুকুটের মত ট্রাইমারস গঠন করে।
দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন এ গবেষণা অনুযায়ী, চারটি করোনাভাইরাস, 229E, OC43, NL63 এবং HKU1, মানুষের শ্বসনতন্ত্রের উচ্চাংশে (নাক, কান, গলা) মৃদু থেকে মাঝারি সংক্রমণ করে; অন্য তিনটি করোনাভাইরাস, SARS-CoV-1, MERS-CoV ও সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির জন্য দায়ী ভাইরাস SARS-COV-2 (severe acute respiratory syndrome coronavirus-2) মানুষের মারাত্মক অসুস্থতার কারণ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০২-২০০৩ সালের মহামারির জন্য দায়ী ভাইরাস SARS-CoV-1 ও ২০১৯-২০২০ সালের মহামারি কোভিড-১৯ এর ভাইরাস SARS-COV-2 এর মধ্যে ঘনিষ্ঠ জেনেটিক সম্পর্ক আছে। উভয় ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল বাদুড়। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই দুইটি করোনাভাইরাস বাদুর থেকে প্রথমে প্রাণীকে আক্রান্ত করে "প্রানী মাধ্যমে" মানুষকে সংক্রমিত করেছে।
ট্রেন্ডস ইন মাইক্রোবায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, সার্স-কোভ-১ ও মার্স-কোভ ভাইরাসের কারণে মারাত্মক অসুস্থতা সহ মৃত্যু হার যথাক্রমে প্রায় ৯% ও ৩৬% ছিল, তবে এ দুইটি ভাইরাসের সংক্রমণ সীমিত পর্যায়ে আছে। চলমান মারাত্মক সংক্রমক সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের কারণে বিশ্বে ১১ মে ২০২০ তারিখ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লাখ ৬৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ৮৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে (তথ্যসূত্রঃ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেমস সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং)। এত বিশাল মানুষের আক্রান্ত হওয়াসহ মৃত্যুহার সত্যিকার অর্থে ভয়াবহ।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বের ৫৫টি দেশের ৩,৬০০ জন করোনা-রোগীর দেহ থেকে ভাইরাস-নমুনার আরএনএ সিকোয়েন্স নিয়ে গবেষণা করেন ভারতের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জেনোমিক্স এর দুইজন গবেষক নিধান বিশ্বাস ও পার্থ মজুমদার (তথ্য সূত্রঃ দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া)। তাঁদের গবেষণায় জানা গেছে, চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম সংক্রমণ ঘটায় ‘ও’ (‘O’) টাইপ নভেল করোনাভাইরাস, সার্স-কোভ-২। পরবর্তী চার মাসে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপকভাবে মিউটেশন বা পরিবর্তন ঘটেছে SARS-COV-2 ভাইরাসটির গঠনে।
ভারতের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জেনোমিক্স এর গবেষণায়, ‘ও’ (‘O’) টাইপ করোনাভাইরাস থেকে জেনেটিক মিউটেশনের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত A2, A2a, A3, B, B1-সহ মোট দশ ধরণের করোনাভাইরাস গঠিত হয়েছে (তথ্যসূত্রঃ দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া)। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক টাইপটি হচ্ছে, ‘এ২এ’ ('A2a')। বিশ্বের বেশির ভাগ ভৌগোলিক এলাকাতেই ২০২০ সালের মার্চের শেষ নাগাদ থেকে নভেল করোনাভাইরাসের ‘এ২এ’ টাইপ আধিপত্ত বিস্তার করেছে।
২০০২-২০০৩ সালের সালে সংঘটিত মহামারির জন্য দায়ী ভাইরাস সার্স-কোভ এর সাথে ২০১৯-২০২০ সালের বৈশ্বিক মহামারির জন্য দায়ী ভাইরাস সার্স-কোভ-২ এর অনেক সাদৃশ্য থাকলেও, উভয়ের বাহিরের আবরণের "স্পাইক’ প্রোটিনের" গঠনে পার্থক্য রয়েছে। ৩০ মার্চ, ২০২০ তারিখের ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, কোভিট-১৯ রোগের জন্য দায়ী ভাইরাসের (সার্স-কোভ-২) বাহিরের আবরণে "স্পাইক প্রোটিনগুলো" ২০০২-২০০৩ সালের মহামারির জন্য দায়ী ভাইরাসের চেয়ে অনেক বেশী সন্নিবিষ্ট (compact) হওয়ায়, বর্তমানে সার্স-কোভ-২ ভাইরাস দ্বারা মানুষের দেহের কোষগুলো শক্তভাবে সংযুক্ত হওয়ার মাধ্যমে কোভিড-১৯ রোগ বিস্তারের অন্যতম প্রধান কারণ। সংক্রমণের সময়, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বাহিরের আবরণের ‘স্পাইক’ প্রোটিন মানুষের শ্বসনতন্ত্রের (নাক, গলা, ফুসফুস) কোষের এনজিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম ২ (এসিই ২) রিসেপটর প্রোটিনের সাথে সংযুক্ত হয়ে মানুষের কোষে প্রবেশ করে বংশবিস্তার (রেপ্লিকেশন) করে।
৩০ মার্চ, ২০২০ তারিখের বিশ্বখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, সার্স-কোভ-১ ও সার্স-কোভ-২ উভয় ভাইরাসই তাদের রিসেপটর-বাইন্ডিং ডোমেন এর মাধ্যমে মানুষের কোষের একই রিসেপটর এসিই ২ তে সংযুক্ত হয়। এসিই ২-তে সংযুক্ত হওয়ার জন্য উভয় ভাইরাসের রিসেপটর-বাইন্ডিং ডোমেনে স্পাইক প্রোটিনের দুইটি হটস্পটস, হটস্পট-৩১ ও হটস্পট-৩৫৩ আছে। কিন্তু উভয় ভাইরাসের রিসেপটর-বাইন্ডিং ডোমেনের হটস্পটগুলির গঠনে কিছুটা ভিন্ন হওয়ায়, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের দুইটি হটস্পটস, সার্স-কোভ এর দুইটি হটস্পটস এর তুলনায় মানুষের শ্বাসতন্ত্রের এসিই ২ রিসেপটরের সঙ্গে বন্ধনে অধিক স্থিতিশীল ও নিবিড়। ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, কোভিড-১৯ রোগের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ করোনাভাইরাসের রিসেপটর-বাইন্ডিং ডোমেনের হটস্পটগুলোর স্পাইক প্রোটিন সার্স-কোভ-১ এর থেকে ভিন্ন গাঠনিক বৈশিস্টের কারণে সার্স-কোভ-২ মানুষের কোষের এসিই-২’কে তীব্রভাবে আকর্ষণের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী তীব্র সংক্রমণ ও দ্রুত বিস্তারে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।
১৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিশ্বখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণের ফ্যাক্টরগুলো বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে রোগের সংক্রমণের প্রোজেক্টিং করা হয়েছে। উক্ত গবেষণায় বিবেচিত মূল ফ্যাক্টরগুলো হলো—ঋতুর ভিন্নতায় সংক্রমণের মাত্রা, দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার স্থিতিকাল এবং সার্স-কোভ-২ ও অন্যান্ন করোনাভাইরাসের মধ্যে দেহে ক্রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মাত্রা।
যখন বহিরাগত আক্রমণকারী যেমন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া মানবদেহে প্রবেশ করে, দেহের লিম্ফোসাইটস নামক ইমিউন কোষগুলো এন্টিবডি তৈরির মাধ্যমে সাড়া দেয়। এন্টিবডি (Immunoglobulin G বা IgG) হচ্ছে প্রোটিন। এই এন্টিবডিগুলো বহিরাগত আক্রমণকারীর (এন্টিজেন) সাথে লড়াই করে এবং দেহকে অতিরিক্ত সংক্রমণের থেকে রক্ষার চেষ্টা করে। বিটা করোনাভাইরাস, HCoV-OC43 ও HCoV-HKU1 এর সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট নির্দিষ্ট এন্ডিবডির ফলে গঠিত দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চল্লিশ সপ্তাহ টেকসই (তথ্যসূত্রঃ এপিডিমিয়োলজি এন্ড ইনফেকশন জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ); অন্যদিকে, ইমারজিং ইংফেক্সাস ডিজিজেস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, ২০০২-২০০৩ সালে সংগঠিত মহামারির জন্য দায়ী করোনাভাইরাস SARS-CoV-1 এর সংক্রমণের ফলে মানবদেহে গঠিত নির্দিষ্ট এন্ডিবডি উক্ত ভাইরাসের ক্ষেত্রে গড়ে দুই বছর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রেখেছিল।
১৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিশ্বখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে কোভিড-১৯ রোগ বার্ষিক (প্রতি বছর), দ্বিবার্ষিক (দুই বছরে একবার) বা বিক্ষিপ্তভাবে সংক্রমণ ঘটানোর সম্ভাবনা আছে। যদি এই ভাইরাসটি মানবদেহে HCoV-OC43 ও HCoV-HKU1 করোনাভাইরাস দুইটির মত স্বল্প সময়ের (৪০ সপ্তাহ) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে তবে প্রতি বছর কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে এবং SARS-CoV-1 করোনাভাইরাসের মত দুই বছর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে তবে দ্বিবার্ষিক ভাবে কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে। ১৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিশ্বখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ অনুযায়ী, ২০২৫ সাল পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব চূড়ান্তভাবে (crucially) নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট ভাইরাসের কারণে মানবদেহে সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার স্থিতিকালের উপর।
বেইজিং এর চায়না জাপান ফ্রেন্ডশিপ হসপিটালের নিউমোনিয়া প্রিভেনশন এন্ড ট্রিটমেন্টের ডাইরেক্টর লি এর ভাষ্যমতে, যারা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল, তাঁদের দেহে রোগ প্রতিরোধী এন্ডিবডি উদ্দীপিত হয়েছে (সূত্রঃ যুক্তরাজ্য ভিত্তিক নিউজ পেপার ইনডিপেন্ডেন্ট)। ভাইরোলোজিস্ট ড. ভিনেট মেনাচেরি প্রাক্কলন করেন, কোভিড-১৯ স্পেসিফিক এন্টিবডি দুই থেকে তিন বছর আরোগ্যলাভকারীর ব্যক্তির দৈহিক তন্ত্রে থাকবে। তবে তিনি বলেন, নিশ্চিত হতে আরোও সময় প্রয়োজন।
গবেষকেরা কোভিট-১৯ রোগের ভাইরাসের দ্বারা মানুষকে আক্রমণের স্পাইক প্রোটিনের গঠন খুঁজে পেয়েছেন। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সংশ্লিষ্ট 'মনোক্লোনাল এন্টিবডিস' সার্স-কোভ-২ এর রিসেপটর-বাইন্ডিং ডোমেনের সাথে মানুষের দেহ কোষের এসিই-২ এর বন্ধন বাধাগ্রস্থ করতে পারে। তাই বর্তমানে ‘মনোক্লোনাল এন্টিবডিস’ সম্ভাবনাময় অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের গুরুত্বপূর্ণ এনজাইমগুলো বাধাগ্রস্থ (ব্লক) করে অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা চলমান আছে। যুক্তরাষ্ট্রের গিলিয়ার্ড সায়েন্স কোম্পানির অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় এমারজেন্সি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে আমেরিকার ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। দেখা গেছে, যাদের ১৫ দিনে সুস্থ হবার কথা তারা ১১ দিনে সুস্থ হয়েছে। অন্যদিকে যাদের ক্ষেত্রে রেসডেসিভির দেয়া হয়নি তারা স্বাভাবিকভাবে ১৫ দিনে সুস্থ হয়েছে। রেমডেসিভিরের প্রধান কাজ হলো মানব কোষে ঢোকার পর ভাইরাস যে বংশবৃদ্ধি (Replication) করে তা বন্ধ করে দেওয়া ও বংশবৃদ্ধির গতি কমিয়ে দেওয়া। সাধারণত করোনাভাইরাসের বংশবৃদ্ধিতে ভাইরাল "আরএনএ ডিপেনডেন্ট আরএনএ পলিমারেজ এনজাইম" প্রয়োজন। রেমডেসিভির এই এনজাইমকে ব্লক করে। ফলে ভাইরাসের বিস্তার কম হয়। বংশবৃদ্ধি কমে যাওয়ায় আক্রান্ত রোগীর দেহে ভাইরাস লোড অনেক কমে যায়।
এক্সপার্ট অপেনিয়ন অন থেরাপিউটিক টারগেটস জার্নালের গবেষণার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, ‘সার্স-কোভ-২ রিসেপটর-বাইন্ডিং ডোমেন’ নিজেই "কার্যকর ভ্যাকসিন" হিসেবে সম্ভাবনাময়। বিশ্বে ইতোমধ্যে কয়েকটি পরীক্ষায় বানরের দেহে করোনা ভ্যাকসিন সফল হয়েছে। অধিকিন্তু, সুস্থ হওয়া কোভিড-১৯ রোগীর রক্তের স্ট্রং ইমিউন রেসপন্স (শক্তিশালি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) প্লাজমা দিয়েই করোনা রোগীর চিকিৎসায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশ্বের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। রক্তের লোহিত কণিকা, শ্বেত কণিকা ও প্লাটিলেটস সরিয়ে ফেলার পর যে ঈষৎ হলুদ রঙয়ের স্বচ্ছ তরল পদার্থ পাওয়া যায়, তাকে ‘প্লাজমা’ বলে। ‘প্লাজমা’ এন্ডিবডি ধারণ করে।
ফলপ্রসূ কোভিড-১৯ চিকিৎসা উদ্ভাবন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি), স্বাস্থ্যবিধি পন্থাগুলো (সামাজিক শিষ্টাচার/শারীরিক দূরত্ব, ঘন ঘন সাবান-পানি/হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ভালোভাবে হাত পরিস্কার করা এবং মুখে ও নাকে মাস্ক ব্যবহার করে হাঁচি/কাশি/থুতুর তরল ড্রপলেট থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা) মেনে চলার সুপারিশ করেছেন। ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধ ও হ্রাসে ২০২২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘায়িত বা সবিরাম সামাজিক শিষ্টাচার (শারীরিক দূরত্ব) অপরিহার্য হতে পারে (তথ্যসূত্রঃ ১৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিশ্বখ্যাত ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ)।
লেখক: প্রফেসর, ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়