এমপিও আবেদনের সময় পুনর্বিবেচনা প্রসঙ্গে
সারা পৃথিবীর ন্যায় করোনায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। করোনার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে জাতীয় জীবন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শে ২৬ মার্চ থেকে টানা লকডাউনের আওতায় সমস্ত দেশ। গণপরিবহণ বন্ধোসহ দেশে আন্তঃযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ২৬ এপ্রিল স্বল্প পরিসরে মন্ত্রণালয় খোলা হয়েছে। হয়ত সামনের দিনগুলোতে অন্যসবের মতো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কাজগুলো আস্তে আস্তে গতি পাবে।
সাধারণত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইন আবেদন জোড় মাসের দশ তারিখের মধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (USEO) কাছে প্রেরণ করতে হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে যোগ্য প্রার্থীদেরকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসের নিকট প্রেরণ করেন।
সে হিসেবে শিক্ষকদের এপ্রিলের এমপিও আবেদন ১ থেকে ১০ এপ্রিলের মধ্যে করার কথা থাকলেও লকডাউনের কারনে অনেক শিক্ষকই নির্ধারিত সময় তা প্রেরণ করতে পারেনি। কার্যত লকডাউনের প্রভাবে ২৬ মার্চ থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছাড়াও অনলাইন আবেদন পয়েন্ট সমূহ বন্ধ রয়েছে।
ফলে গত কয়েকমাসে শূন্য পদের বিপরীতে যোগদানকৃত ও মামলা-মোকদ্দমার কারণে পেন্ডিং থাকা কয়েক শত শিক্ষক কর্মচারী আবেদন করতে পারেনি। আশা করা যায় চলতি সপ্তাহে সীমিত পরিসরে দাপ্তরিক কাজ চালুর সাথে সাথে স্থবিরতা কেটে যাবে। গণপরিবহণ চালুসহ অনলাইন আবেদন সেন্টারসমূহ খুলবে।
তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মে মাসের নির্ধারিত এমপিও সভার আগে সকল শিক্ষক-কর্মচারীর আবেদনের সুযোগ প্রদানের জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
লেখক: সহকারি শিক্ষক, রাশেদ খান মেনন মডেল উচ্চ বিদ্যালয়