জ্বর কাশি গলা ব্যথা হলেই আতঙ্ক নয়

  © ফাইল ফটো

দেশে তিনজন করোনাভাইরাস (কভিড-১৯ ভাইরাস) শনাক্ত হয়েছে বলেই আমাদের আতঙ্কিত হওয়া ঠিক হবে না। জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথা হলেই যে সবাই নভেল করোনা-ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, সেটা মোটেই ভাবা যাবে না। কারণ এই সময়ে অনেক ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ থাকে। তবে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকেই। যদি আক্রান্ত কোনো দেশ থেকে আসা কারো সংস্পর্শে কেউ গিয়ে থাকেন তবে কিন্তু চিকিৎসক বা সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করতে হবে। যাতে করে সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা মেলে।

আবার সংক্রমণ ঘটলেই যে মহামারি ঘটে যাবে, সেটাও কিন্তু ঠিক নয়। এই ভাইরাসে মৃত্যুহার অন্য অনেক ভাইরাসের চেয়ে তুলনামূলক অনেক কম। এমনকি আক্রান্ত সবাইকে যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে, তাও কিন্তু নয়। এখন পর্যন্ত চীনসহ অন্য যেসব দেশে সংক্রমণ ঘটেছে সেসব জায়গায় আক্রান্তদের ৮০ শতাংশই বাসাই চিকিৎসায় ভালো হয়েছে। আবার হাসপাতালে যাওয়া বেশির ভাগই সুস্থ হয়ে উঠছে। তাই আক্রান্ত হলেও কিছুটা সতর্ক থাকলে খুব একটা ভয়ের কারণ নেই।

তবে এই ভাইরাসটি যেহেতু দ্রুত বিস্তার ঘটাতে সক্ষম তাই ভাইরাস প্রতিরোধে নিজ থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। যেমন—হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় হাতের বাহু, রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা। হাত সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা, নোংরা হাতে কোনো কিছু স্পর্শ না করা। রুমাল ধুয়ে ফেলা। ভিড় এড়িয়ে চলা। আক্রান্তদের সংস্পর্শে থাকার ক্ষেত্রে সবার অধিকতর সতর্ক থাকতে হবে, যাতে করে তাদের মাধ্যমে অন্যদের কাছে এই ভাইরাস ছড়াতে না পারে। এদিকে এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত গতি-প্রকৃতি অনুসারে শিশু বা কম বয়সীদের ঝুঁকি কম। বেশি বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি। তাই অপেক্ষাকৃত বয়স্কদের দিকে সতর্কতা বেশি রাখতে হবে পরিবারের অন্যদের।

লেখক : প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ


সর্বশেষ সংবাদ