কী দরকার নুরদের?
সেই কোটা সংস্কার আন্দোলন- একদল তরুণ সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামলো। সেই আন্দোলনে আসলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল সংসদের মাঝারি পর্যায়ের এক নেতা। যার নাম নুরুল হক। ক্রমেই বাড়লো আন্দোলনের গতি। এই আন্দোলনে পুলিশির বাধার সামনে বুক উঁচিয়ে দাঁড়ানোর সাহস দেখিয়েছিল ওই তরুণ।
হয়তো তরুণদের আস্থা-সহানুভূতি অর্জনের সেটাই ছিল প্রথম ধাপ। তারপর আন্দোলনে হামলা চললো কয়েক দফায়। নেতা-কর্মীদের মারা হলো, বিচ্ছিন্ন, ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হলো। হামলা চালালো ছাত্রলীগের চিহ্নিত কিছু কর্মী। খুব করে মারলেন নুরকে। হয়তো নুর এককালে ছাত্রলীগ করতেন বলেই তার প্রতি ওদের এত ক্ষোভ ছিল।
লাথি, কিল, ঘুষির বর্ষণমুখর পরিস্থিতিতে একজন শিক্ষকের পা জড়িয়ে থেকে বাঁচার চেষ্টা করা তরুণটির নাম নুর। এই দৃশ্যের ধারণ করা ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে পড়লো সারাদেশে। নুরের প্রতি তরুণদের আস্থা-সহানুভূতি আরো বেড়ে গেল।
একইসাথে নুর হয়ে উঠলেন অপর একশ্রেণির গলার কাটা। নানা ষড়যন্ত্র তাকে নিয়ে। প্রমাণ করার চেষ্টা চললো- নুর শিবিরকর্মী। সেই জনপ্রিয় ট্যাগ। এতে সাহায্য করলো সংবাদমাধ্যমও। সাজালো কাহিনী। পরে আবার নিজেদের তথ্যের ভ্রান্তি স্বীকার করে অবশ্য ক্ষমাও চেয়েছিল সংবাদমাধ্যম।
উঠিয়ে নিয়েছিল তাদের সাজানো প্রতিবেদন। একসময় আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায় থেকেই নিশ্চিত করা হয়েছিল, নুর বা তার পরিবারের কেউ স্বাধীনতাবিরোধী কোন সংগঠন কিংবা রাজনীতির সাথে জড়িত নয়।
এরও পরে ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হলেন নুর। নির্বাচিত ভিপি নুরুল হককে একের পর এক হামলা করা হলো দেশের নানা প্রান্তে। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, অন্তত ৯ বার হামলা হয়েছে নুরের ওপর। প্রত্যেকবার তার অভিযোগের আঙ্গুল সেই একদিকেই।
কেন নুরুল হকের ওপর এত হামলা? আমার এ বিষয়ে কোন মাথাব্যথা নেই যে, নুরের রাজনৈতিক, পারিবারিক আদর্শ কী? আমি দেখি তার কর্মকে। এবং আমি দেখি তাকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে, বুক উচিয়ে প্রতিপক্ষের মুখোমুখি দাঁড়াতে। এবং দেখি যতবার তিনি দাঁড়ান ততবার তাকে শুইয়ে দেওয়া হয়। দেশে এই মুখোমুখি দাঁড়ানোর মানুষের অভাব। এখানেই দরকার নুরকে। তাকে দেখে তরুণরা সাহস পায়, অনুপ্রেরণা পায়। এখানেই একজন নুরের প্রয়োজনীয়তা।
বয়সে খুবই তরুণ নুর, নবীন। এ যাবতকালের ডাকসুর ভিপিদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ তিনি। রাজনৈতিক মারপ্যাঁচ, কূটনীতি, কৌশল, ধুরন্ধরতা তাঁর মাথায় খেলে না। রাজনীতির শিক্ষা তার মাত্র কয়েক বছরের। ডাকসুর পূর্ববর্তী ভিপিদের সাথে নুরুল হকের পার্থক্য হলো- পূববর্তীগণ রাজনীতি শিখে, দীর্ঘকাল রাজনীতির মাঠে থেকে তারপর নেতা হয়েছেন, আর নুরুল হক রাজনীতি বোঝার আগেই নেতা হয়েছেন, রাজনীতি বোঝার আগেই তিনি ভিপি হয়েছেন।
নেতা হয়ে হাতে-কলমে শিখছেন রাজনীতি। যেভাবে একজন সাংবাদিকতা বিভাগে পড়া শিক্ষার্থী চার বছর সাংবাদিকতা বিষয়ে অধ্যয়নের পর সাংবাদিক হয়, আর আবার অন্য বিভাগে অধ্যয়ন করা শিক্ষার্থী সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়ন না করেও সরাসরি হাতে-কলমে রিপোর্টিং শিখে প্রথম শ্রেণির সাংবাদিকদের একজন হয়, কখনও কখনও।
নুর অর্বাচীন, নুরের জ্ঞান-অভিজ্ঞতা তার বয়সের মতই অর্বাচীন; প্রাচীন, প্রাজ্ঞ, অভিজ্ঞ নয়। কিছু সংকীর্ণতা হয়তো নুর কেটেই উঠতে পারেননি এখনও। তবু নুরের সার্থকতা হলো- একটি দীপ্ত কণ্ঠ, একটি ত্যাগী, সাহসী, অকুতোভয় চরিত্র; মৃত্যুর প্রতি বেপরোয়া মনোভাব। এই মনোভাবের জন্যই নুর কদমে কদমে শত্রু পয়দা করেন।
নুর যান নিরাপদ সড়ক আদায়ের কিশোরদের কাছে, ছোটেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তরে প্রান্তরে; নুর যান বুয়েটে, ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে থাকা তরুণদের অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়ান সামনে। দেন ন্যায় প্রতিষ্ঠার ডাক, দেন অন্যায় ধ্বংসের ডাক। নুরের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার প্রতিবাদ গড়ে তোলা।
বুয়েটকে দখলমুক্ত করতে যার বা যাদের অবদান সর্বাগ্রে তিনি বা তারা হলেন ভিপি নুর এবং তার অনুসারীগণ। ভিপি নুর এবং তার সঙ্গীরা না গেলে বুয়েট জাগতো কিনা, পুলিশ ভেতরে ঢুকতে পারতো কিনা, সাংবাদিকরা বুয়েটে ঢুকে অনুসন্ধান চালাতে পারতেন কিনা, আবরার হত্যার সুষ্ঠু বিচার আদৌ হতো কিনা- তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়।
নুর কোন আদর্শ বহন করেন, কে বা কারা তাকে অর্থায়ন করে, কে পরামর্শ দেয়- এসব ভেতরের গুঞ্জন দিয়ে তাকে বিচার করার আগে দেখতে হবে নুর প্রকাশ্যে কী করে যাচ্ছেন। ডাকসু থেকে বের হওয়া নেতারা উত্তর জীবনে আওয়ামী সংসদ সদস্য-মন্ত্রী হয়েছেন, বিএনপি সংসদ সদস্য হয়েছেন, জামাত নেতা হয়েছেন, বাম নেতা হয়েছেন- এসব যদি কোন আপত্তির বিষয় না হয় তাহলে নুর পরবর্তী জীবনে কোন দলে যোগ দেবেন সেটা নিয়ে টানাটানি করাও অযৌক্তিক। বরং দেখা উচিত তরুণ নুর কী করছেন, তার ফল কী, তার প্রয়োজনীয়তা কী?
নুর কিংবা তার সহযোগীরা ডাকাতি করেন না, খুন করেন না, চাঁদাবাজি-অস্ত্রবাজি করেন না, ধর্ষণ, লুন্ঠন, দেশদ্রোহী কাজ করেন না। বরং প্রায়ই ছাত্র, শিক্ষা, দেশ ও জাতির স্বার্থে যৌক্তিক দাবি নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়, ব্যানার হাতে দাঁড়াতে দেখা যায় তাদের।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, নুর ছাত্রনেতা হিসেবে কতটা সফল? কয়টা দাবি আদায় করতে পেরেছেন, কয়টা অন্যায় নির্মূল করতে পেরেছেন? তখন আমার পাল্টা প্রশ্ন থাকবে- ডাকসুর কতকাল বন্ধ ছিল? এত বছর পর মরা গাছে পানি দিয়ে জিইয়ে তোলা কি দুই দিনের কাজ? ৩০ বছরের অবক্ষয় দূর করা কি কয়েক বছরের কাজ?
একটি ভগ্ন দশার জরাজীর্ণ ছাত্র সমাজকে দুই দিনে তরতাজা করার সুপার পাওয়ার নুর কেন কারোরই নেই। সুতরাং এক বছরের চেষ্টায় নুর এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়কে বদলে দেবে- এটা ভাবা অযৌক্তিক। নুরের পরে আরো যারা আসবেন তারা সফল হবেন একে একে। নুর কচুরিপানা সরাচ্ছেন, পরবর্তী ভিপি এসে স্বচ্ছ জলে সরাসরি সাতারের আয়োজন করতে পারবেন। মসৃণ পথে হেটে লক্ষে পৌঁছাবেন।
এরও পরে আবার একটি প্রশ্ন থাকে- নুর ছাত্র নেতা। জাতীয় রাজনীতি, বৈদেশিক পলিসি নিয়ে কেন কথা বলেন?
এর উত্তর পেছনে আছে। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি, স্বায়ত্তশাসন, স্বাধীকার, স্বাধীনতা দাবি ডাকসুর এজেন্ডাভিত্তিক কোন কাজ ছিল কি? পূর্বের ডাকসু নেতারা যখন আমাদের ভাষা এনে দিলেন, স্বাধীনতা এনে দিলেন, স্বৈরতন্ত্রের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র এনে দিলেন- সেগুলো আমরা ভোগ করছি কিন্তু কেন প্রশ্ন তুলছি না, এগুলো ছাত্রদের এখতিয়ারভুক্ত কাজ ছিল না? সে প্রশ্ন আমরা তুলি না, সেকালের ছাত্রদের আনা জাতীয় অর্জনগুলো ভোগ করি। অথচ দেশে পেঁয়াজের দামের বৃদ্ধি নিয়ে কথা বললে নুরকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
প্রশ্ন আছে, ডাকসু- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ। ‘ডাকসুর নেতার সাথে অন্যান্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা থাকবে কেন?’
এটার উত্তরও পেছনে আছে। বাহান্নকে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের ছাত্র ভাষাশহিদ রফিককে ঢাবিতে ডেকেছে কে? ঢাকা মেডিকেলের ছাত্রদের, হাইকোর্টের কেরাণিদের মিছিলে ডেকেছে কে? শহীদ নুর মোহাম্মদকে স্বৈরতন্ত্রবিরোধী মিছিলে আশ্রয় দিয়েছে কে? স্বাধীনতা যুদ্ধে পতাকা উড়ানোর জন্য সারাদেশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বটতলায় ডেকেছে কে?-সব প্রশ্নের উত্তর হলো- ডাকসু এবং ডাকসুর নেতারা।
আগের এই কর্মকাণ্ডগুলো যদি বৈধ হয় তাহলে আজকের ভিপি নুর যিনি ইতোপূর্বে অন্তত আট বার হামলার শিকার হয়েছেন তিনি তার পাশে সহযোগী রাখলে তা দোষের হয় কোন যুক্তিতে? অতীতের ওইসব কর্মকাণ্ড যদি প্রয়োজনীয় হয় তাহলে আজকের ভিপি যা করছেন তাকেও প্রয়োজনীয় বলতে হবে এ জাতিকে।
কী হবে নুররা না থাকলে?
খেয়াল করলে দেখা যায়, আধিপত্য বিস্তারের এক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে দেশের সর্বস্তরে। এখানে কোন পূর্ব শত্রুতা, তীব্র ক্ষোভ কিংবা আক্রোশ ছাড়াই মানুষকে সাপের মতো করে মাটিতে ফেলে রেখে পেটানো হচ্ছে। আক্রান্তের আর্তনাদ কানে যাচ্ছে না আক্রমণকারীদের। এমনইভাবে মারছে যেন কত জনমের আক্রোশ তার, কত কুখ্যাত অপরাধীকে শাস্তি দিচ্ছে সে!
মেরে মেরে আইসিইউতে পাঠাচ্ছে প্রতিবাদী ছাত্রনেতাদের, মেরে ফেলছে নিরীহদের। এই আক্রোশ মানুষের মধ্যে আদিম পশুত্বের একটি রূপ। মানুষ একইসাথে একটি প্রাণী এবং একটি বিবেকসত্তাসম্পন্ন জীব। মানুষের মধ্যে এই দুইটা স্বত্তাই থাকে সমান পরিমাণে। মানুষের বেড়ে ওঠার পরিবেশ, দেশ, সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা তাকে পশু সত্তা দমিয়ে মানুষে পরিণত করে।
কিন্তু যখন এই মানবসত্তার বিকাশ আর ঘটায় না সমাজ, তখন কেবল পশুত্বই বিরাজ করে মানুষের অন্তরে। এই পশুত্ব তাকে আদিম অসভ্য জীবে পরিণত করে। এটা বাড়তেই থাকবে যদি না একে প্রতিহত করা যায়, যদি না সমাজের পরিবেশে সুস্থতা ফিরে আসে, শিক্ষাকে মানবমুখী করা হয়। এই সময়ে প্রথম গুরু দায়িত্বটি পালন করছেন এদেশের তরুণসমাজ যার একটি বড় অংশই হলো ভিপি নুর এবং তার সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীগণ।
আজ বার বার অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে যখন নুর এবং তার সহযোগীরা প্রাণনাশী হামলার শিকার হচ্ছেন তখন সেই হামলাকে বৈধ করতে তাদের বিপক্ষে নানা যুক্তি উপস্থাপন করছে হামলাকারীরা। সেই যুক্তিগুলোকে আবার আমরা কেউ কেউ সমর্থন করছি- যাকে আমি বলবো আত্মঘাতী বিবেচনা। কেননা, আমরা প্রতিবাদ করা বন্ধ করলে কিংবা যে তরুণরা প্রতিবাদ করছেন তাদের খুঁটিনাটি নানা বিষয়ে দোষারোপ করে নিরুৎসাহিত করে, থামিয়ে দিলেই অপশক্তি থামবে না।
আদিম মনোভাবসম্পন্ন ওই অপশক্তিগুলো আনো আনো সাধারণদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে। তুচ্ছ কারণে অথবা সম্পূর্ণ বিনা কারণে মানুষকে মারবে, খুন রাহাজানি করবে, মানুষের সম্পদ লুন্ঠন করবে, নারীদের সম্মানহানী করবে। বিষয়টা হবে পাবলিক বাসে বিকৃতমনা পুরুষের পাশে বসে থাকা নারী যাত্রীটির মতো।
নারীটি যতই নিশ্চুপ থাকে, সরে যায় বিকৃতমনা ততই গা ঘেঁষে বসে, আরো আগায় আরো আগায় এবং অবশেষে একসময় আগ্রাসী নোংরা আক্রমণ চালায়। এই উদাহরণটির অর্থ হলো- আপনি যতই অন্যায় দেখে এড়িয়ে যাবেন, নিশ্চুপ থাকবেন ততই অন্যায় আপনার দিকে আগাবে এবং একদিন আপনার ঘরে গিয়ে লুন্ঠন, ধর্ষণের মত কাজ হবে। পশুরা আপনার জীবনকে পদে পদে বিপদগ্রস্ত করবে, বিপন্ন করবে। আর সেদিন নুরের মত প্রতিবাদকারীরা থাকবে না বলে আপনার সেই অত্যাচারের প্রতিবাদে একটা স্লোগানও বাজবে না।
প্রসঙ্গত, একজন খ্যাতনামা সাংবাদিকের একটা মন্তব্য আমার মনে পড়ছে। সমাজ নষ্ট হওয়া প্রসঙ্গে উনি বলেছিলেন, ‘তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে বিপদে পড়বে। কত হাত গভীরে পড়বে তা মাপার হাতটাও খুঁজে পাবে না।’
অর্থাৎ সমাজের অপনিয়মকে, বিশৃঙ্খলাকে চলতে দিলে একদিন আপনি আপনার জমি নিয়ে, সম্পদ নিয়ে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে, জীবিকা নিয়ে এমনকি ঘরের বধু-কন্যা নিয়ে বিপদে পড়বেন। যার যা আছে তা ই লুন্ঠিত হবে যদি অন্যায় চলতে থাকে সমাজে।
ভুলে যাবেন না, গ্রামে আগুন লাগলে আপনি ঘরে খিল এটে দিয়ে বসে থেকে রেহাই পাবেন না। আগুন সব ঘর পুড়িয়ে যখন আপনার পাশের প্রতিবেশীর ঘর পোড়াচ্ছে তখনও যখন আপনি নিশ্চুপ, এগিয়ে গিয়ে আগুন নেভাচ্ছেন না, গায়ে লাগবে বলে। তখন আপনার জন্য দুঃসংবাদ এই যে, ওই ঘরটা পোড়া শেষ হলে একটু পরেই আগুন আপনার ঘরে এসে লাগবে এবং আপনার মৃত্যুকে আটকাতে পারবে না কেউ। কেবল মৃত্যুটা হবে একজন স্বার্থপর অমানুষের মৃত্যু। একটি কলঙ্কিত মৃত্যু।
লেখক: সাংবাদিক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
shapla.jnu13@gmail.com