সরকারি টাকায় মাস্তি করার মজাই অন্যরকম!
পত্রিকায় পড়লাম আলু চাষ দেখতে ৫০ কর্মকর্তা ইউরোপে যাচ্ছেন! সেবার সুইডেনে বেশ কিছু কর্তা ব্যক্তি একটা ট্রেনিং এ গিয়েছিল। আমি তখন সুইডেনে একটা গবেষণা প্রজেক্টে কাজ করছি। এদের সঙ্গে পরিচয় সেখানে’ই।
একজন আমাকে বলে বসলেন -ভাই ন্যুড বীচ কোথায়? আমাদের ন্যুড বীচে নিয়ে যান।
ন্যুড বীচে যাবার ইচ্ছে যে কারো হতে’ই পারে। এই নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই। আপত্তি’র জায়গা'টা হচ্ছে; ভদ্রলোকের সঙ্গে আমার পরিচয় ঠিক সেদিন’ই। প্রথম পরিচয়ে’ই কি করে একজন মানুষ এভাবে ন্যুড বীচে যাবার কথা নির্লজ্জের মতো বলে দিতে পারে, আমার অন্তত জানা নেই।
এদের সঙ্গে রাস্তা দিয়ে হাঁটছি। সবাই মাঝ বয়েসি। আমি'ই সেখানে সব চাইতে ছোট। এদের মাঝে একজন হঠাৎ বলে বসলেন -ইউরোপের মেয়ে গুলো সবাই একেক’টা মাল!
নিজেদের বন্ধু-বান্ধব’দের সঙ্গে আমরাও যে দুই একটা খারাপ শব্দ ব্যাবহার করি না; এমন তো না। কিন্তু তাই বলে একজন সম্পূর্ণ অপরিচত মানুষের সামনে এই ভাষা ব্যাবহার করতে হবে!
তো, এরা এমন আচরণ করছিল কেন? উত্তর’টা খুব’ই সোজা। এদের কেউ’ই ইউরোপে সত্যিকারের ট্রেনিং এ যায়নি। এরা গিয়েছে সরকারী টাকা খরচ করে মাস্তি করতে।
ফিরে এসে ওই ট্রেনিং এর কোন কিছুই এরা বাংলাদেশে প্রয়োগ করে না। কারন এরা কিছু শিখেই আসে না। এরা যায় ন্যুড বীচ দেখার জন্য; মাল দেখার জন্য!
এই যে আজ পত্রিকায় এসছে আলু চাষ দেখতে ৪০ কর্মকর্তা ইউরোপ যাচ্ছে। এদের কেউ আসলে আলু চাষ দেখতে না! মাল দেখতে যাচ্ছে!
লেখা ফেসবুক থেকে সংগৃহীত