২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:০৩

বাংলাদেশেও নাগরিক উৎখাত ‘পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন’

মোঃ সাইফুল ইসলাম, সভাপতি পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ, ঢাকা মহানগর  © টিডিসি ফটো

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন-২০০১ এর সংশোধনী ২০১৬ সালে পাস হয়। এই কমিশন নিখুঁত ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙ্গালী বিতারনের নীলনকশা তৈরী করেছে। বাস্তুহারা মানুষের আর্তনাদ কতটা কষ্টের তা ঐ ব্যাক্তি ছাড়া কেউ জানে না। একটা স্বাধীন দেশে সকল নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বাচতে চায়। কেউই চায়না তার অধিকার খর্ব হউক। সেটা ভারতের বির্তকিত নাগরিক আইন হউক কিংবা বাংলাদেশের পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন! পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্রের যে বীজ বোপণ হচ্ছে তা প্রতিহত করা সকল সচেতন নাগরিকের কর্তব্য!

সম্প্রতি পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন নিয়ে বারবার আলোচনা পর সর্বশেষ আগামী ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ইং এই কমিশন লিখিত প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে! মূলত একটা গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে এ কমিশন কাজ করছে ! পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন আইন একটা সম্প্রদায়কে বেশি সুবিধা দিয়ে অন্য সম্প্রদায়, বিশেষ করে বাঙালিদের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। যেখানে বৈষম্য আছে, সেখানে কখনো শান্তি আসতে পারে না। ধারণা করা যাচ্ছে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ হানাহানি সৃষ্টি করতে বাধ্য।
আবারও বলছি এই কমিশন এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন হলে একটি মহল বিশেষ সুবিধা ভোগ করে অপর একটি জাতিগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে রসাতলে ডুবানো হবে। সম্প্রতি পার্বত্য জেলা পরিষদে প্রায় ৯৩০০০ ভুমি মালিকের আবেদন জমা পড়েছে। যা যাচাই করবে সন্ত্রাসী সংগঠন জনসংহতি ও চাকমা সার্কেল চীপ! যারা মূলত জুম্মল্যান্ড নামক দেশের স্বপ্ন দেখে!

যারা স্থানীয় ভাবে প্রতিনিধিত্ব করে এমন কোন বাঙালি প্রতিনিধি রাখা হয় নাই, এই কমিশনের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা যাবে না, এই কমিশন যার পক্ষে রায় দিবে তার কাছে যতই বৈধ কাগজপত্র থাকুক না কেন জমি তাকে ছেড়ে দিতেই হবে এবং এই কমিশনের দ্বারা কোন ব্যক্তি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার বিরুদ্ধে আইনি কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাবে না যার ফলে পার্বত্য অঞ্চলে ৫৬% বাঙালি জনগোষ্ঠী বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় পাহাড়ে শান্তির বিনিময় বেজে উঠবে যুদ্ধের দামামা। যা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য ভয়ংকর হুমকি।